নড়াইল প্রতিনিধিঃ
নড়াইল সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সুলতান মাহমুদের বিরূদ্ধে প্রশিক্ষণ নিতে আসা শিক্ষকদের নাস্তার টাকা আত্নসাতের অভিযোগ উঠেছে।
নাস্তার টাকা আত্নসাতের ঘটনায় শিক্ষকদের সাথে তার চরম তর্ক বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে তিনি দায় স্বিকার করে ভবিষ্যতে এ রকম কাজ করবেন না মর্মে অঙ্গিকার করে সকলের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তবে ঘুষখোর এ কর্মকর্তার উপর ক্ষুব্ধ শিক্ষকরা রোববার (১৫জানুয়ারি) তাদের ৫ দিন ব্যাপি প্রশিক্ষণ শেষে মুখ খুলতে শুরু করেন।
তারা জানান নতুন কারিকুলাম বিষয়ে সাধারণ শিক্ষকদের মধ্যে সদর উপজেলার ৭শ জন শিক্ষকের প্রথম ধাপে ৫ দিনের প্রশিক্ষণ হয় নড়াইল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে। প্রতিদিন দু’বেলা নাস্তা দেয়ার কথা থাকলেও তাদের এক বেলা নাস্তা দেয়া হয়েছে। তাও নাম মাত্র। শুধু প্রথমদিন এক বোতল পানি দেয়া হয়েছে। আর বলা হয়েছে ওই পানি পান করার পর খালি বোতল নিজেরা ভরে এনে কাছে রেখে পান করতে হবে।
কোন দিন সকালে এক খানা বিস্কুট আবার কোন দিন সকালে এক খানা কেক বা ড্রাই কেক দেয়া হয়েছে। অথচ সদর উপজেলা ছাড়া অন্যান্য সকল জায়গায় শিক্ষকদের মান সম্মত নাস্তা দেয়া হয়েছে। তাছাড়া শিক্ষকদের সাথে শিক্ষা অফিসার সুলতান মাহমুদ অত্যন্ত খারাপ ভাষায় কথা বলেছেন। নিজেকে তিনি উচ্চ শিক্ষিত ও ক্ষমতাবান অফিসার দাবি করে শিক্ষকদের নানা ভাবে হুমকি ধামকি দিয়েছেন। ঘুষখোর এই কর্মকর্তা নড়াইলে আসার পর শিক্ষা ব্যবস্থায় ধস নেমেছে। তিনি অধিকাংশ সময় ফোন বন্ধরেখে শিক্ষকদের হয়রানি করেন।ঘুষ ছাড়া কোন কাজ করেন না। তার সাথে কথা বলতে টাকা লাগে।
সাধারণ শিক্ষকরা তার অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন। তিনি নিজেকে বেশি শিক্ষিত ও দক্ষ অফিসার দাবি করেন। ঘুষ দুর্নীতি অনিয়ম ছাড়া কোন ভালো কাজ তিনি করেন না। নড়াইলে তিনি ঘুষখোর অফিসার হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। এ বিষয়ে জানার জন্য তাকে ফোন দিলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেন।
Leave a Reply