ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি:
উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন সড়কে নসিমন-করিমনসহ লাইসেন্সবিহীন অবৈধ যানবাহন চলাচল অব্যাহত রয়েছে। এতে প্রতিনয়তই সড়কে যানজট সৃষ্টির পাশাপাশি দুর্ঘটনায় প্রাণ যাচ্ছে অসংখ্য মানুষের।
ঠাকুরগাঁও-ঢাকা ও ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় মহাসড়কে সরেজমিনে দেখা গেছে, দূরপাল্লার যানবাহনের সঙ্গে নছিমন, করিমন, ভটভটি, মাহেন্দ্র, ট্রাক্টর, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশাসহ কয়েক হাজার অবৈধ তিন চাকার যানবাহন চলাচল করছে। একই চিত্র দেখা গেছে জেলার আঞ্চলিক সড়কগুলোতেও।
পথচারি সিমু অক্তার বলেন, “মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এর পাশপাশি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকেও প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। তার পরও তবে সেসব নিষেধাজ্ঞা বা আইন মানছে না অবৈধ যানবাহনের চালকেরা।“অবৈধ যানবাহনের জন্য সরকার যে আইন প্রণয়ন করেছে তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। সে কারণে মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল করছে। এতে দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর হারও বাড়ছে।”
ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁওগামী ট্রাকের চালক রফিকুল ইসলাম বলেন, “তিন চাকার যানবাহনগুলোর চালকদের কোন লাইসেন্স নেই। যেভাবে খুশি তারা সেভাবেই মহাসড়ক দিয়ে গাড়ি চালায়। এ কারণে আমাদের গাড়ি ধীরগতিতে চালাতে হয়। হর্ন দিলেও সড়ক থেকে অবৈধ গাড়িগুলো সাইড দেয়না। এতে প্রায় সময় দুর্ঘটনা ঘটছে।
ঠাকুরগাঁও শহরের মাস্টারপাড়া এলাকারকার জুনাইদ আহম্মেদ বলেন, “মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে তিন চাকার অবৈধ যানবাহনগুলো যত্রতত্র ভাবে রাখা হয়। এতে চলাচল করতে পথচারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
শহরের হাজীপাড়া এলাকার সীমা আক্তার বলেন, “আইনের সঠিক প্রয়োগ বা বাস্তবায়ন না থাকায় অবাধে মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তিন চাকার অবৈধ যানবাহন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, “সরকারি নির্দেশনা মতে মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশ নিয়মিত কাজ করছে” এছারাও সড়ক দূর্ঘটনা রোধে ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ সচেতনামুলক প্রচারণা চালাচ্ছে।
Leave a Reply