1. emon@frilix.com : Emon Hasan : Emon Hasan
  2. editormrahman80@gmail.com : Mizanur Rahman : Mizanur Rahman
  3. info@www.janatarkatha24.com : admin :
  4. wpapitest@config.com : wpapitest :
শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:০৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
তানোরে শিক্ষকদের সাথে যুগ্ন সচিবের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত তানোরে মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা রাজশাহীর উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি বিষয়ক পর্যালোচনা সভা চারঘাটে মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল এখন নেশাগ্রস্তদের আড্ডাস্থল রাজশাহীতে সবুজ জ্বালানি নির্ভর খাদ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলার দাবিতে জনসমাবেশ গোদাগাড়ীতে শিশু সুরক্ষা নিয়ে কমিউনিটি সংলাপ নড়াইলে মোহাম্মদ উল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রচারের অভিযোগ, সংবাদ কর্মীদের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের অনুরোধ চট্টগ্রামে ইপসা’র সেক্টর নির্দিষ্ট আগাম সতর্কবার্তা উন্নয়নে কর্মশালা রাজশাহীতে বাসচাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু রাজশাহীর পদ্মায় কুমির, নদীতে গোসল না করতে মাইকিং
শিরোনাম:
তানোরে শিক্ষকদের সাথে যুগ্ন সচিবের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত তানোরে মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা রাজশাহীর উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি বিষয়ক পর্যালোচনা সভা চারঘাটে মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল এখন নেশাগ্রস্তদের আড্ডাস্থল রাজশাহীতে সবুজ জ্বালানি নির্ভর খাদ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলার দাবিতে জনসমাবেশ গোদাগাড়ীতে শিশু সুরক্ষা নিয়ে কমিউনিটি সংলাপ নড়াইলে মোহাম্মদ উল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রচারের অভিযোগ, সংবাদ কর্মীদের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের অনুরোধ চট্টগ্রামে ইপসা’র সেক্টর নির্দিষ্ট আগাম সতর্কবার্তা উন্নয়নে কর্মশালা রাজশাহীতে বাসচাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু রাজশাহীর পদ্মায় কুমির, নদীতে গোসল না করতে মাইকিং

ভাষা সৈনিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক রণেশ মৈত্র আর নেই!

রিপোটারের নাম
  • প্রকাশিত : সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ৬৯ বার পড়া হয়েছে

 

নিউজ ডেস্ক :

ভাষা সৈনিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ সাংবাদিক ও কলামিস্ট, পাবনা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক রণেশ মৈত্র আর নেই।

সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ভোর ৩টা ৪৭ মিনিটে ঢাকার পপুলার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।

পাবনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ তার মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করে বলেন, রণেশ মৈত্রের সন্তান অস্ট্রেলিয়া থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। তিনি পৌঁছানোর পর পারিবারিক সিদ্ধান্তে শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে।

জানা গেছে, ১৯৩৩ সালের ৪ অক্টোবর রাজশাহী জেলার নওহাটা গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। পৈতৃক বাসস্থান পাবনা জেলার সাঁথিয়া উপজেলার ভুলবাড়িয়া গ্রামে। বাবা রমেশ চন্দ্র ছিলেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক। সপ্তম শ্রেণিতে উঠার পর থেকেই রণেশ মৈত্র টিউশনি করে নিজের লেখাপড়ার খরচ চালাতেন।

নিজ জীবন সংগ্রাম থেকে শিক্ষা নিয়েই রণেশ মৈত্র দেশের অসহায়, শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের জন্য আন্দোলন ও সংগ্রাম করেন। ১৯৫০ সালে পাবনা জিসিআই স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। ১৯৫৫ সালে পাবনা অ্যাডওয়ার্ড কলেজ থেকে আইএ এবং ১৯৫৯ সালে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।

১৯৫১ সালে সিলেট থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক নওবেলাল পত্রিকার মাধ্যমে তার সাংবাদিকতা জীবন শুরু। এরপর কলকাতা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সত্যযুগে তিন বছর সাংবাদিকতার পর ১৯৫৫ সালে তিনি যোগ দেন দৈনিক সংবাদে। ১৯৬১ সালে ডেইলি মর্নিং নিউজ এবং ১৯৬৭ সাল থেকে ১৯৯২ পর্যন্ত দৈনিক অবজারভারে পাবনা প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯২ সালে দি নিউ নেশনের মফস্বল সম্পাদক হিসেবে যোগ দেওয়ার পর ১৯৯৩ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত দি ডেইলি স্টারের পাবনা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন। পরে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিয়ে একজন ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক হিসেবে দেশের শীর্ষ পত্রপত্রিকায় কলাম লিখে সারা দেশে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেছেন।

এছাড়া ১৯৬১ সালে পাবনায় পূর্ব পাকিস্তান মফস্বল সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে গঠিত পূর্ব-পাকিস্তান সাংবাদিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এই সম্মেলনের মাধ্যমে মফস্বল সাংবাদিকরা তাদের পেশার স্বীকৃতি পায়। সেই বছরেই প্রতিষ্ঠিত পাবনা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

তিনি দীর্ঘ দিন প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে জেলার সাংবাদিকদের নেতৃত্ব দিয়েছেন। সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য তিনি ২০১৮ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত হন।

১৯৪৮ সালে ছাত্র ইউনিয়ন থেকে ভাষা আন্দোলনের মিছিলে যোগ দেওয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয় রণেশ মৈত্রের রাজনৈতিক জীবন। একই সময়ে সাংবাদিকতা পেশায় জড়িয়ে পড়েন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে জেলও খেটেছেন।

১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে তিনি পাবনা জেলার অন্যতম সংগঠক ছিলেন। সেই বছরেই তিনি ছাত্র ইউনিয়নের জেলা সাংগঠনিক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৫৩ সালে অ্যাডওয়ার্ড কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে সাংস্কৃতিক সম্পাদক নির্বাচিত হন।

রাজনৈতিক আন্দোলনের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক আন্দোলন জোরদার করার লক্ষ্যে তিনি বাংলাদেশ অবজারভারের আব্দুল মতিন, কামাল লোহানীসহ প্রগতিশীল বন্ধুদের সঙ্গে গঠন করেন শিখা সংঘ নামে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন। সেখানে একটি সমৃদ্ধ পাঠাগার ছিল, যেখান থেকে শিখা নামে একটি হাতে লেখা পত্রিকাও প্রকাশিত হতো।

তার স্ত্রী পূরবী মৈত্র বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের পাবনা জেলা শাখার সভাপতি। চার ছেলেমেয়ে সবাই নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
Copyright © 2024 Frilix Group
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD