নিউজ ডেস্ক :

শামীম শেখ পেশায় দিনমজুর হলেও ৪ বছর বয়সী জান্নাতকে কখনও কষ্ট দেয়নি। মেয়ে ব্যথা পেলে কেঁদেছেন বাবা শামীম শেখ। সারাজীবন বাইরে কাজ করে এসে সন্ধ্যায় মেয়ে জান্নাতকে বুকে নিলেই নাকি তার শরীর শীতল এবং ক্লান্তি দূর হয়ে যায় তার।

জান্নাতের শরীরে ক্যান্সার বাসা বেঁধেছে। দেড় মাস আগে চিকিৎসক জানিয়েছেন জান্নাতের উপযুক্ত চিকিৎসা না হলে সে বাঁচবে না। এই সংবাদ শোনার পর বারবার মুর্ছা যাচ্ছেন মা কানিজ ফাতেমা মিতু আর বাবা শামীম শেখ। মেয়েকে বাঁচাতে এমন কোনো লোক নেই যার দ্বারস্থ হচ্ছেন না তারা। কিন্তু তাতে চিকিৎসার নূন্যতম খরচও জোগাড় হচ্ছে না।

জান্নাতের নানি শেফালী বেগম বলেন, ‘আমার মেয়ে এবং আমাদের সংসার সব এলোমেলো হয়ে গেছে। কারও মুখে খাবার ওঠে না।’

ডাক্তার বলেছেন, এবার গেলে কেমো দেবেন। শেফালী বেগম বলেন, ‘কেমোর পাশাপাশি ওকে রক্ত দিতে হয়। প্রতিবার রক্ত দিতে সব মিলে ১৪ হাজার টাকার মতো লাগে। এভাবে তিনটি কেমো দিতে হবে। অথচ আমাদের হাতে এত টাকা নেই। কি করবো বুঝতে পারছি না।’

জান্নাতের বিষয়ে জানতে চাইলে বাবা শামীম শেখ কোনো কথাই বলতে পারছিলেন না। অস্পষ্ট স্বরে বলছিলেন, ‘বাবার চোখের সামনে ধুকে ধুকে সন্তানের মৃত্যু যে কত বড় ভয়াবহ ঘটনা তা বলতে পারবো না। আমি দেখছি আমার মেয়েটা শেষ হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু আমি কিছু করতে পারছি না।’ তিনি মেয়েকে বাঁচাতে সকলের কাছে সাহায্য চেয়েছেন।

তিনি বলেন, ঢাকায় চিকিৎসা করাতে গিয়ে প্রায় দুই লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। এখন পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়েছে। তবে ঢামেকের চিকিৎসকরা আশ্বস্ত করেছেন জান্নাতের এখন প্রাথমিক স্টেজ। ঠিকমতো চিকিৎসা পেলে সে সুস্থ হতে পারে।

বরিশাল সিটি করপোরেশনের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ আলেকান্দা আমতলা মোড় সংলগ্ন আরমান খান সড়কের বাসিন্দা শামীম শেখ ও মিতু দম্পতি। তাদের সহায়তা পাঠানোর ঠিকানা: বিকাশ: ০১৭২১২৩৪২২৮। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট: নাম রোকেয়া আক্তার শেফালী, অ্যাকাউন্ট নং: ১৮৬৯৫। রূপালী ব্যাংক লিমিটেড, হেমায়েত উদ্দিন রোড শাখা, বরিশাল।