1. emon@frilix.com : Emon Hasan : Emon Hasan
  2. editormrahman80@gmail.com : Mizanur Rahman : Mizanur Rahman
  3. info@www.janatarkatha24.com : admin :
  4. wpapitest@config.com : wpapitest :
মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৪৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
নড়াইলের শেখহাটি ইউনিয়নে ভিডব্লিউবি কর্মসূচির চাল বিতরণ সিংড়ায় বিএনপি’র ৩১ দফার পক্ষে ব্যতিক্রমী গণসংযোগ নড়াইলে হবখালী হামিদুনেচ্ছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনুপস্থিত শিক্ষিকাকে স্বাক্ষর করানোর অভিযোগ চট্টগ্রামে জশনে জুলুসে ২জনের মৃত্যু : আহত অনেকেই নড়াইলে হত্যা মামলার বাদীকে অপহরণের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত নড়াইলের নড়াগাতীতে অজ্ঞাত কিশোরীর অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার রায়পুরে হিন্দু যুবক কতৃক মুসলিম কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ বরেন্দ্র অঞ্চলে অসময়ে আমের সমারোহ: কাটিমন জাতের চাষে ঝুঁকছেন কৃষকেরা শীর্ষ প্রতারক মামলাবাজ চিকিৎসক পরিবার বিচার চেয়ে ভুক্তভোগীদের সংবাদ সম্মেলন ফটিকছড়িতে আলোচিত কিশোর মাহিন হত্যা মামলায় আটক আরও -১
শিরোনাম:
নড়াইলের শেখহাটি ইউনিয়নে ভিডব্লিউবি কর্মসূচির চাল বিতরণ সিংড়ায় বিএনপি’র ৩১ দফার পক্ষে ব্যতিক্রমী গণসংযোগ নড়াইলে হবখালী হামিদুনেচ্ছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনুপস্থিত শিক্ষিকাকে স্বাক্ষর করানোর অভিযোগ চট্টগ্রামে জশনে জুলুসে ২জনের মৃত্যু : আহত অনেকেই নড়াইলে হত্যা মামলার বাদীকে অপহরণের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত নড়াইলের নড়াগাতীতে অজ্ঞাত কিশোরীর অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার রায়পুরে হিন্দু যুবক কতৃক মুসলিম কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ বরেন্দ্র অঞ্চলে অসময়ে আমের সমারোহ: কাটিমন জাতের চাষে ঝুঁকছেন কৃষকেরা শীর্ষ প্রতারক মামলাবাজ চিকিৎসক পরিবার বিচার চেয়ে ভুক্তভোগীদের সংবাদ সম্মেলন ফটিকছড়িতে আলোচিত কিশোর মাহিন হত্যা মামলায় আটক আরও -১

তানোরে ডিএপি সার সংকটে আলুক্ষেতে টপড্রেসিং বিড়ম্বণায় চাষীরা

রিপোটারের নাম
  • প্রকাশিত : সোমবার, ৬ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ১০৩ বার পড়া হয়েছে

 

সোহেল রানা,রাজশাহী,প্রতিনিধি:

কিছুতেই কাটছেনা ডিএপি সারের সংকট বলে নিশ্চিত করেছে চাষীরা। একারণে আলুক্ষেতে সময়মত টপড্রেসিং করতে বিড়াম্বণায় পড়েছে এঅঞ্চলের বিপুল সংখ্যক আলু চাষী। বিভিন্ন দোকান ঘুরে ন্যায্য দাম তো দুরে থাক বাড়তি দামেও মিলছে না ডিএপি সার। আলুর ক্ষেতে টপড্রেসিংয়ের আগে ডিএপি সারের প্রয়োজন হয়।তাছাড়া কাংখিত ফলন পাওয়া যায় না। সার না পেলেও কৃষি দপ্তরের কোন তদারকি নেই। সারের বিষয়ে সর্বময় ক্ষমতার মালিক বনে গেছেন কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদ। তিনি ছাড়া কোন কর্মকর্তা সার বিষয়ে তথ্য দিতে নারাজ। ফলে দ্রুত সময়ের মধ্যে ডিএপি সারের ব্যবস্থা না করলে অধিক টাকার আলুর চাষাবাদ ভেস্তে যাবে এবং ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন চাষীরা।চাষীদের তথ্যমতে, উপজেলার প্রায় মাঠে আলু রোপন হয়েছে। শোভা পাচ্ছে আলুর সবুজ পাতা। আলু রোপনের ২৫ থেকে ২৬ দিনের মধ্যে টপড্রেসিং করতে হয়। কিন্তু টপড্রেসিংয়ের জন্য প্রয়োজন হয় ডিএপি সারের। বিঘায় ২০ থেকে ২৫ কেজি, আবার অনেকে ৩০ কেজি করেও ব্যবহার করে থাকে। যারা আলুর প্রজেক্ট করেছেন তারা বাড়তি দামে প্রয়োজনীয় সব সার মজুদ করে রেখেছে। তাদের কোন সমস্যা নেই। কিন্তু যারা সরকারি মূল্যে সার পাওয়ার আশায় ছিলেন তারা কোনভাবেই পাচ্ছে না ডিএপি। শুধু ডিএপি নয় টিএসপি সারেরও সংকট তৈরি করেছেন ডিলাররা। তানোর পৌর এলাকার কৃষক মুনসুর জানান, ধানতৈড় গ্রামের বাবু ৫০ বিঘা জমিতে আলু রোপন করে ডিএপি সার সংকটে টপড্রেসিং করতে পারছে না। শরিফুল, হিরোন, জিল্লু ও হোসেন সার পায়নি। না পাওয়ার কারণে টপড্রেসিং করতে পারেনি।মোহনপুর গ্রামের আব্দুল খালেক ১০ বিঘা, সইবুর ৬০ বিঘা, গোলাম মুর্তজা ৫০ বিঘা, দুবইল গ্রামের জলিল ৪০ বিঘা, আক্কাস ৫ বিঘা, বানিয়াল গ্রামের সমশের ১০ বিঘা জমিতে টপড্রেসিং করতে পারছে না। তারা জানান, আলুর জমি পাইল খনন করার পর ডিএপি সার দিতে হয়। সার দেয়ার ৩ থেকে ৪ দিন পর খননকৃত পাইল থেকে মাটি তুলে গাছের গোড়ায় দেয়া হয়। কিন্তু বিগত ১০ থেকে ১২ দিন ধরে ডিএপি সার মিলছেনা। সারের দোকানে গেলেই ১৪০০ থেকে ১৪৫০ টাকা করে দাম চাচ্ছে। রোপন থেকে এখন পর্যন্ত সার নিয়ে মহা কারসাজি চলছে। অথচ কৃষি অফিস থেকে কোন তদারকি নেই। তদারকি বা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করলে এতো বাড়তি দাম নিতে পারত না। ৫০ কেজির সরকারি মূল্যে এক বস্তা ডিএপি সারের দাম ১ হাজার ৫০ টাকা। কিন্তু বস্তায় ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা করে বাড়তি দাম নিচ্ছে অসাধু ডিলারেরা।চাষীরা জানান, বাড়তি দামের কথা বললেই সার পাওয়া যাবে না। কারণ ডিলারদের সাব কথা বাহির থেকে বাড়তি দামে কিনে এনেছি। সুতরাং বাড়তি দাম ছাড়া বিক্রি করা যাবেনা। আলুর চাষাবাদে সময় মত সার না দিলে ফলন ভালো হবে না।এক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না শর্তে জানান, সরকারের গুদামেই তো ডিএপি সার নেই। তাহলে কিভাবে দিবে। এজন্য চাষাবাদ রক্ষা করতে কৃষি দপ্তরের অনুমতিক্রমে বাহির থেকে বিভিন্ন ভাবে চোরাই পথে সার নিয়ে আসছেন। একারণে সার ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে কীটনাশক ব্যবসায়ীরাও পাইকারি ভাবে সারএনে ইচ্ছে মত দাম নিচ্ছে। আর বাহির থেকে আমদানি করা সারের মান কেমন বা আসল নাকি ভেজাল বোঝার উপায় নেই। কিন্তু কৃষি অফিসার নিজের খেয়াল খুশিমত এবং তার পছন্দের ডিলারদের সুযোগ করে দিয়েছেন।শনিবার এক আলু চাষী নাম প্রকাশ না করে জানান, গোল্লাপাড়া বাজার থেকে ১ হাজার ২৫০ টাকা দরে প্রতি বস্তা ডিএপি নিয়েছি। কোন মেমো দেয়নি। দোকানের নাম জানতে চাইলে তিনি জানান, নাম বলতে নিষেধ করেছে, নাম বললে আমাকে আর সার দিবে না।উপজেলার তালন্দ ইউপির বিসিআইসির ডিলার সুমন তো দোকান খুলেনা, তার নিজস্ব গুদাম নেই। বরাদ্দের প্রায় সার মোকামেই বিক্রি করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তিনি কৃষকদের সার না দিয়ে পৌর এলাকার তালন্দ বাজারের কিছু ব্যবসায়ীকে দিয়ে থাকেন। উপজেলার বাধাইড় ইউপির বিসিআইসির ডিলার বাবু জানান, আমি সরকারি মূল্যে বিক্রি করেছি। অবশ্য ওই এলাকায় আলুর চাষ কম হয়। তিনি আরো জানান, ডিএপি সারের সংকট হওয়ার কথা নয়। কারণ প্রতি ডিলারকে ৫ টন করে বরাদ্দ দিয়েছে। পাঁচন্দর ইউপির ডিলার প্রণব সাহা জানান, অল্প কয়েক দিনের মধ্যে সংকট কেটে যাবে। আরেক ডিলার জানান, বেশির ভাগ ডিলাররা সার না তুলে মোকামেই বিক্রি করে দেন। পুরো বরাদ্দের সার তুললে কোনভাবেই সংকট হবে না।আজ সারের তথ্য নিতে উপজেলা কৃষি অফিসে যাওয়া হলে অফিসার ছিলেন না। সারের দায়িত্বে থাকা আমিনুলের কাছে তথ্য চাইলে তিনি জানান, স্যারের অনুমতি ছাড়া তথ্য দেওয়া যাবে না। অফিস থেকেই কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদকে ফোনে তথ্য চাইলে তিনি জানান আমি বলে দিচ্ছি। পুনরায় আমিনুলের কাছে গেলে তিনি বলেন, স্যার তথ্য দিতে নিষেধ করেছেন, আমার দেয়ার ক্ষমতা নাই। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) খায়রুল ইসলামকে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করা হলে তিনি জানান, আমি কৃষি অফিসারের সাথে কথা বলে দেখছি।উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে আলুর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৩ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৭০ হেক্টর বেশি জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ২৮ হাজার ৩২০ মেট্রিকটন।এবিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদ সার সংকটের বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, কোন ডিলার সার না দিলে বা বাড়তি দাম নিলে কৃষক যদি অভিযোগ করে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে আছে। মাঠে সার্বক্ষণিক কাজ করা হচ্ছে। আসা করা যায় উৎপাদনের চেয়ে বেশি ফলন হবে বলে আশা করেন তিনি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
Copyright © 2024 Frilix Group
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD