সাব্বির আহমেদ
পাবনা জেলা প্রতিনিধি
পাবনার চাটমোহর থেকে অষ্টমনিষা অভিমুখি এলজিইডি’র রাস্তার পৈলানপুর এলাকায় একটি কালভার্ট অকেজো হওয়ায় পন্যবাহী ট্রাক, বাস, মাইক্রোবাস, পিকাপ, প্রাইভেটকারসহ এরকম ভারী যানবাহন গুলোকে অতিরিক্ত ১০ কিলোমিটার পথ ঘুরে ভাঙ্গুড়া সদর হয়ে অষ্টমনিষায় যাতায়াত করতে হচ্ছে।
এক সময় এ রাস্তায় ভারী যানবাহন চলাচল করলেও গত প্রায় ছয় বছর যাবত ভারি যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।
জানা গেছে, বছর ছয়েক আগে কালভার্টটি নড়বরে অবস্থায় উপনীত হলে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এখন থেকে বছর তিনেক আগে কালভার্ট অপসারণ করে চলাচলের জন্য তদস্থলে ভাঙ্গা ইট ফেলা হয়। তার উপর দিয়ে ভ্যান, অটোরিক্সা, মোটরসাইকেল এর মতো ছোট ছোট যানবাহন কোন রকমে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। তবে প্রায়শই ঘটছে দূর্ঘটনা।
আহত হচ্ছে মানুষ। নষ্ট হচ্ছে যানবাহনের যন্ত্রাংশ। দীর্ঘদিন দিন যাবত এ অবস্থা চলে আসলেও মেরামতের উদ্যোগ নিচ্ছে না কেউই। সম্প্রতি এলাকাবাসী চাদা হাড়ি তুলে রাস্তার দুই পাশে গাছের গুড়ি পুতে কোন রকমে চলাচল করছেন। কালভার্টের অভাবে এক সময়ের চালু একটি রাস্তা এখন প্রায় যানবাহন শূণ্য হয়ে পরেছে।
এলাকাবাসী জানান, চাটমোহর পৌর সদরের জার্দিসমোড় থেকে অষ্টমনিষার দূরত্ব আনুমানিক ৯ কিলোমিটার। এ রাস্তার পৈলানপুর এলাকায় একটা কালভার্ট ছিল। সেটি ভেঙ্গে চুরে নড়বরে হয়ে যাওয়ায় প্রায় তিন বছর ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তার উপর দিয়েই এ এলাকার মানুষ তখন চলাচল করতো। এখন থেকে বছর তিনেক পূর্বে কালভার্টটি ভেঙ্গে ফেলে সেখানে কিছু ভাঙ্গা ইট ও রাবিশ ফেলা হয়। কালভার্টের দুই পাশে খাল হওয়ায় কিছু ইট, রাবিশ স্থানচ্যুত হয়ে খালে চলে যায়।
বড়াল নদী হয়ে বিলে পানি প্রবেশও বন্ধ হয়ে যায়। কালভার্ট অপসারণ করলেও সেখানে প্রয়োজনীয় মাটি, রাবিশ না ফেলায় জায়গাটি কিছু নিচু ও সরু হয়ে যাওয়ায় বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, পিকাপ, প্রাইভেট কারসহ এরকম যানবাহন চলাচল করতে পারছে না।
একসময় এ রাস্তায় প্রতিদিন শত শত গাড়ি চলাচল করলেও প্রায় ৬ বছর যাবত এ রাস্তাটি ব্যবহার করতে পারছে না ভারী যানবাহন চালকেরা।
চাটমোহর থেকে অষ্টমনিষার দূরত্ব মাত্র ৯ কিলোমিটার হলেও মালবাহী ট্রাকসহ অন্যান্য বড় যানবাহন চালকদের ভাঙ্গুড়া উপজেলা সদর হয়ে চাটমোহর থেকে অষ্টমনিষা যেতে অথবা অষ্টমনিষা থেকে চাটমোহর আসতে অতিক্রম করতে হচ্ছে প্রায় ১৯ কিলোমিটার পথ। প্রায় দশ কিলোমিটার অতিরিক্ত পথ ঘুরতে হচ্ছে তাদের। এতে অতিরিক্ত খরচ ও সময় নষ্ট হচ্ছে যানবাহন চালকদের।
এ ব্যাপারে গুনাইগাছা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রজব আলী বাবলু জানান, আমি দুইবার এ স্থানটি সংস্কার করেছি। আশা করছি খুব দ্রুত এখানে কালভার্ট নির্মাণ হবে। যত দূর জানি যে কোন সময় টেন্ডার হবে।
চাটমোহর উপজেলা প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ জানান, এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন মহলে একটা প্রস্তাবনা পাঠিয়েছিলাম। সেখানে ২০ মিটার দৈর্ঘ্যরে একটি ব্রীজ অনুমোদন হয়েছে। আশা করছি খুব শীঘ্রই টেন্ডার দিতে পারবো। টেন্ডার হওয়ার পরে ঠিকাদার কাজ শুরু করবে। আশা করছি আগামি দুই তিন মাসের মধ্যেই ব্রীজের কাজ শুরু হবে।
Leave a Reply