বিকাশ রায় বাবুল, নীলফামারী :
শীতকালীন সবজি লাউ, যা খেতে খুবই সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। বাঙ্গালির খাদ্য তালিকায় প্রায় প্রতিটি মানুষের কাছে খুবই পছন্দনীয়। যার লতা, পাতা, বাকল সবকিছুই খাওয়া যায়। আর সেই লাউ শখের বশে চাষ করে ভাগ্য খুলেছে নীলফামারী সদর উপজেলার লক্ষীচাপ ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের শনু রামের ছেলে দীপু রায়ের।
দীপু রায় লেখাপড়া শেষে চাকুরী না পেয়ে যখন হতাশায় ভূগছিলেন। তখন মোবাইলে ইউটিউবের মাধ্যমে লাউ চাষ দেখে উদ্বুদ্ধ হন ।
এরপরই লাউ চাষের জন্য বাবার ২বিঘা জমিতে শুরু করেন লাউ চাষের প্রক্রিয়া। এরপর জমি প্রস্তুত , সার প্রয়োগ করা থেকে শুরু করে বীজ বপন, মাচা তৈরী, সব কিছুই করেন নিজ হাতে ।
লাউ ক্ষেতে আলাপচারিতায় দীপু রায় বলেন, লাউ চাষ অনেক লাভজনক। আমি গত বাংলা সনের শ্রাবন মাসে চাষকৃত দুইবিঘা জমিতে দোতারা জাতের লাউ বীজ বপন করেছি । এ জাতের লাউ গাছের জীবনকাল প্রায় ৩/৪ মাস।লাউ চাষে তেমন কোন পরিশ্রম নেই। অন্যান্য ফসলের চেয়ে লাউ চাষে আমার দ্বিগুন লাভ হচ্ছে । বর্তমানে আমার ২ বিঘা জমিতে লাউয়ের অনেক ফলন এসেছে। সপ্তাহে ৩-৪ বার লাউ ক্ষেত থেকে লাউ সংগ্রহ করছি । ইতিমধ্যে আমি ৫ বারের মতো লাউ বিক্রি করেছি। এতে আমার ২ বিঘা জমিতে খরচকৃত প্রায় ২৫ হাজার টাকা উঠে এসেছে । এখন গাছে আরো বেশি ফলন আসতেছে। খরচ বাদ দিয়ে ৭০ থেকে ৭৫ হাজার টাকার মত লাভ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।আবহাওয়া ভালো হলে আগামীতে আরো ৩ বিঘা জমিতে লাউ চাষের চিন্তা ভাবনা করছি।
তিনি আরো বলেন, লাউ ব্যবসায়ীরা আমার ক্ষেত থেকে লাউ কিনে নিয়ে যায় এবং মাঝে মাঝে আমি আড়তে গিয়েও বিক্রি করি।
দীপু রায়ের এই সাফল্য দেখে ওই এলাকার অনেকেই উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন লাউ চাষ করার।লাউ ক্ষেতে সারিসারি লাউ দেখে আনন্দে মন ভরে যায় তার। খুশি তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও।এখন এলাকার অনেকেই দেখতে আসছেন তার লাউ ক্ষেত।
এ বিষয়ে কথা হলে নীলফামারী জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ডিডি) আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, এবারে জেলায় ৫৫ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ করা হয়েছে। অধিক লাভজনক হওয়ায় কৃষকদের সবজি চাষে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এবারে আবহাওয়া জনিত কারনে জেলায় আগাম জাতের সবজি চাষে কৃষকদের মধ্যে আগ্রহ দেখা দিয়েছে।
Leave a Reply