সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি:
চলনবিল বর্ষা মৌসুম ও ঈদকে কেন্দ্র করে চলনবিলে ভ্রমণপিপাসুদের ঢল নেমেছে। ঈদুল আজহার ছুটিতে বিভিন্ন বয়সি হাজার হাজার মানুষ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগে ছুটে আসছেন এখানে। বর্ষাকালে বিলের ভিতরের গ্রামগুলো দেখতে দ্বীপের মতো মনে হয়। ডুবন্ত সড়কে হেঁটে বেড়ানোসহ বিলের পানিতে সাঁতারকাটা ও নৌকাভ্রমণ করে সময় কাটান দর্শনার্থীরা। তারা কক্সবাজারের আমেজ উপভোগ করেন চলনবিলে।
সিংড়া উপজেলার পূর্ব-দক্ষিণ অংশ জুড়ে চলনবিল। বাংলাদেশের বৃহত্তর বিল এটি। ৯টি উপজেলার ছোটো বড়ো বিলের সমন্বয়ে গঠিত চলনবিল। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগে হাজার হাজার মানুষ এখন ছুটে আসছেন চলনবিলে। দেশের অন্যান্য বিল থেকে এ বিলের পার্থক্য হলো এটি খরস্রোতা। চলন নাম অনুসারেই এটির নামকরণ চলনবিল। পাবনা, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ জেলার অংশজুড়ে এ বিলের বিস্তৃতি। বর্ষা মৌমুমে অসংখ্য খাল দিয়ে এ বিলে পানি প্রবেশ করে। বর্ষাকালে জলরাশির বুকে নৌকায় পাল তুলে ঘুরতে মন কার না চায়। তাই তো অবসর পেলেই মানুষ ছুটে আসে এখানে। বিশেষ করে শুক্রবার দর্শনার্থীদের আগমনে মুখরিত হয়ে ওঠে। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসে। নাটোর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, রাজশাহী এমনকি রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ভ্রমণপিপাসুরা ছুটে আসছেন চলনবিলে।
বর্ষায় এ সড়ক দিয়ে যেমন মাইক্রো, বাইক, অটোসহ ছোটো যানবাহন চলাচল করে তেমনি ডুবন্ত রাস্তার ওপর দিয়ে নৌকা চলে যা সত্যিই মনোমুগ্ধকর। তাছাড়া চলনবিল সিংড়ায় পর্যটকদের চাহিদা মেটাতে গড়ে উঠেছে চলনবিল পর্যটন পার্ক, চলনবিল ভাসমান কফি হাউজ। শিশুদের জন্য বিভিন্ন রাইড রয়েছে। যেখান থেকে অপরূপ চলনবিলকে উপভোগ করা যায়। অপরদিকে চলনবিলে ঘাসি দেওয়ান (রহ.) এর মাজার রয়েছে। শুক্রবারে মানত করতে আসে হাজার হাজার ভক্ত। বর্তমানে আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে চলনবিল।
Leave a Reply