মোঃ জুলহাস উদ্দিন হিরো, শেরপুর প্রতিনিধি,
মায়ের অসুস্থতায় চিকিৎসার জন্য টাকার প্রয়োজন৷ এ জন্য তিনি জমি বিক্রি করবেন৷ রেজিস্ট্রির জন্য উপজেলা ভূমি অফিসে গেলে তিনি জানতে পারেন তার আইডি কার্ডের কোন তথ্যই সরকারি সার্ভারে দেখাচ্ছে না৷ অফিসের কর্মকর্তাদের পরামর্শে তিনি উপজেলা নির্বাচন অফিসে যান৷ নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা জানালেন দুই বছর আগেই তার আইডিটি মৃতের তালিকায় রয়েছে৷ নূর নাহার এর বাড়ী শেরপুরের নালিতাবাড়ী পৌরশহরের কামার পট্টি মহল্লায়৷
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে নুর নাহার উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে ফিরে এসে নিজেই বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।
এ সময় তিনি বলেন, আমি অনেকদিন যাবত আমার সকল প্রকার কাজে বিভিন্ন অফিসে এই কার্ডটি ব্যবহার করছি। তবে কখনোই অনলাইনে তার জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করে দেখেননি। দুইদিন আগে জমি বিক্রি করার জন্য খারিজ করতে গেলে আমাকে জানানো হয়, আপনার আইডির কোনো তথ্য অনলাইনে নাই। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী আমি বুধবার সকালে নির্বাচন কার্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি আইডি কার্ডের তথ্য অনুযায়ী আমি দুই বছর আগেই মারা গেছি। কারণ অনলাইন সার্ভারে আমাকে মৃত দেখাচ্ছে।
তিনি জানান, বিগত দিনে সবকিছু ঠিক ঠাক ছিল৷ কিন্ত দুদিন আগে আমি জানতে পারলাম যে আমার আইডি কার্ডটি মৃতের তালিকায় আছে৷ আমার ধারণা মৃত ভোটারদের নাম বাদ দেয়ার সময় তথ্য সংগ্রহকারী ভুলবশত তার নাম লিপিবদ্ধ করেছিলেন৷
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, ভুক্তভোগী ব্যক্তি আবেদন করলে দ্রুত তার সমস্যা সমাধান করা হবে। বিগত সময়ে ভোটার তালিকা থেকে মৃত ভোটারদের বাদ দেয়ার সময় তথ্য সংগ্রহকারী হয়তো ভুল করেছেন। এসব ভুল সংশোধনের সুযোগ রয়েছে।
সংবাদদাতা, মোঃ জুলহাস উদ্দিন হিরো,
শেরপুর প্রতিনিধি,