আব্দুল মজিদ মল্লিক, নওগাঁ:
নওগাঁয় পুরানো সংবাদের জের মেটাতে দুজন সাংবাদিককে ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। এরা হলেন চ্যানেল এসের জেলা প্রতিনিধি মেহেদী হাসান অন্তর ও প্রতিদিনের কাগজের নাজমুল হক। এদের বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সম্প্রতি নওগাঁর হাঁপানিয়া ইউনিয়নের নানা প্রকল্পে অনিয়ম, দূর্ণীতির অভিযোগ ওঠায় সংবাদের তথ্য সংগ্রহে যান এই দুজন সাংবাদিক। তথ্য সংগ্রহকালে রবিবার, ১৮ মে দুপুর দেড়টার দিকে ইউপি চেয়ারম্যান দেওয়ান মোস্তাক আহমেদ রাজার নির্দেশে তাদের দু'জনকে আটকে মারধর করে। মারধর করে মিথ্যা চাঁদাবাজির নাটক সাজিয়ে পুলিশে খবর দিয়ে থানায় পাঠিয়ে দেয়া হয়।
সন্ধ্যার পর ইউপি সদস্য মিজানুর রহমানকে বাদী সাজিয়ে দু'জন সাংবাদিককে আসামি করে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলায় জড়িয়ে দেন।
এ ঘটনায় বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি করা হয়েছে। সংগঠনটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর বলেন, দু'জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনরূপ তদন্ত ছাড়া এমন একটি স্পর্শকাতর মামলায় আসামি করার আগে তদন্ত করা উচিত ছিল।
বাংলাদেশ মফস্বল মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের জেলা শাখার সম্পাদক উত্তাল মাহমুদ জানিয়েছেন, চেয়ারম্যান তার ব্যক্তিগত আক্রোশ এবং নিজের দূর্ণীতি ঢাকতে তাদেরকে মামলায় জড়িয়েছে। আমরা এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
জানাগেছে, গত আওয়ামী লীগ সরকার আমলে সাবেক খাদ্য মন্ত্রী সাধন মজুমদারের বন্ধু জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল খালেকের জামাই হিসেবে চেয়ারম্যান রাজা প্রভাব বিস্তার করে নানা অনিয়ম-দূর্ণীতি করেছিল বীরদর্পে। ৫ আগষ্টের পর রাজা নওগাঁ সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। দুই দলের আশীর্বাদে দুই বারের চেয়ারম্যানও নির্বাচিত হয়েছেন প্রভাব খাটিয়ে। তার বিরুদ্ধে নানা দূর্ণীতি-অনিয়মের অভিযোগ থাকার পরও নিজস্ব পেটোয়া বাহিনির ভয়ে জিম্মি এলাকার সাধারণ মানুষ, ফলে কেউ মুখ খুলছেনা।
বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের পক্ষ থেকে চেয়ারম্যান রাজা ও তার শ্বশুর খালেকের সকল অনিয়ম-দূর্ণীতির তথ্য দুদকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পৌছানো হবে।