1. emon@frilix.com : Emon Hasan : Emon Hasan
  2. editormrahman80@gmail.com : Mizanur Rahman : Mizanur Rahman
  3. info@www.janatarkatha24.com : admin :
  4. wpapitest@config.com : wpapitest :
শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৪৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
সারাদেশ কাঁপল ভূমিকম্পে নিহত – ৩ : সম্প্রতিকালের সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পন লালমনিরহাটে ড্রেন খননের সময় মিলল গ্রেনেড কচ্ছপ গতিতে রায়পুর মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণকাজ ‎এক বছরের বেশি সময়েও দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই, ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা নড়াইলে হত্যা মামলার বাদিকে মিথ্যা মামলা করে হয়রানির অভিযোগ, প্রতিবাদে মানব বন্ধন রাজশাহীতে ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাকার গ্রেপ্তার বাগমারায় ৯৫ কোটি টাকা হাতিয়ে ১৮ সমিতি উধাও ৬১ কোটি টাকার ভবন কার দখলে? স্কুল বনাম জুলাই সংগ্রহশালা আরডিএ কমপ্লেক্স ঘিরে নতুন টানাপোড়েন রাজশাহী মেডিকেলে নতুন পরিচালক চসিক প্রধান নির্বাহী তৌহিদুল বদলি: মেয়র শাহাদাত’র বিরোধে বদলির চিঠির ইস্যুতে বরেন্দ্রে চলছে আমন কাটা-মাড়াই মহোৎসববাম্পার ফলনের আশা তবুও দাম নিয়ে শঙ্কায় কৃষক
শিরোনাম:
সারাদেশ কাঁপল ভূমিকম্পে নিহত – ৩ : সম্প্রতিকালের সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পন লালমনিরহাটে ড্রেন খননের সময় মিলল গ্রেনেড কচ্ছপ গতিতে রায়পুর মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণকাজ ‎এক বছরের বেশি সময়েও দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই, ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা নড়াইলে হত্যা মামলার বাদিকে মিথ্যা মামলা করে হয়রানির অভিযোগ, প্রতিবাদে মানব বন্ধন রাজশাহীতে ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাকার গ্রেপ্তার বাগমারায় ৯৫ কোটি টাকা হাতিয়ে ১৮ সমিতি উধাও ৬১ কোটি টাকার ভবন কার দখলে? স্কুল বনাম জুলাই সংগ্রহশালা আরডিএ কমপ্লেক্স ঘিরে নতুন টানাপোড়েন রাজশাহী মেডিকেলে নতুন পরিচালক চসিক প্রধান নির্বাহী তৌহিদুল বদলি: মেয়র শাহাদাত’র বিরোধে বদলির চিঠির ইস্যুতে বরেন্দ্রে চলছে আমন কাটা-মাড়াই মহোৎসববাম্পার ফলনের আশা তবুও দাম নিয়ে শঙ্কায় কৃষক

ইসলামপুরে বাড়তি পারিশ্রমিক দিয়েও মিলছে না ধান কাটার শ্রমিক কৃষকরা হতাশ

রিপোটারের নাম
  • প্রকাশিত : শনিবার, ২১ মে, ২০২২
  • ১০১ বার পড়া হয়েছে

সুমন খন্দকার, ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি : চলতি বোরো মৌসুমে ধান কাটতে শ্রমিক সংকটে পড়েছেন ইসলামপুর উপজেলার কৃষকরা। দ্বিগুণ পারিশ্রমিক দিয়েও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
অনেকে বাধ্য হয়ে পরিবারের লোকজন নিয়ে ধান কাটছেন। অনেকে আবার বাড়তি পারিশ্রমিক দিয়ে ধান কেটে ঘরে তুলছেন। দুই মণ ধানের দাম দিয়েও মিলছেনা একজন শ্রমিক। এর ফলে শ্রমিক ও উৎপাদন খরচ বেড়ে লোকসান হবে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
ইসলামপুর উপজেলার পৌরসভাসহ পাথর্শী, বেলগাছা, চিনাডুলী, নোয়ারপাড়া, ইসলামপুর সদর ও পলবান্ধা ইউনিয়নে বাড়তি পারিশ্রমিক দিয়েও ধানটারা জন্য শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতি শ্রমিকের মজুরী বাবদ ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকাও মিলছে না ধান কাটার শ্রমিক। এ নিয়ে হতাশায় রয়েছেন সাধারণ কৃষক। অপর দিকে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও ভারী ভর্ষণে বিভিন্ন স্থানে পাকা ধান ডুবে পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে।
ইসলামপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কৃষকরা শ্রমিক না পেয়ে প্রতি বিঘা (৩২ শতক) ধান কাটার জন্য ৯ হাজার টাকায় ধান কাটছেন। অনেক কৃষক শ্রমিক না পেয়ে পানিতে ডুবে যাওয়া ধান অন্যদেরকে কেটে নিয়ে অর্ধেক অর্ধেক ভাগ করেও নিচ্ছেন।
সদর ইউনিয়নের অনেকেই জানান, ১বিঘা জমির ধান কাটতে ৩ দিন খোঁজ করেও কোন শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। যদি পাওয়া যায় তাও আবার বাড়তি পারিশ্রমিক দিয়ে ধান কাটা হচ্ছে।
তারা আরও জানান, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে পানিতে ডুবে থাকা ধান কাটতে বিঘা প্রতি ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা করেও নিচ্ছেন।
নোয়ারাপাড়ার কৃষক আজিজ উদ্দিন বলেন, আমি চুক্তিতে জমি নিয়ে বোরো ধানের আবাদ করেছি। চুক্তি অনুযায়ী ১০ মণ ধান পেলে জমির মালিককে দিতে হবে ৪ মণ। তিনি জানান, এখন উৎপাদন খরচতো দূরের কথা, আবাদ করে আটকে গেছি। বাধ্য হয়ে বাড়তি পারিশ্রমিক দিয়ে জমির ধান কাটছি।

পৌর শহরের মৌজাজাল্লা গ্রামের কৃষক শহিদ আলী বলেন, শ্রমিক নিলে আমরা খেতে পারবো না, আবার আমরা খেলে শ্রমিক নিতে পারছি না। পেটতো বাঁচাতে হবে। তাই আবাদ যখন করেছি ঋণ করে হলেও বাড়তি পারিশ্রমিক দিয়ে ধান কাটতেই হবে।

উপজেলার গোয়ালের চর, গাইবান্ধা, চরপুটিমারী, চর গোয়ালিনী ও বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা ধান কাটার শ্রমিকরা জানান, সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ধান কাটার কাজ করে দিনে ১২ থেকে ১৪শ টাকা পান। উচ্চমূল্যের বাজারে কৃষকরা এই পারিশ্রমিককে বেশি বললেও বর্তমানে সবকিছু জিনিসের উর্ধ্বমুখীর জন্য এ উপার্জনে তাদের সংসার চলে না।
নয়া, হবিবর, ফেক্কু, খোকন ও মালেক বলেন, বিঘাতে (৩২শতক) ২৪ মন বা ২৬ মন ধান পাওয়া যায়। বর্গা করায় জমির মালিককে অর্ধেক দিতে হচ্ছে। ৬-৭ মণ ধান পেলে খরচ বেশি হয়ে যায়। এ সময় শ্রমিকও পাওয়া যায় না। দিন প্রতি ১৪০০ টাকা বা বিঘা প্রতি ৯-১০ হাজার টাকা খরচে শ্রমিক নিয়ে ধান কাটানোর ক্ষমতা আমাদের নেই। যেখানে ধানের বাজার ৭শ থেকে ৭শ ৫০ টাকা। এত টাকা খরচ করে আবাদ করা হলেও আমরাতো ধানের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছি না।

ধান কাটা শ্রমিক শফিকুল, আহালু ও হইবর জানান, ধান কাটার পুরো মৌসুম চলছে। কৃষকের তুলনায় শ্রমিকের সংখ্যা অনেক কম। আবার বাজারে সব কিছুর মূল্য বেশি। আমরাও শ্রমের মূল্য বেশি না নিলে পরিবার পরিজন নিয়ে চলতে পারি না।

সুমন খন্দকার
ইসলামপুর,জামালপুর।
২১.০৫.২২

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
Copyright © 2024 Frilix Group
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD