1. emon@frilix.com : Emon Hasan : Emon Hasan
  2. editormrahman80@gmail.com : Mizanur Rahman : Mizanur Rahman
  3. info@www.janatarkatha24.com : admin :
  4. wpapitest@config.com : wpapitest :
বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:০১ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
কচ্ছপ গতিতে রায়পুর মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণকাজ ‎এক বছরের বেশি সময়েও দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই, ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা নড়াইলে হত্যা মামলার বাদিকে মিথ্যা মামলা করে হয়রানির অভিযোগ, প্রতিবাদে মানব বন্ধন রাজশাহীতে ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাকার গ্রেপ্তার বাগমারায় ৯৫ কোটি টাকা হাতিয়ে ১৮ সমিতি উধাও ৬১ কোটি টাকার ভবন কার দখলে? স্কুল বনাম জুলাই সংগ্রহশালা আরডিএ কমপ্লেক্স ঘিরে নতুন টানাপোড়েন রাজশাহী মেডিকেলে নতুন পরিচালক চসিক প্রধান নির্বাহী তৌহিদুল বদলি: মেয়র শাহাদাত’র বিরোধে বদলির চিঠির ইস্যুতে বরেন্দ্রে চলছে আমন কাটা-মাড়াই মহোৎসববাম্পার ফলনের আশা তবুও দাম নিয়ে শঙ্কায় কৃষক চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনায় দায়িত্ব গ্রহণ সাঘাটায় বেড়েছে ছিনতাইকারী ও মাদকাসক্ত অমানুষের প্রভাব
শিরোনাম:
কচ্ছপ গতিতে রায়পুর মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণকাজ ‎এক বছরের বেশি সময়েও দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই, ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা নড়াইলে হত্যা মামলার বাদিকে মিথ্যা মামলা করে হয়রানির অভিযোগ, প্রতিবাদে মানব বন্ধন রাজশাহীতে ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাকার গ্রেপ্তার বাগমারায় ৯৫ কোটি টাকা হাতিয়ে ১৮ সমিতি উধাও ৬১ কোটি টাকার ভবন কার দখলে? স্কুল বনাম জুলাই সংগ্রহশালা আরডিএ কমপ্লেক্স ঘিরে নতুন টানাপোড়েন রাজশাহী মেডিকেলে নতুন পরিচালক চসিক প্রধান নির্বাহী তৌহিদুল বদলি: মেয়র শাহাদাত’র বিরোধে বদলির চিঠির ইস্যুতে বরেন্দ্রে চলছে আমন কাটা-মাড়াই মহোৎসববাম্পার ফলনের আশা তবুও দাম নিয়ে শঙ্কায় কৃষক চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনায় দায়িত্ব গ্রহণ সাঘাটায় বেড়েছে ছিনতাইকারী ও মাদকাসক্ত অমানুষের প্রভাব

নড়াইলে ভূয়া ডাক্তার মহাদেবের প্রতারনা মূলক কর্মকান্ডের স্বীকার সাধারন রুগীরা,প্রশাসন নির্বিকার

রিপোটারের নাম
  • প্রকাশিত : শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ১০২ বার পড়া হয়েছে

 

 

নড়াইল প্রতিনিধিঃ
নড়াইল সদর হাসপাতালের সামনে আরোগ্য নিকেতন নাম দিয়ে প্রতিষ্ঠান খুলে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেওয়ার নামে সাধারন রুগীদের সাথে প্রতারনার অভিযোগ পাওয়াগেছে ঔষধ বিক্রয় প্রতিনিধি থেকে ডাক্তার হওয়া মহাদেব দাসের বিরুদ্ধে।

সরোজমিনে নড়াইল সদর হাসপাতালের সামনে খান ফার্মেসীর পেছনে গিয়ে দেখা যায় বিশাল চেম্বার নিয়ে বসে আছেন মহাদেব দাস, প্রথম জীবনে ছিলেন ঔষধ বিক্রয় প্রতিনিধি।

ঔষধ বিক্রি করতে করতে তিনি এখন ডি এম এফ ডিগ্রীধারী বিশাল অভিজ্ঞ ডাক্তার, সাজানো গোছানো চেম্বার। ঔষধ বিক্রয় প্রতিনিধিদের দির্ঘ লাইন।
অভিজ্ঞ ডাক্তারদের চেম্বারের মত সব কিছু রয়েছে তার চেম্বারে। শুধু প্রেসক্রিপশনে সরকারী বিধীনিষেধ থাকায় নামের পাশে ডাক্তার শব্দটি লিখতে পারেন নি তিনি।
সবধরনের রুগী দেখছেন তিনি।

কথা হয় বকুল মুন্সী নামে নার্ভের সমস্যা নিয়ে আসা এক রুগীর সাথে। হাতে বিভিন্ন টেষ্ট রিপোর্ট, ডাক্তার সাহেব টেষ্ট দিয়েছিলেন সেই টেষ্ট করে এনে ডাক্তার সাহেব কে দেখিয়ে ব্যাবস্থাপত্র নিলেন।

