1. emon@frilix.com : Emon Hasan : Emon Hasan
  2. editormrahman80@gmail.com : Mizanur Rahman : Mizanur Rahman
  3. info@www.janatarkatha24.com : admin :
  4. wpapitest@config.com : wpapitest :
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ০২:৪১ পূর্বাহ্ন

দুই প্রেমিকার সাথে বিয়ে অতিরিক্ত পর বিচ্ছেদ

রিপোটারের নাম
  • প্রকাশিত : রবিবার, ১৫ মে, ২০২২
  • ২৪ বার পড়া হয়েছে

 

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি:

পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায় দুই প্রেমিকাকে পাশাপাশি বসিয়ে বিয়ে করে ভাইরাল হয়েছিলেন রোহিনী চন্দ্র বর্মন (২৫)। কিন্তু দুইজনকে একসঙ্গে নিয়ে সংসার সাজাতে ব্যর্থ হলেন তিনি। রোহিনীর ঘরে এখন এক বউ। বিয়ের মাত্র ২২ দিনের মাথায় দ্বিতীয় স্ত্রী মমতা রানীর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটেছে তার।

শনিবার (১৪ মে) দুপুরে রাইজিংবিডিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মমতা রানীর ভাই পলাশ চন্দ্র রায়। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (১২ মে) উভয়পক্ষের সম্মতিতে এই বিচ্ছেদ হয়।

গত ২০ এপ্রিল রাতে আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের লক্ষীদ্বার গ্রামের যামিনী চন্দ্র বর্মনের ছেলে রোহিনী চন্দ্র বর্মন তার বাড়িতে ইতি রানী (২০) এবং মমতা রানী (১৮) নামে দুই প্রেমিকাকে পাশাপাশি বসিয়ে সিথিতে সিঁদুর লাগান। পরে একসঙ্গে ঘরে তোলেন দুই বউকে।

বিয়ের মাত্র ২২ দিনের মাথায় বিচ্ছেদ কেন— এর কারণ জানা যায়নি। মুখ খোলেননি মমতা রানী। কথা বলেননি রোহিনীও। তবে মমতার পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই বলে জানিয়েছেন মমতা রানীর ভাই পলাশ চন্দ্র রায়।

পলাশ বলেন, ‘আর বাড়াবাড়ি করতে চাই না। বোনের ভবিষ্যতের বিষয়ে চিন্তা করেই এই সিদ্ধান্ত।’

রোহিনীর বাবা যামিনী চন্দ্র বলেন, ‘মমতা রানী স্বেচ্ছায় আমার ছেলেকে তালাক দিয়েছেন। এতে আমরা অমত করিনি।’

বলরামপুর ইউনিয়নের গাঠিয়াপাড়া এলাকার গিরিশ চন্দ্রের মেয়ে ইতি রানীর (২০) সঙ্গে রোহিনীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল দীর্ঘদিনের। এক পর্যায়ে তারা মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করেন। বিয়ের বিষয়টি গোপন রেখেছিলেন দুজনই।

এরমধ্যে নতুন করে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন লক্ষ্মীদ্বার গ্রামের টোনো কিশোরের মেয়ে মমতা রানীর (১৮)। এক পর্যায়ে মমতা রানীর সঙ্গে গত ১২ এপ্রিল রাতে দেখা করতে যান রোহিনী। সেখানে দুজনকে একত্রে দেখে ফেলেন মমতার পরিবারের লোকজন। আটকে রাখেন রোহিনীকে। পরে ১৩ এপ্রিল বিয়ের ব্যবস্থা করেন তাদের।

রোহিনী চন্দ্র বর্মনের বিয়ের খবর শুনে তার বাড়িতে অনশন শুরু করেন ইতি রানী। পরে ২০ এপ্রিল রাতে রোহিনীর বাড়িতে পুনরায় আনুষ্ঠানিকভাবে দুই বিয়ে একসঙ্গে সম্পন্ন হয়।

বলরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন বলেন, বিচ্ছেদের বিষয়ে দুই পক্ষের কেউ কিছু তাকে জানায়নি। তবে লোকমুখে শুনেছেন, মেয়েটা নাকি নিজে থেকে তালাক দিয়েছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
Copyright © 2024 Frilix Group
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD