স্টাফ রিপোর্টার:
গত শুক্রবার সাতক্ষীরা পল্লীমঙ্গল স্কুল এন্ড কলেজে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা হলে ডিভাইস সহ আটক কেয়া রানীর সহযোগীরা কি পর্দার আড়ালেই থেকে যাবে ! বিষয়টি নিয়ে আশাশুনির বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের মধ্যে আলোচনা ও সমালোচনা ঝড় বইতে শুরু করেছে। গত শুক্রবার (৩ জুন) শেষ ধাপে আশাশুনির প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে লিখিত পরিক্ষায় অংশ নেন আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের কুন্দুড়িয়া গ্ৰামের রবিন্দ্রনাথ দে’র স্ত্রী কেয়া রানী বসু। পরিক্ষা চলা কালিন সময়ে কাছে স্মার্ট ফোন রেখে হোয়াটসঅ্যাপে অন্যাত্র যোগাযোগ করার অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে ১০দিনের কারাদণ্ড দেন বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তালা উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি এসএম তারেক সুলতান। এসময় তার কাছে থাকা স্মার্ট ফোনটি জব্দ করা হয়। বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তালা উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি এসএম তারেক সুলতান বলেন যেহেতু ফোনটি জব্দ করা হয়েছে সেহেতু কতৃপক্ষ চাইলে সহজেই এ চক্রের অন্যদের সনাক্ত করতে পারবেন। ঘটনার ৩দিন অতিবাহিত হলেও পরবর্তীতে কি পদক্ষেপ নেয়া হলো এবিষয়ে কিছুই জানা যায়নি। এদিকে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে দোড়ঝাপ শুরু করেছেন কেয়া রানী বসুর স্বামী রবিন্দ্রনাথ দে। বিষয়টি নিয়ে তথ্য অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা গেছে রবিন্দ্রনাথ দে’র সাথে আশাশুনি উপজেলা শিক্ষা অফিস সহ জেলা শিক্ষা অফিসের একাধিক কর্মকর্তার সুসম্পর্ক এবং এসব অফিসে নিয়মিত যাওয়া আসা ছিলো তার। যদিও আশাশুনি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার গাজী ছাইফুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষা অফিসার আবু সেলিম বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য ডিপিও রুহুল আমিন হাওলাদারের ব্যবহৃত ০১৭১১৩৮৬৪৯১ নাম্বারে সোমবার বিভিন্ন সময় ফোন দিয়েও রিসিভ হয়নি। তবে এডিপিও আবু হেনা মোস্তফা কামাল এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এ চক্রের সাথে জড়িতদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কোর্ট। তবে তদন্ত করলে বাকিদের বিষয়ে জানা যাবে। এবিষয়ে কেয়া রানী বসু’র স্বামীর ব্যবহৃত ০১৭২২৫১০৪২৫ নাম্বারে ফোন দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
Leave a Reply