1. emon@frilix.com : Emon Hasan : Emon Hasan
  2. editormrahman80@gmail.com : Mizanur Rahman : Mizanur Rahman
  3. info@www.janatarkatha24.com : admin :
  4. wpapitest@config.com : wpapitest :
শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:১৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব’র অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির নতুন কমিটি, সভাপতি-সম্পাদক কচি-মুরাদ পাবনা-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী যুবদল নেতা মাসুদের ধানের শীষের প্রচারনা সুনামগঞ্জ-২আসনে গণফোরামের মনোনীত এমপি পদপ্রার্থী মোশতাক চৌধুরী’র নিবার্চনী প্রচার প্রচারণা ইপসা ‘র উদ্যোগে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস উদযাপন লালমনিরহাটে জেলা যুবদলের এক কাঠের সেতু নির্মাণে তিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ ১০ হাজার মানুষের দুর্ভোগ লাঘব শেরপুরের শ্রীবরদীতে ৬ হাজার ডাব সাবান জব্দ: অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা শূন্য রাজশাহীর মধ্যশহরে ১০ বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় ঝুকিপূর্ণ ভবনটি রাজশাহীতে গাঁজা ও বিদেশি মদসহ ২ জন গ্রেপ্তার সি’এম’পির সকল থানার ওসি হঠাৎ রদবদল:নির্দেশ কমিশনার ঝিনাইগাতীতে শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের বার্ষিক সভা
শিরোনাম:
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব’র অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির নতুন কমিটি, সভাপতি-সম্পাদক কচি-মুরাদ পাবনা-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী যুবদল নেতা মাসুদের ধানের শীষের প্রচারনা সুনামগঞ্জ-২আসনে গণফোরামের মনোনীত এমপি পদপ্রার্থী মোশতাক চৌধুরী’র নিবার্চনী প্রচার প্রচারণা ইপসা ‘র উদ্যোগে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস উদযাপন লালমনিরহাটে জেলা যুবদলের এক কাঠের সেতু নির্মাণে তিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ ১০ হাজার মানুষের দুর্ভোগ লাঘব শেরপুরের শ্রীবরদীতে ৬ হাজার ডাব সাবান জব্দ: অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা শূন্য রাজশাহীর মধ্যশহরে ১০ বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় ঝুকিপূর্ণ ভবনটি রাজশাহীতে গাঁজা ও বিদেশি মদসহ ২ জন গ্রেপ্তার সি’এম’পির সকল থানার ওসি হঠাৎ রদবদল:নির্দেশ কমিশনার ঝিনাইগাতীতে শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের বার্ষিক সভা

এখন আর তেমন চোখে পড়ে না সেই রক্তলাল নয়নাভিরাম শিমুল ফুল

রিপোটারের নাম
  • প্রকাশিত : রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫
  • ১৭২ বার পড়া হয়েছে

মোঃ জুলহাস উদ্দিন হিরো, স্টাফ রিপোর্টার।

ঋতুরাজ বসন্তের শুরুতে আবহমান গ্রাম বাংলার প্রকৃতিকে রাঙিয়ে অনেক ফুল ফুটলেও এখন আর তেমন চোখে পড়ে না রক্তলাল নয়নাভিরাম শিমুল ফুল। কালের বিবর্তনে আগুন ঝরা ফাগুনে চোখ ধাঁধানো গাঢ় লাল রঙের অপরূপ সাজে সজ্জিত শিমুল গাছ এখন বিলুপ্ত প্রায়। বিগত এক-দেড় যুগ আগেও বিভিন্ন গ্রামের অধিকাংশ বাড়ির আনাচে কানাচে আর রাস্তার পাশে অনেক শিমুল গাছ দেখা যেতো। প্রতিটি গাছে গাছে প্রস্ফুটিত শিমুল ফুলই স্মরণ করিয়ে দিতো বসন্ত। শীতের পরেই ঋতুরাজ বসন্তের আগমনে সাথে সাথে প্রকৃতিতে লেগে যেতো তার ছোঁয়া। প্রতিটি গাছেই আসতে শুরু করেতো নতুন পাতা। প্রকৃতিতে দক্ষিণা বাতাসে আম্র মুকুলের মৌ মৌ ঘ্রাণে মুগ্ধ হতো চারিদিক।

কোকিলের সুমিষ্ট কুহুতালে ফাগুনের উত্তাল বাসন্তী হাওয়া দোল খেতো। গাছে গাছে জেগে উঠত সবুজ পাতা। মুকুল আর শিমুল ফুল দেখে বোঝা যেতো শীত বিদায় নিয়ে এসেছে ফাগুন। শিমুল গাছের শাখাগুলো বসন্তের আগমনে লাল শাড়ির ঘোমটা পরা গ্রাম্য নববধূর সাজে সজ্জিত হতে দেখা যায়, যা দর্শনে হতাশ প্রেমিকের মনেও জাগিয়ে তোলে আশা। অন্যান্য গাছের তুলনায় শিমুল গাছ অনেক উঁচু হওয়ায় বহু দূর থেকে এ মনোরম দৃশ্য চোখে পড়ে। জোয়ার এনে দেয় কবির কল্পনার জগতে। কেবল সৌন্দর্যই বিলায় না, শিমুল গাছের রয়েছে নানা উপকারিতা ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব। প্রাকৃতিকভাবে তুলা আহরণের অন্যতম অবলম্বন শিমুল গাছ। এ গাছের সব অংশেরই রয়েছে ভেষজগুণ। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা এখনো নানা রোগের চিকিৎসায় এ গাছের বিভিন্ন অংশ ব্যবহার করে।

শিমুল গাছের বৈজ্ঞানিক নাম “বোমবাক্স সাইবা লিন”। এটি বোমবাকাসিয়াক পরিবারের উদ্ভিদ। বীজ ও কান্ডের মাধ্যমে এর বংশবিস্তার হয়। রোপণের ৫-৬ বছরের মধ্যে শিমুল গাছে ফুল ফোটে। ৯০ থেকে ১০০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয় এ গাছ। সেই তুলনায় বেশ মোটাও হয়। নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করে শিমুল গাছ দেড়শ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে। শীতের শেষে পাতা ঝরে পড়ে। বসন্তের শুরুতেই গাছে ফুল ফোটে। আর এ ফুল থেকেই হয় ফল। চৈত্র মাসের শেষের দিকে ফল পুষ্ট হয়। বৈশাখ মাসের দিকে ফলগুলো পেকে শুকিয়ে গিয়ে বাতাসে আপনা আপনিই ফল ফেটে প্রাকৃতিকভাবে তুলার সাথে উড়ে উড়ে দূর-দূরান্তে ছড়িয়ে পড়া বীজ থেকেই এর জন্ম হয়।

অন্যান্য গাছের মত এ গাছ কেউ শখ করে লাগায় না। নেওয়া হয়না কোন যত্ন। অযত্ন আর অনাদরে প্রাকৃতিকভাবেই এ গাছ বেড়ে ওঠে। এ গাছের প্রায় সব অংশই কাজে লাগে। এর ছাল, পাতা ও ফুল গবাদিপশুর খুব প্রিয় খাদ্য। বালিশ, লেপ ও তোষক তৈরিতে শিমুল তুলার জুড়ি নেই। অথচ বর্তমানে মানুষ এ গাছকে তুচ্ছ মনে করে কারণে অকারণে কেটে ফেলছে। অতীতে ব্যাপক হারে নির্মাণ কাজ, টুথপিকসহ নানা ধরনের প্যাকিং বাক্স তৈরি ও ইটভাটার জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হলেও সেই তুলনায় রোপণ করা হয়নি। ফলে এটি আজ বিলুপ্তির পথে। শিমুল গাছ উজাড় হওয়ার ফলে পরিবেশের উপরে পড়েছে নেতিবাচক প্রভাব। এগাছ অনেক উঁচু হওয়ায় কাক, কোকিল, চিল, বকসহ বিভিন্ন ধরনের পাখি বাসা বেঁধে বসবাস করত। এ গাছ উজাড় হওয়ার ফলে এসব পাখিরা আবাসস্থল হারিয়ে পড়েছে অস্তিত্ব সংকটে।

গাছ না থাকায় আবাসস্থলের অভাবে ধীরে ধীরে এসব পাখিরাও হারিয়ে যাচ্ছে। এই শিমুল ঔষধি গাছ হিসেবেও পরিচিত। গ্রামাঞ্চলের মানুষ বিষফোঁড়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে এ গাছের মূল ব্যবহার করত। এদিকে, একটি বড় ধরনের গাছ থেকে তুলা বিক্রি করে ১০-১৫ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। আগের তুলনায় এখন শিমুলের তুলার দাম অনেক বেড়ে গেছে। এর পরও এই গাছ নিধন হচ্ছে প্রতিনিয়ত। শিমুল গাছ রক্ষায় এখনই ব্যবস্থা না নিলে এক সময় উপকারী গাছের তালিকা থেকে এ গাছটি হারিয়ে যাবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হয়তো জানতেও পারবে না বাংলার মাটিতে শিমুল নামের কোন গাছ ছিল।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
Copyright © 2024 Frilix Group
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD

Jaxx Wallet

Jaxx Wallet Download

Jaxx Liberty Wallet

jaxxwallet-liberty.com

Atomic Wallet

Jaxx Wallet

Jaxx Wallet Download

Atomic Wallet Download

Atomic Wallet App

atomicwalletapp.com