মো: জুলহাস উদ্দিন হিরো, শেরপুর প্রতিনিধি,
শেরপুরে চোরের নামে মামলা করায় হুমকির মুখে আতংকে দিন কাটাচ্ছেন বাদীপক্ষের পরিবার।
শিমু আক্তার পাখি। দির্ঘদিন যাবৎ শেরপুর ( রংমহল) এ-র পিছনে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন এবং বাসায় কাপড়ের ব্যবসা করেন। ব্যবসার সুবাদে তার বাসায় সব সময় মহিলা ক্রেতারা গিয়ে কাপড় কিনা কাটা করে। শিমু অল্প লাভে বেঁচা কেনা করতেন, সেই সুবাদে শিমুর ব্যবসা অল্প কিছুদিনের মধ্যে স্বচল হয়ে উঠে।
সেই সাথে সকল ক্রেতাদের সঙ্গে শিমুর সু- সম্পর্ক গড়ে উঠে। আর এই সুযোগে (শিমুকে) শেফালী তার ছোট বোন হিসেবে সম্মতি দিয়ে বলে আমার কোনও ভাই বোন নেই। তুমি যদি আমার ছোট হতে - শেফালী এই বলে দুঃখ প্রকাশ করে।
এতে শিমু তাকে বড়বোন হিসেবে সৃকৃতি দেয়।
এই সূত্র ধরে ( শিমুর) বাসায়, সময়ে - অসময়ে যাতায়াত শুরু করে শেফালী। ঘটনার দিন ১২/১১/২০২২ ইং রোজ শনিবার বিকেল (৪) টার দিকে শেফালী ( শিমুর) বাসায় গিয়ে দেখে শিমু মেয়েকে নিয়ে ঘুমিয়ে আছে। এ-ই সুযোগে সে কাঠের আলমারির ড্রয়ার থেকে নগদ (৫৫) হাজার টাকা। দশ আনা ওজনের স্বর্নের চেইন। এক ভরি ওজনের একটা স্বর্নের নেকলেস সহ ঘর থেকে (৩৫) হাজার টাকার কাপড় নিয়ে পালানোর সময় শিমুর (মা) তাকে দেখে ফেলে,পরে তাকে ধরার জন্য চেষ্টা করে এবং তার ডাক চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে চোর শেফালীকে ধরতে ব্যর্থ হয়। পরে ( শিমু ) কতিপয় সাক্ষীগণকে সঙ্গে নিয়ে শেফালির বাসায় গিয়ে খোঁজে না পাওয়ায় তার আত্মীয় স্বজনের কাছে বিস্তারিত ঘটনা খুলে বলা হলে শেফালির স্বজনরা- চুরি কৃত টাকা সহ সবকিছু শিমুকে ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন এবং কোনো প্রকার আইনী আশ্রয় নিতে শিমুকে নিষেধ করেন। এতে শেফালির স্বজনরা চুরিকৃত টাকা সহ মালামাল ফিরিয়ে দিতে ব্যর্থ হওয়ায় থানায় অভিযোগের সময় পিছিয়ে পড়ে।
পরে শিমু বাদী হয়ে, ১৭/১১/২০২২ ইং- বিজ্ঞ সি আর আমলী আদালত শেরপুর। সি,আর নং (১৩৯০/২০২২)
প্রতারক শেফালী আক্তার কে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। উক্ত মামলায় মহামান্য আদালত আসামীকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। এ-র সূত্র ধরে আসামী ( শেফালী ) বাদীপক্ষকে মামলা উঠিয়ে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছেন। এমতাবস্থায় বাদীপক্ষ আতংকে দিন কাটাচ্ছেন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, শেফালী আক্তার শুধু চোর নয় বরং সে একজন প্রতারকও বটে। সে একেক সময়, একেকটা রুপ ধারণ করে থাকে কখনো কারোর প্রেমিকা আবার কখনো কারোর বোন, বিভিন্ন কলা কৌশলে ছেলেদের ব্ল্যাকমেইল করে তাকে বিয়ের পিরিতে বসিয়ে আত্মসাৎ করে লাখ লাখ টাকা। তার হাত থেকে রেহাই পায়নি সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী গণও দিতে হয়েছে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা। এমন নজরবিহীন জ্যান্ত প্রমাণ রয়েছে শেরপুরের বিভিন্ন এলাকায়। ভুক্তভোগী দুই একজনের নাম উল্লেখ্য করা হলো হান্নান পেশকার শ্রীবরদী, রিপন মিয়া শেরপুর। এস আই রফিকুল ইসলাম সহ -আরো অনেকে।
মহামান্য আদালতের কাছে ন্যায় বিচারের দাবি করেন শিমু আক্তার সহ তার পরিবারের লোকজন।