1. emon@frilix.com : Emon Hasan : Emon Hasan
  2. editormrahman80@gmail.com : Mizanur Rahman : Mizanur Rahman
  3. info@www.janatarkatha24.com : admin :
  4. wpapitest@config.com : wpapitest :
শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
ইসলামপুরে মাদক- জুয়া-ইয়াবা-গাজা, চুরি প্রতিরোধে প্রতিবাদ-মানববন্ধন ইসলামপুরে মেয়র পদপ্রার্থী নাজিম হোসেন নোমানের পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন ইন্দুরকানীতে জাকের পার্টির জনসভা অনুষ্ঠিত ইসলামপুরে মন্দির পরিদর্শন করলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল মাস্টার তানোরে মা ও ছেলেকে কুপিয়ে জখম! দালাল-কর্মকর্তায় একাট্টা রাজশাহীর ভূমি অফিস লালমনিরহাট-১ (পাটগ্রাম-হাতীবান্ধা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন সেই সবজি বিক্রেতা শিহাব আহমেদ তানোরে মন্দির ভাঙার হুমকি সংক্রান্ত প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে স্পষ্টীকরণ আর করব না আলু চাষ দেখব তোরা কী খাস’ রাজশাহীতে চাল-আটা কিনতে মধ্যরাত থেকে লাইন
শিরোনাম:
ইসলামপুরে মাদক- জুয়া-ইয়াবা-গাজা, চুরি প্রতিরোধে প্রতিবাদ-মানববন্ধন ইসলামপুরে মেয়র পদপ্রার্থী নাজিম হোসেন নোমানের পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন ইন্দুরকানীতে জাকের পার্টির জনসভা অনুষ্ঠিত ইসলামপুরে মন্দির পরিদর্শন করলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল মাস্টার তানোরে মা ও ছেলেকে কুপিয়ে জখম! দালাল-কর্মকর্তায় একাট্টা রাজশাহীর ভূমি অফিস লালমনিরহাট-১ (পাটগ্রাম-হাতীবান্ধা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন সেই সবজি বিক্রেতা শিহাব আহমেদ তানোরে মন্দির ভাঙার হুমকি সংক্রান্ত প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে স্পষ্টীকরণ আর করব না আলু চাষ দেখব তোরা কী খাস’ রাজশাহীতে চাল-আটা কিনতে মধ্যরাত থেকে লাইন

লালমনিরহাটে দশ বছর ধরে শিকলে বাঁধা সোহাগের জীবন

রিপোটারের নাম
  • প্রকাশিত : বুধবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২২
  • ৫৯ বার পড়া হয়েছে

 

রাসেল ইসলাম, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
দীর্ঘ ১০ বছর ধরে পায়ে শিকল বাঁধা অবস্থায় জীবন কাটছে লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার মানসিক ভারসম্যহীন সোহাগী বেগম (১৮)।

সোহাগী বেগম লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের নামুড়ি কদমতলা মোড় এলাকার দুলাল হোসেনের মেয়ে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, উপজেলার নামুড়ি কদমতলা গ্রামের দুলাল হোসেনের ৪ মেয়ের মধ্যে দ্বিতীয় সোহাগী বেগম জন্মের পর থেকে ভালই ছিল। আদর করে বাবা-মা নাম রাখেন সোহাগী। ৪ বছর বয়সে হঠাৎ বাড়ির পাশে পুকুরে ডুবে আহত হয় সে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পেট থেকে পানি বের করে। পেট থেকে পানি বের করতে সোহাগীর পা ধরে ঘোরানো হয় চতুর্দিকে। এতে মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হয় সে।

পানিতে ডুবে বেঁচে গেলেও সেই চিকিৎসা তার মানসিক বিকাশে বাঁধা গ্রস্থ হয়। ধিরে ধিরে বাড়তে থাকে মানসিক বিকারগ্রস্থতা। অভাবের সংসারে আদরের সন্তানকে সুস্থ্য করতে প্রাণপণ চেষ্টাও করেন তার পরিবার। কিছুতেই সুস্থতা সম্ভব হয়নি। বয়সের সাথেই বাড়তে থাকে মানসিক বিকারগ্রস্থতা। বাহিরে ছুটে গিয়ে অন্যের ক্ষতি করে সোহাগী। প্রতিবেশীরা এক পর্যয়ে বিরক্ত হলে তাকে ঘরে আটকিয়ে রাখে পরিবার।

