 
																
								
                                    
									
                                 
							
							 
                    
ইমন মিয়া,
গাইবান্ধার সাঘাটায় ভুল সিজারিয়ান অপারেশনে প্রসূতি শিরিন আক্তার (২৬) এবং তার নবজাতকের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত বোনারপাড়া ডিজিটাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) সকালে সাঘাটা উপজেলা চত্বরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
এসময় বক্তারা অভিযোগ করেন, অপারেশনের সময় পর্যাপ্ত সরঞ্জাম ও দক্ষ চিকিৎসক ছাড়াই সিজার করানোর ফলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গাইবান্ধা জেলা সংগঠক আবরার হোসাইন মুরাদ বলেন, হাসপাতালের নামে এভাবে কসাইখানা খুলে মায়ের গর্ভে সন্তান এবং মায়ের জীবন কেড়ে নেওয়া মেনে নেওয়া যায় না।
শিক্ষার্থী রওনক জাহান রিমু বলেন, চিকিৎসার নামে এমন নৃশংসতা যারা ঘটিয়েছে, তাদের দ্রুত শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এভাবে মানুষ যেন আর প্রতারণার শিকার না হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজিয়া আফরিন জানান, বিষয়টি সিভিল সার্জন অফিসের অধীনে। আমাদের কাছে কোনো নির্দেশনা আসেনি।
সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসাহাক আলী বলেন, শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করে দাবি জানিয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, অনুমোদনহীন এবং সুরক্ষা ছাড়া কোনো হাসপাতাল চালাতে দেওয়া হবে না।
এদিকে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গা ঢাকা দেওয়ায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। মানববন্ধনের দিন, দুপুরে হাসপাতালটি তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া গেছে।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার সাঘাটার পাশ্ববর্তী ফুলছড়ি উপজেলার বাগবাড়ী গ্রামের সবুজ মিয়ার স্ত্রী শিরিন আক্তার সন্তান প্রসবের ব্যথা নিয়ে সাঘাটার বোনারপাড়ার ডিজিটাল হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতালটিতে পর্যাপ্ত সরঞ্জাম ও অভিজ্ঞ চিকিৎসক না থাকা সত্ত্বেও অপারেশনের চেষ্টা করা হয়। এতে নবজাতকটি জন্মের পরপরই মারা যায়। অপারেশনের পর প্রচণ্ড রক্তক্ষরণের কারণে রাত ১২টায় প্রসূতি শিরিনেরও মৃত্যু হয়।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, সাঘাটার এই ডিজিটাল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসা ও অপারেশনের কারণে গত তিন বছরে ১০টির বেশি প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। হাতুড়ে ডাক্তারের মাধ্যমে এসব ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
Leave a Reply