ব্যাবস্থাপত্রে সাত রকম ঔষধ লিখেছেন তিনি, এর পূর্বেও এসেছেন মহাদেবের কাছে। শুধু ঔষধ আর টেষ্টের সংখ্যা বারে কাজের কাজ কিছুই হয়না।

মাইজপাড়া থেকে এসেছেন ষাটোর্ধ বিকাশ দাস।
এই প্রতিবেদকের সামনেই ডাক্তার সাহেবকে বলতে লাগলেন আপনি যে ঔষধ দিয়েছেন তাতে কোন কাজ হয়নি।আপনার ঔষধ খেয়ে আমার প্রোস্রাবে সমস্যা হচ্ছে, আমার পা ফুলে গেছে, এবার ডাক্তার সাহেব বললেন, আপনার কিডনিতে টিউমার হয়েছে, আপনি এই ঔষধগুলো নিয়মিত খান ঠিক হয়ে যাবে।

বাসগ্রাম থেকে স্পাইনাল কর্ডে সমস্যা নিয়ে এসেছেন তরিকুল ইসলাম,আসার পর ডাক্তার সাহেব টেষ্টের জন্য পাঠিয়েছিলেন ল্যাবসানে ডায়াগোনষ্টিক সেন্টারে,রিপোর্ট নিয়ে এসেছেন ডাক্তারকে দেখাতে।

আকলিমা এসেছেন নাতীকে নিয়ে, ডাক্তার মহাদেবের তত্ত্বাবধানে একজনকে দিয়ে ৪ বছর বয়স্ক নাতিকে মুসলমানী দিয়েছিলেন,১৫ দিন পার হলেও ক্ষতস্থান শুকায়নি,ক্ষতস্থানের অবস্থা খারাপ, নাতি রাতে ঘুমাতে দেয়না, তাইএসেছেন মহাদেবকে দেখাতে।

এছাড়াও গ্রাম অঞ্চল থেকে আরও ১০/১২ জন রুগী এসে বসে আছেন তাকে দেখানোর জন্য।

নড়াইল সদর হাসপাতালের সামনে থেকে মহাদেবের চেম্বারে এসব রুগীধরে আনার দায়ীত্বে রয়েছে চিহ্নিত কিছু দালাল।
এই সব দালালেরা অভিজ্ঞ চিকিৎসকের কথা বলে গ্রাম থেকে আসা সাধারন রুগীদের নিয়ে আসেন মহাদেবের কাছে । রুগী প্রতি কথিত ডাক্তার মহাদেবের ভিজিট দুইশত টাকা।

এবার রুগীর শরীরে নানান জটিল সমস্যার কথা বলে টেষ্ট স্লিপ হাতে ধরিয়ে দিয়ে দালালের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেন তার কাঙ্খিত ল্যাবসান ডায়াগোনষ্টিক সেন্টারে। সেখানেও টেষ্ট প্রতি মোটা অংকের কমিশন রয়েছে দালাল ও কথিত ভূয়া ডাক্তার মহাদেবের জন্য।

তিনি ডি এম এফ হয়ে কিভাবে নার্ভ, কিডনি, মেরুদন্ড ও শিশু রুগীদের চিকিৎসা এবং টেষ্ট করার জন্য প্রেসক্রিপশন দিচ্ছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আমি এখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেই। আর জরুরী রুগীদের বিভিন্ন অভিজ্ঞ ডাক্তারদের কাছে রেফার্ড করি।

একজন ডি এম এফ হয়ে নড়াইল সদর হাসপাতালের সামনে বসে এভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার নামে জটিল রোগে আক্রান্ত রুগী দেখার এখতিয়ার আপনার আছে কিনা? এ বিষয়ে তিনি বলেন,

এম বি বি এস, বি ডি এস ডিগ্রী না থাকলে নামের পাশে ডাক্তার লেখা যায়না, কিন্তু রুগী দেখায় কোন বাধা নেই এবং এ বিষয়ে সরকারী কোন বিধিনিষেধ
আছে কিনা তিনি তা জানেন না।

এ বিষয়ে নড়াইলের সিভিল সার্জন নাসিমা আক্তার জানান, নড়াইল সদর হাসপাতালের সামনে প্রাথমিক সাস্থসেবা দেওয়ার নামে এমন কর্মকান্ড যদি কেউ করে থাকে তাহলে অবশ্যই আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।

সারাদেশব্যাপী ভূয়া ডাক্তারদের বিরুদ্ধে অভিযান চললেও নড়াইলে এর তেমন কোন প্রভাব দেখা যায়না। আর অভিযান চললেও তা নাম মাত্র জড়িমানার মধ্যে সীমাবদ্ধ।

জড়িমানার টাকা পরিশোধ করে পরের দিন থেকেই আবার শুরু হয় এসব ভূয়া ডাক্তারদের প্রতারনার ব্যবসা।

তাই অচিরেই ভূয়াডাক্তার মহাদেবের প্রতারনা মূলক কর্মকান্ড বন্ধে প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে এমনটাই প্রত্যাশা সচেতন মহলের।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
Copyright © 2024 Frilix Group
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD