1. emon@frilix.com : Emon Hasan : Emon Hasan
  2. editormrahman80@gmail.com : Mizanur Rahman : Mizanur Rahman
  3. info@www.janatarkatha24.com : admin :
  4. wpapitest@config.com : wpapitest :
সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ১১:২৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
চলনবিলের কৃষকদের স্বপ্ন এখন পানির নিচে নাটোরে ঈদের ছুটিতে পরিবার পরিকল্পনার স্বাস্থ্য কেন্দ্রে জরুরী সেবা মিলেছে চন্দ্রিমা থানার অভিযানে হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি গ্রেপ্তার নড়াইল পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ডিবি’র অভিযানে ১হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২ রাজশাহীতে হঠাৎ ডায়রিয়ার প্রকোপ, হাসপাতালে শয্যা সংকট “কলম ধর মাদক ছাড়ো”: শালেরহাটে প্রথম শিক্ষা সেমিনারে জ্ঞানের মশাল প্রজ্জ্বলন সিংড়ায় শিবিরের কুইজ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় বিএনপির নেতাকর্মীদের একত্রিতকরনের লক্ষ্যে ঈদ পুনর্মিলনী নড়াইলে সেনাবাহিনীর অভিযানে ডাকাত চক্রের ৫ সদস্য গ্রেফতার, ধারালো অস্ত্র উদ্ধার
শিরোনাম:
চলনবিলের কৃষকদের স্বপ্ন এখন পানির নিচে নাটোরে ঈদের ছুটিতে পরিবার পরিকল্পনার স্বাস্থ্য কেন্দ্রে জরুরী সেবা মিলেছে চন্দ্রিমা থানার অভিযানে হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি গ্রেপ্তার নড়াইল পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ডিবি’র অভিযানে ১হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২ রাজশাহীতে হঠাৎ ডায়রিয়ার প্রকোপ, হাসপাতালে শয্যা সংকট “কলম ধর মাদক ছাড়ো”: শালেরহাটে প্রথম শিক্ষা সেমিনারে জ্ঞানের মশাল প্রজ্জ্বলন সিংড়ায় শিবিরের কুইজ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় বিএনপির নেতাকর্মীদের একত্রিতকরনের লক্ষ্যে ঈদ পুনর্মিলনী নড়াইলে সেনাবাহিনীর অভিযানে ডাকাত চক্রের ৫ সদস্য গ্রেফতার, ধারালো অস্ত্র উদ্ধার

নড়াইলের ঐতিহ্যবাহী পৌষ মেলায় (হিজলডাঙ্গা) ভক্ত-দর্শনার্থীদের ভিড়

রিপোটারের নাম
  • প্রকাশিত : বুধবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৩৭ বার পড়া হয়েছে

 

 

নড়াইল প্রতিনিধিঃ

 

 

নড়াইলের হিজলডাঙ্গা গ্রামে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী পাগল চাঁদের মেলা শুরু হয়েছে। প্রতি বছর পৌষ মাসের শেষ দিনে এই মেলার আয়োজন করা হয়। দূর-দূরান্ত থেকে ভক্ত ও দর্শনার্থীরা এখানে ঘুরতে আসেন।

জানা যায়, হিন্দু সম্প্রদায়ের ভক্তরা বিশ্বাস করেন পাগলের মন্দিরে  মানত করে পাগলকে সন্তুষ্ট করতে পারলে মনের ইচ্ছা পূরণ হয়। এই উদ্দেশ্যে পাগলের মন্দিরে  বাতাশা ছুড়ে মেরে পাগলকে সন্তুষ্টি করতে ব্যস্ত ভক্তরা। স্থানীয়রা এ মেলাকে পাগল চাঁদের মেলা বলে অভিহিত করে থাকেন। আধ্যাত্মিক সাধু পাগল চাঁদ স্মরণে প্রায় একশ বছর ধরে এই মেলা চলে আসছে বলে জানান মেলা কমিটির সভাপতি স্বপন কুমার রায়।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, হিজলডাঙ্গা পাগল চাঁদ মন্দিরের  মাঠ ঘিরে  এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলায় এবার প্রায় তিনশতাধিক দোকান রয়েছে। নানা বয়সী মানুষের পদচারণায় মুখরিত এই মেলা। মৃৎশিল্পের পাশাপাশি বস্ত্রশিল্পেরও দেখা মেলে এই মেলায়। বিভিন্ন দোকানে আধুনিক খেলনার সমাহারও দেখতে পাওয়া যায়। নাগরদোলায় ওঠার জন্য শিশুরা লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছে। পান থেকে শুরু করে পিতলের বাসন আর বাশ-বেতের তৈরি ধামা, সের, পাইকে সনাতন সব দ্রব্যাদি মেলে এই মেলায়। বাহারী পান, পাপড়, তিলের খাজা, কদমা, টক-মিষ্টি আচার এবং বিভিন্ন রকমের মিষ্টান্ন কিনে বাড়িতে ফিরে যেতে দেখা যায় দর্শনার্থীদের।

হিজলডাঙ্গা গ্রামের  শৈন্য রায় জানান, পাগল চাঁদ আধ্যাত্মিক ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন। সারাদিন দেখা নাই অথচ রাতে হঠাৎ কোনো এক ভক্তের সামনে এসে হাজির হয়ে খাবার চাইতেন। কেউ কেউ সেধে তাকে খাওয়াতে পারতেন না। আবার কোনো বাড়িতে গিয়ে তিনি নিজেই চেয়ে খেতেন। পাগল বাবা যাকে পছন্দ করতেন তার মনের ইচ্ছা ফলে যেত। তার বিচরণ ছিল সর্বত্র। এই সাধু পুরুষ নড়াইলের মুলিয়া, শেখহাটি, হিজলডাঙ্গাসহ বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে বেড়াতেন। আর ভক্তরা তার সেবা করার জন্য ব্যস্ত থাকতেন। তিনি মারা যাওয়ার সময় হিজলডাঙ্গা গ্রামের এক ভক্তের বাড়িতে এসে শুয়ে বললেন, ‘আমাকে আর ডাকিস না’ এরপর তিনি মারা যান। সেই থেকে এই গ্রামে পাগল চাঁদের পূজা শুরু, তা থেকে মেলা। মেলায় হাজারো ভক্ত আসেন, পাগলের মাজারে পূজা দিয়ে মানত সেরে তারা কেনাকাটা করেন।

মেলায় দেখতে আসা সাতঘরিয়া গ্রামের নিশীত মোহন্ত বলেন, “ গতকাল রাতে আমি এসেছি। অধিবাসের রাতে আমরা ধর্মীয়  সংগীত পরিবেশন করেছি।  এখন পরিবার নিয়ে মেলা দেখছি। মেলায় আসা দর্শনার্থী মৌসুমী সরকার বলেন, “প্রতিবছর এই মেলায় আসি। মেলায় এসে প্রথমে পাগল চাঁদকে  পূজা করে মানত করি। তারপর  মেলায় কেনাকাটা করি, গান-বাজনা শুনি।”

মেলার আয়োজক কমিটির উপদেষ্টা মুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ অধিকারী জানান, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে এ মেলার আয়োজন করা হয়। পাগল চাঁদকে আধ্যাত্মিক সাধক মনে করে সনাতন ধর্মালম্বীরা এখানে এসে থাকেন। পৌষ মেলায় আনন্দ পেতে অন্য ধর্মালম্বীদেরও আগমন ঘটে। স্বল্প খরচে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ব্যবসায়ীদের দোকানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

 

নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)  জানান, মেলায় আগত দর্শনার্থীরা আনন্দ বিনোদন শেষে যাতে শান্তিপূর্ণভাবে বাড়ি ফিরতে পারে সেলক্ষ্যে মেলা প্রাঙ্গনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
Copyright © 2024 Frilix Group
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD