নিজস্ব প্রতিবেদক
কোটি টাকার মুক্তিপণ দিয়েও জীবন ঝুঁকিতে প্রতারক ঘাতক সিন্ডিকেটের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের ফাঁদে রংপুরের ব্যবসায়ী পালন কুমার দাশ। অভিনব কায়দায় প্রতারণার ফাঁদে পড়েছেন আরো অনেকেই। যা ইতিপূর্বে ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া ও গণমাধ্যম প্রকাশিত হয়েছে। প্রতারণা সিন্ডিকেট জালিয়াতি চক্রের ফাঁদে ফাঁকে ষড়যন্ত্রের শিকার পদেপদে । নানা প্রলোভনে জিম্মি করে সহায় সম্পদ সম্পত্তি ব্যবসা সবকিছুই হাতিয়ে নেই কোটি টাকারও বেশি। দুর্বৃত্ত দুষ্কৃতিকারীদের হাত থেকে বাঁচতে সমাধান বিচার না পেয়ে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও ভুক্তভোগীরা হলেন নানা অপক্ষমতা জটিলতায় হয়রানি নানা ভোগান্তি অপূরণীয় ক্ষয়ক্ষতির শিকারে মৃতপ্রায় দিশাহারা।
অভিযুক্ত ভয়ংকর প্রতারক সিন্ডিকেট চক্রের প্রধান হলেন, ১/ রুবেল আহমেদ প্রকাশ শরিয়তপুরের রবেল, ২/ভুয়া ডিজিআইএফ ক্যাপ্টেন পরিচয়ধারী শাহরিয়ার রহমান সোহান। ৩। পংকজ কুমার সরকার প্রকাশ অপু সরকার, ৪। খালেদ আহমেদ,সহ আরো অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন। সি, আর মামলা নং-২৪৯৪/২৫ইং (গুলশান)
ভুক্তভোগীর বক্তব্য ও মামলার অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, প্রথমেই বিদেশী দাতা সংস্থা হতে অনুদান বাবদ ৬৫ লাখ টাকার বরাদ্দ হয়েছে বলে সব রকমের বিশ্বস্ততা নিশ্চয়তা নিরাপত্তা দেয়। বাস্তব নমুনায় তা প্রমাণস্বরূপ চেক দিয়ে উল্টো ৩ লাখ টাকা আনুষাঙ্গিক খরচ এবং ভ্যাট বাবদ দিতে হবে বলে আদায় করে। প্রতারক সিন্ডিকেটের হাতে চক্রাকারে এভাবেই একের পর এক বারবার জিম্মি হতে থাকে। এমন অপরুণীয় ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছেন অনেকেই। এখন তার প্রাণ বাঁচানোই যেন দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিমুহূর্ত কাটছে ভয় আর আতংকে। চরম বিষাদ যন্ত্রণায় নিরাপত্তাহীনতায় অনিশ্চয়তায়। সব হারিয়ে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী এখন নিঃস্ব অসহায় নিরুপায়। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী পালন’সহ পরিবার ও স্বজনরা প্রতিনিয়ত দুর্বৃত্ত চক্রের ভয়ে পালিয়েও জীবন ঝুঁকিপূর্ণ।
ঘটনাক্রমে বাস্তব লোমহর্ষক বর্ণনায় ভুক্তভোগী পালন বলেন, আমি বাংলাদেশে থাকতে চাই, বাঁচতে চাই, প্রাণ ভিক্ষা চাই, শেষ করে দিচ্ছে আমাকে। প্রতিটি মুহূর্ত কাটছে ভয় আর আতঙ্কে জীবন ঝুঁকিতে । এ আর্তনাদ আকুতি কান্না আর্জি মিনতি কোন অন্যায় অপরাধ ভুলের কারণেই নয়। মানুষকে বিশ্বাস করলেই-ই যা হয় তাই-ই হলো রংপুরের ব্যবসায়ী পালনের জীবনে। লোমহর্ষক বাস্তবতা যেন গল্প সিনেমার নাটককেউ যেন হার মানায়।
জীবনের সব আয় রোজগার জমা অর্থ সহায় সম্পত্তি সবকিছু দিয়েও তিনি এখন নিঃস্ব। কোটি টাকা মুক্তিপণ, চারটি ব্যাংকের ১৬ টি চেক, খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর, দুইটি মোবাইল,পাসপোর্ট, মূল্যবান ডকুমেন্ট অস্ত্র ধরে জুলুম নির্যাতন। দাবি ভুক্তভোগী পালনের।
পালন কুমার দাশের স্ত্রী রঞ্জিতা দাশ পূঁজা বলেন, রংপুরে মেডিকেল কলেজ সহ বিশাল বিশাল প্রজেক্ট করা হবে নানা প্রলোভন দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেই। স্বচ্ছল বৃত্তশালী সাধারণ মানুষকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে। নানা নাটকীয় গালগপ্পো কথা মালায় স্বপ্ন দেখিয়ে বোকা বানিয়ে পূর্ব পরিকল্পিত সুকৌশলে ফাঁদে ফেলে। ভুয়া প্রতিষ্ঠার নাম পরিচয় দিয়ে নামে বেনামে প্রতারক রুবেল আহমেদ সিসিআইসি সিইউ পরিচয়ধারী ও তার সহযোগীরা হেলিকপ্টারে এসে এলাকাবাসী ও আমাদেরকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি সুকৌশলে প্রতারণায় নির্মম নৃশংসতার পরিচয় দিচ্ছে।
ভুক্তভোগী পালন আরো বলেন, ঘটনায় ছয় মাস হয় ত্থানার অভিযোগ করেও শেষ রক্ষা পায়নি। বাধ্য করে অভিযোগ প্রত্যাহার করতে। কোর্ট মামলা করেও বাঁচা মরা লড়াইএ অনিশ্চয়তা জীবনঝুঁকিতে কাটছে প্রতিটা মুহূর্ত।
এমন প্রতারক সিন্ডিকেটের বিচারের দাবিতে,এলাকার আশিক ইমাম বলেন, পালন সে আমার এলাকার ছোট ভাই। খুবই অমায়িক ভদ্র সহজ সরল ভালো ছেলে। অভিযুক্ত প্রতারক সিন্ডিকেটদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।
ঘটনার সত্যতায় বাস্তবতায় প্রত্যক্ষদর্শী রাসেদুল ইসলাম, ফজলার রহমান,ধীমান কুমার রায়,সোলাইমান কবীর সহ
আরো অনেকেই। প্রতারক চক্রটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুক্তভোগী পালনের ভুয়া আইডি খুলে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। যা ভুক্তভোগী ও তার পরিবারকে জিম্মি করেই অশালীন ভিডিও ধারণ করেছিল। পারিবারিক সামাজিক সম্মান মর্যাদাহানী’ ভয়-ভীতি দেখিয়ে মূল উদ্দেশ্য মোটা দাগের টাকা হাতিয়ে নেওয়া। অভিযুক্তবের আইনের আওতায় এনে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী অভিযোগ করেও সবরকমের হুমকি ধামকি আত্মগোপনে। সামাজিক মর্যাদাহানি নিপীড়ন নির্যাতনের স্ট্রিম রোলারে পিষ্ট। বাঁচা মরার লড়াইয়ে জীবন মৃত্যু সন্ধিক্ষণে। ঘটনার সত্যতায় এসব অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি ভুক্তভোগী পালন পরিবার, সজন ও সচেতন মহলের।
Leave a Reply