হারানোর ভয় আর অন্যের ক্ষতিসাধন করায় নিরুপায় সোহাগীর পরিবার গত ১০ বছর ধরে পায়ে শিকল বেঁধে রাখে। ভোর হলে বাড়ির পাশে একটি গাছের সাথে সোহাগীর পায়ের শিকল তালা বদ্ধ করে রাখে। সন্ধ্যা হলে ঘরের বিছানার সাথে শিকল বাঁধা থাকে সোহাগী। শিকলে বাঁধা অবস্থায় হচ্ছে খাওয়া-দাওয়া প্রসাব-পায়খানা।

কথা বলতে পারে না সোহাগী। পেটে ক্ষিদে পেলে চিৎকার দেয়। খাওয়ার রুচিও প্রচুর। গরিব বাবা দুলাল হোসেন সামান্য পুঁজির ঝিল মাংস বিক্রেতা। সেখানে যা আয় হয় তাই দিয়ে কোন ভাবে চলে তার ৬ সদস্যের সংসার। অভাবের কারনে চাহিদামত খাবারও পাচ্ছে না মানসিক ভারসাম্যহীন সোহাগী বেগম।

এক সময় নামুড়ি গুচ্ছগ্রামে অন্যের নামে বরাদ্ধের ঘরে থাকতেন দুলাল হোসেন। সেই জরাজীর্ন ঘরে থাকার মত পরিবেশ নেই। তাই স্ত্রী সাবিনা বেগমের পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া মাত্র দুই শতাংশ জমিতেই ঘর করে কোন রকম জীবন যাপন করছেন তারা।

আদরের মেয়ে সোহাগীর সুস্থ্য জীবন দেখার প্রচন্ড স্বাধ থাকলেও সাধ্যের বাহিরে। প্রতিনিয়ত দীর্ঘশ্বাসে কাটে দুলাল-সাবিনা দম্পতির সংসার। অভাবের পরেও যখনই ভাল চিকিৎসকের সন্ধান পেয়েছেন সেখানেই ছুটেছেন মেয়ের চিকিৎসার জন্য। প্রতি বারই অর্থের অভাবে সম্পুর্ন চিকিৎসা করাতে পারেনি তার পরিবার। তাই দীর্ঘ ১০ বছর ধরে শিকলে বাঁধা সোহাগীর জীবন।

জন্ম দাতা বাবা-মা নিরুপায় হয়ে সকালে ঘুম থেকে উঠেই গবাদি পশুর মতই মেয়েকে ঘর থেকে বাহিরে গাছের সাথে শিকলে বেঁধে রাখেন। আবার সন্ধ্যা হলে একই ভাবে বিছানার খুঁটির সাথে বেঁধে রাখতে হয় আদরের সন্তানকে।

সোহাগীর মা সাবিনা বেগম বলেন, পৃথিবীর সব থেকে কঠিন কাজ পেটের সন্তানকে শিকলে বেঁধে রাখা। এ কাজটি প্রতিদিন করতে হচ্ছে। সোহাগীর প্রসাব পায়না যুক্ত কাপড় পরিস্কার করতেও কষ্ট হয়না। বুক ছিঁড়ে যায় যখন মেয়েকে গরু ছাগলের মত গাছের সাথে শিকলে বেঁধে রাখি। টাকার অভাবে উপযুক্ত চিকিৎসা হচ্ছে না। উপযুক্ত চিকিৎসা করালে সোহাগী সুস্থ হত। এজন্য সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্য কামনা করেন তিনি।

সোহাগীর বাবা দুলাল হোসেন বলেন, প্রথম দিকে চিকিৎসা করাতে অনেক টাকা নষ্ট করেছি। কোন কাজ হয়নি। মেয়ের চিকিৎসা করাতেই নিঃস্ব হয়েছি। সুযোগ পেলে ছুটে গিয়ে সোহাগী অন্যের ক্ষতি করে। তাই বাধ্য হয়ে শিকলে বেঁধে রেখেছি। এভাবেই কাটছে ১০ বছর।

সোহাগীর প্রতিবেশী পলাশী ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সম্পাদক ইকবাল হোসেন বিপ্লব বলেন, মেয়েটার চিকিৎসা করাতেই নিঃস্ব হয়েছে পরিবারটি। এখন অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে না পেয়ে মেয়েকে শিকল বেঁধে রেখেছে। সাধ্যমত গ্রামবাসী ওই পরিবারকে সহায়তা করে। উপযুক্ত চিকিৎসা করালে হয়তো সুস্থ্য হবে সোহাগী। তার সুচিকিৎসার জন্য সরকারের ঊর্দ্ধতন মহলের সহায়তা কামনা করেন তিনি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
Copyright © 2024 Frilix Group
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD