সুমন ইসলাম,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি :

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন বলেছেন, পূর্বপরিকল্পিত ভাবে ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়া থানা এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মারপিট, গুলিবিদ্ধ ও ভাংচুরসহ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে বিএনপি। কারণ তারা ঠাকুরগাঁওয়ের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ঘোলাটে ও বিশৃঙ্খলা করতে চায়। তাদরে এই ধরনরে অভিপ্রায় কোনটাই বাস্তবায়িত হবে না।

সোমবার বিকেল ৫টার দিকে ঠাকুরগাঁওয়ের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।

সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন বলেন, বাংলাদেশের মানুষ শান্তি চায়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এদেশ শান্তিতে এগিয়ে চলছে বলে উন্নয়ন হচ্ছে। মানুষের জীবন মান উন্নয়ন হচ্ছে। তাই যারা একসময় এদেশে দুঃশাসন চালিয়েছে, সেসব অপশক্তি আবারো মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে ঠাকুরগাঁওয়ের পরিস্থিতি ঘোলাটে করে তাদের অন্যায় কিছু সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করছে।

তিনি বলেন, বিএনপি আন্দোলন, সংগ্রাম করুক এতে আমাদের কোন বাঁধা নেই। কিন্তু তারা ঠাকুরগাঁও জেলা শহরে এসব আন্দোলন না করে পরিকল্পিতভাবে করলো জেলা সদরের সীমান্তবর্তী এলাকা রুহিয়াতে। যেখানকার মানুষ তাদের জীবনমান উন্নয়নের কাজ নিয়ে ব্যস্ত। আন্দোলনের নামে বিএনপি রুহিয়ায় অরাজকতা পরিবেশ সৃষ্টি করেছে, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মারপিট করেছে, গুলিবিদ্ধ করেছে এবং সাধারণ মানুষের মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করেছে। বিএনপির কাছে এ ধরনের কর্মকান্ড আমরা কোনভাবেই আশা করি না।

রমেশ চন্দ্র সেন বলেন, রুহিয়ায় বিএনপি যে অপকর্ম করেছে এতে করে সাধারণ মানুষ তাদেরকে ঘৃণা করছে। আর এ ঘৃণাটাই তাদের প্রাপ্য। বিএনপি এ ধরনের বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করে সরকারের ভাবমূতি ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টায় নেমেছে। তাদের এই অপচেষ্টা কোনভাবেই সফল হবে না।

রমেশ চন্দ্র সেন বলেন, বিএনপি সবসময় তাদের অপরাজনীতি দিয়ে উচ্ছৃঙ্খল-বিশৃঙ্খল এবং রক্তাক্ত করতে অতীতে যেভাবে অপচেষ্টা চালিয়েছে, এখনো সেই অপচেষ্টা চালাচ্ছে। নিশ্চয়ই বাংলাদেশের সচেতন মানুষ সেটিকে প্রতিহত করবে।

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মারপিট, গুলিবিদ্ধের ঘটনায় অবশ্যই মামলা হবে। আইনের মাধ্যমেই বিএনপির বিচার নিশ্চিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন।

এসময় ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন, ঠাকুরগাঁওয়ের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ফিরোজ জামান জুয়েল, আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা: রকিবুল ইসলাম চয়ন, ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী, রুহিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক গণেষ চন্দ্র সেন, রুহিয়া পশ্চিম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর ইসলাম নুরুসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়া থানা মহিলা লীগের বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মারপিট, গুলিবিদ্ধ ও ভাংচুরসহ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায় বিএনপি।