লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার খাসেরহাট এলাকায় বিএনপি দুগ্রুপের সংঘর্ষে সাইজ উদ্দিন (৪০) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আরো অন্তত ১৫ জন আহত হয়। এদের মধ্যে তিনজনের অবস্থায় আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সোমবার বিকেলে এ ঘটনার জেরে কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়।
দলীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার ২নং চরবংশী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ফারুক কবিরাজ ও উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব শামীম গাজী গ্রুপের মধ্যে মাছঘাট, মেঘনার চর, কাঁচাবাজার নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দুই গ্রুপের মধ্যে একাধিকবার ধাওয়া-পাল্টা ও সংঘর্ষ হয়। এ সময় অন্তত ১৫ জন আহত হয়।
এ ঘটনার জের ধরে বিকেলে ফারুক কবিরাজের ভাই মেহেদী কবিরাজের নেতৃত্বে কয়েকজন শামীম সমর্থক আবু খাঁ ও সাইজ উদ্দিনকে খাসেরহাট বাজারের নতুন ব্রিজের পাশ থেকে তুলে নিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে বেদম মারধর করে। পরে সাইজ উদ্দিনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বিএনপি কর্মী আবু খাঁ, নজরুল কবিরাজ, হানিফ দেওয়ান,জসিম উদ্দিনসহ চারজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অন্য আহতদের লক্ষ্মীপুর ও রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর খাসেরহাট এলাকায় কয়েকটি বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়।
উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মো. সালেহ আহমেদ বলেন, নানা অপরাধে গত ২১ ডিসেম্বর ২ নং চরবংশী ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও কৃষকদলসহ সকল অঙ্গসংগঠনের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব শামীম গাজী ও ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ফারুক কবিরাজের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে সাইজ উদ্দিন মারা গেছে। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। বাড়িঘর ভাঙচুর করার খবর শুনেছি। বিষয়টি তদন্ত হচ্ছে।
হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. কমলাশীষ বলেন, হাসপাতালে আনার আগে সাইজ উদ্দিন মারা যায়। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে একজন মারা যান। কয়েকজন আহত হয়। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
Leave a Reply