নিউজ ডেস্ক :
আসছে ফেব্রুয়ারির ১ তারিখ থেকে চিনি দাম বাড়ার কথা থাকলেও বাজারে এখনি বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। ফেব্রুয়ারি মাস থেকে নতুন করে কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে খোলা চিনি ১০৭ টাকা ও প্যাকেটজাত চিনি ১১২ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা। কিন্তু ব্যবসায়ীরা এখনই বাড়তি দামে চিনি বিক্রি শুরু করেছেন।
বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি চিনি ১১৫ থেকে ১২০ টাকার কমে মিলছে না।
শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে চিনির দামের এমন চিত্র দেখা গেছে।
রাজধানীর মালিবাগ বাজারের চিনি বিক্রেতা আকতার হোসেন বলেন, নির্ধারিত দামে আগেও চিনি বিক্রি হয়নি এখনও হচ্ছে না। নতুন করে দাম বাড়ার ঘোষণার পর সরবরাহ কমে গেছে। আমরা বুঝতে পারছি না পরিস্থিতি কোথায় যাবে।
সরকার কঠিনভাবে চিনির দাম নিয়ন্ত্রণ করছে না। ফলে আমাদের মতো খুচরা ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
বাজারে শুধু চিনি নয়, মসলাসহ আদা-রসুন ও শুকনো মরিচের দামেও অস্থিরতা বিরাজ করছে। প্রতি কেজি আদা ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রসুনের দামও বেড়ে ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা হয়েছে।
শুকনো মরিচের দাম প্রতি কেজি এখন ৫০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। আসন্ন রমজানের আগে সরবরাহ না বাড়লে দাম আরও বাড়তে পারে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারিতে আমদানি করা ভারতীয় মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৭০ টাকায়। আর মিয়ানমার থেকে আমদানি করা মরিচ কেজি প্রতি ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শীত মৌসুম শেষ না হতেই বাজারে চড়া মৌসুমি সবজির দাম। বাজারে পর্যাপ্ত সবজির সরবরাহ থাকলেও দাম বেড়েছে প্রতিটি সবজির।
ব্রয়লার মুরগির দামও কিছুটা বেড়ে প্রতি কেজি ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডিমের দামে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। কোনো কোনো এলাকায় প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। তবে নিত্যপণ্যের বাজারগুলোতে এ দাম ১২৫ টাকা দেখা গেছে।
তালতলা বাজারের ডিম বিক্রেতা আশফাক হোসেন বলেন, ডিমের দাম বাড়তির দিকে। তবে এবার দাম উঠছে ধীর গতিতে। পাইকারিতে আমরা যেভাবে কিনতে পারি, খুচরায় ডজনপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা লাভ রেখে বিক্রি করি। গত বছর ডিমের হালি ৫৫ টাকার ওপরে উঠেছিল। এবার সেই অবস্থায় যাওয়ার মতো সম্ভাবনা নেই।
মাছের বাজার কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে। ১৬০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে কম দামি মাছ পাঙাশ ও তেলাপিয়া।গরুর মাংসের কেজি ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে থাকলেও খাসির মাংসের দাম কিছু জায়গায় ১০০ টাকা বাড়তিতে ১ হাজার ১০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে।
মৌচাকের ক্রেতা নীলুফা আক্তার বলেন, বাড়তি দামের কারণে মাছ-মাংস খাওয়া কমিয়ে দিয়েছি। সবজি ও ডিম বেশি খাই। এখন এসব পণ্যেরও দাম বাড়ছে। তাতে আমাদের মতো নিম্ন আয়ের পরিবারের কষ্ট কিছুতেই কমছে না।