পাবনা প্রতিনিধি :

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় স্কুলে পড়ার সময় প্রথমে প্রেম পরে বিয়ে এর পর ৯ মাস পরই নব বধূর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (০৬ জুন) বিকালের দিকে উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের খানমরিচ গ্রামের এই ঘটনা ঘটে ।

ঘটনার পর খবর পেয়ে ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে পরিবারের নিকট লাশ হস্তান্তর করেছেন। এ ঘটনায় থানায় ইউডি মামলা হয়েছে।

জানা গেছে, তুহিন ও রিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। দুজনেই দরিদ্র পরিবারের সন্তান। তাই পড়াশোনার পাশাপাশি তুহিন একটি চায়ের দোকানে কাজ করে। এক সময় তুহিন ও রিয়ার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে উভয় পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে হয় তাদের।

বিয়ের পর থেকেই অভাব-অনটনে তুহিন ও রিয়ার বনিবনা না হওয়ায় সোমবার স্বামীর বাড়ীতে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে রিয়া। এমনটাই দাবি করেছেন তুহিনের পরিবার। রিয়া ওই গ্রামের রেজাউল ইসলামের মেয়ে ও তার স্বামী তুহিন একই গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে ।

স্থানীয়রা জানান, বিয়ের পর থেকেই রিয়া ও তুহিনের বিভিন্ন বিষয়ে মত পার্থক্যের শুরু হয়। রিয়ার মা ঢাকা একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করে। তাই রিয়া তুহিনকে নিয়ে ঢাকায় মায়ের পোশাক কারখানায় কাজ করতে চাচ্ছিল। রিয়ার পরিবারও এ বিষয়ে সমর্থন জানায়।

তবে তুহিন ও তার পরিবার এলাকা ছেড়ে যেতে রাজি ছিল না। এ নিয়ে রিয়া ও তুহিনের মধ্যেই কথাকাটাকাটি চলে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার বিকালে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে নিজ ঘরে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মুঃ ফয়সাল বিন আহসান বলেন, পুলিশ ওই কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করে মঙ্গলবার (০৭ জুন) সুরাতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।