পাবনা প্রতিনিধি :
পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার বরদানগর আব্বাসিয়া দাখিল মাদ্রাসায় এবার সরকারি পাঠ্যবই বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। মাদ্রাসার সুপার মোঃ সাইদুল ইসলামের নির্দেশে শিক্ষক রাকিবুল ইসলাম গত ৩০ ডিসেম্বর গভীর রাতে মাদ্রাসার পিয়ন মোঃ আঃ আজিজ ও নৈশপ্রহরী মোঃ তৈয়ব আলীর সহযোগিতায় মাদ্রাসায় সংরক্ষিত সরকারি পাঠ্যবই বিক্রি করেন বলে অভিযোগ। রাতের আঁধারে এভাবে পাঠ্যবই বিক্রির বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসী নৈশপ্রহরী মোঃ তৈয়ব আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে নৈশপ্রহরী বই বিক্রির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান প্রায় ৯/১০মণ বই ও খাতা বিক্রি করেছেন রাকিবুল স্যার। তবে প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসীর অভিমত ইঞ্জিনচালিত একটি বই গাড়িতে প্রায় ৩০/৪০ মণ বই রাতের অন্ধকারে পাচার করা হয়েছে।
শীতের রাতে গ্রামের লোকজন যখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ,তখনই মাদ্রাসার সুপারের নির্দেশে এই বই বিক্রির ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ,মাদ্রাসার শিক্ষার্থীর সংখ্যা খুবই কম। অথচ সুপার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে প্রতিবছর মিথ্যে তথ্য দিয়ে অতিরিক্ত বই বরাদ্দ নিয়ে আসেন। প্রাপ্ত বইয়ের সিংহভাগ বিতরণ করা হয়না। তদন্ত করলেই এর সত্যতা মিলবে বলে সচেতন এলাকাবাসীর অভিমত।
এদিকে গত ৩ জানুয়ারি এলাকার অর্ধশতাধিক সচেতন ব্যক্তি মাদ্রাসায় সংরক্ষিত সরকারি পাঠ্যবই বিক্রির বিষয়ে চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন। এলাকাবাসী সরেজমিন তদন্তপূর্বক সরকারি পাঠ্যবই বিক্রির সাথে জড়িত দোষী সুপারসহ অন্যান্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানিয়েছেন।
বই বিক্রির বিষয়ে মাদ্রাসার সুপার মোঃ সাইদুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিককে বলেন,কোন বই বিক্রি করা হয়নি। পুরাতন খাতা বিক্রি করা হয়েছে। গভীর রাতে কেন সেটা বিক্রি করা হলো-এমন প্রশ্নের তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
মাদ্রাসার এডহক কমিটির সভাপতি মোঃ শওকত বলেন,বই বিক্রির ঘটনা সত্য নয়,পুরাতন খাতা বিক্রি করা হয়েছে।
উপজেলা অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার মোঃ গোলাম মোস্তফা বলেন,সরকারি পাঠ্যবই বিক্রির কোন বিধান বা নির্দেশনা নেই। যদি তারা সরকারি পাঠ্যবই বিক্রি করে তাহলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মগরেব আলী বলেন,আমি এলাকার লোকজনের মারফত জানতে পেরেছি বিষয়টি। পরে শুনেছি পুরাতন খাতা বিক্রি করা হয়েছে।