নড়াইল প্রতিনিধিঃ
নড়াইল সদর উপজেলার শেখহাটি ইউনিয়নের দেবভোগ গ্রামের শ্রীবাস মৈত্রর কন্যা দিপীকা বোস ও তার স্বামী পিযুস বোসের বিরুদ্ধে বিউটি পার্লার ব্যবসার আড়ালে দেহব্যবসা,মানবপাচার ও শারিরিক সম্পর্কের ফাঁদ পেতে এক যুবকের কাছ থেকে সারে তিন লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগী ঐ যুবক এই প্রতিবেদককে জানান, আমার সাথে দিপীকা বোসের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হয়,আমি নিয়মিত তার সাথে কথা বলতাম, এক পর্যায়ে আমাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়, আমি প্রায় দুইমাস পূর্বে ভারতে যাই।
সেখানে যাওয়ার পর দিপীকা বোসের বাড়ি ভারতের উত্তর প্রদেশের সিতাপুর জেলায় আমাকে বেরানোর জন্য যেতে বলে।
আমি সরল বিশ্বাসে তার সাথে সেখানে দেখা করতে যাই,এবং সেখানেই দিপীকা বোস শারিরীক সম্পর্কের প্রলোভনে ফেলে তার স্বামীর সহায়তায় আমাকে জিম্মি করে আমার কাছ থেকে সারে তিন লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চায়,টাকা না দিতে পারলে আমাকে হত্যার হুমকি দেয়, শারিরিক নির্যাতন করে। আমার জীবন বাঁচানোর জন্য ধার দেনা করে সারে তিন লক্ষ টাকা দিপীকা ও তার স্বামীর হাতে দিয়ে বেঁচে ফিরে আসি।
বাংলাদেশে ফিরে দেবভোগ গ্রামে দিপীকার পিতা শ্রীবাস মৈত্রর সাথে যোগাযোগ করে তার মেয়ের এ অপকর্মের বিষয়ে জানাই।
তিনি মেয়ের সাথে যোগাযোগ করে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বললেও এখনও পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা করেন নি।
ভুক্তভোগী আরো জানান, দিপীকার স্বামী পিযুসের বাড়ি মাইজপারা ইউনিয়নের তালেশ্বরে,সে ভারতে চামসি ডাক্তার,ডাক্তারি আর বিউটি পার্লার ব্যবসার আড়ালে মুলত এরা দেহ ব্যবসা,মানব পাচার ও প্রেমের ফাঁদ পেতে মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়।
এ বিষয়ে দেবভোগ গ্রামে গিয়ে দিপীকার পিতা শ্রীবাস মৈত্রর সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি কিছু বলতে রাজি হননি।তবে এ বিষয়ে হিজলডাঙ্গা গ্রামের তার ভাগ্নে গোবিন্দ সব জানে বলে জানান।
তবে হিজলডাঙ্গা গ্রামের গোবিন্দর সাথে দিপীকার এই অপকর্মের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি।
স্থানীয় এলাকাবাসীদের সাথে কথা বললে তারা জানান, শ্রীবাস মৈত্রর তিন মেয়েই ভারতে থাকে, দিপীকা সেখানে পার্লার চালায় বলে জানতাম,মেয়েদের সাথে তার নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে, ভারত থেকে মেয়েদের পাঠানো টাকায় তার সংসার ভালই চলছে।কোন অভাব অভিযোগ নেই।
তবে কয়েকদিন আগে জানতে পারলাম দিপীকা নাকি কার কাছ থেকে জিম্মি করে মোটা অংকের টাকা নিয়েছে।
Leave a Reply