মোহাম্মদ মাসূদ
ওসি প্রদীপ’র ১০০ খুন ! আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ইন্সট্রাকশনে, ১৬ বছরের সামান্য অংশ মাত্র। ওসি প্রদীপ বলেন, আমি নিজ ইচ্ছায় খুন করিনি। আওয়ামী দোসর ও সরকারের চাপে মন্ত্রী আমলাদের নির্দেশ মাস্টার প্লেনেই আমাকে খুন করতে হয়েছে। তাদেরও পরিনীতি আমার মতোই অবস্থা হবে বললেন। সম্প্রতি লাইভে এসে এসব কথা বললেন, বিএনপি নেতা মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
বহুল আলোচিত ওসি প্রদীপ সম্পর্কে নানা সমালোচনা গুঞ্জন রয়েছে জনমনে ও দেশজুড়ে। যা ছড়িয়েছে দেশ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও। খুন হত্যা ভয় আতঙ্ক বেআইনি কর্মকান্ড অন্যায় অপরাধ ছিল তার পেশা ও নেশা। মেজর সিনহা হত্যার পর থেকে একের পর এক বের হয়ে আসে নরকীয় লোমহর্ষক বর্বর তথ্যচিত্র। যার নিপীড়ন নির্যাতন ঘৃণিত ন্যাক্কারজনক বাস্তবতায় এখনো রয়েছে মানুষের মনে ও মুখে মুখে । যা তখন থেকে এখনো রয়েছে আলোচনা শীর্ষে।
তার অন্যায় অপরাধ গুমখুন সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্যে প্রকাশ হয় গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যমে। এবার সরাসরি মুখ খুললেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, ওসি খতিবের অন্যায় অপরাধ বেআইনি কান্ড ঘুম খুন হত্যা ছিল স্বাভাবিক ব্যাপার। তার ব্যাখ্যা বর্ণনা দেওয়া সুস্থ মস্তিষ্কের সম্ভব নয়।
“এটা ১৬ বছরের রাজনীতির ইতিহাসের সামান্য একটি অংশ মাত্র। ”তিনি বলেন, “প্রদীপের সাথে কেউ কথা বলতো না। একদিন আমাকে ডেকে কাঁদতে কাঁদতে বললো, ‘শাহাদাত ভাই, আমার সাথে কেউ কথা বলে না। একটু কথা বলেন।’ আমি জানতে চাইলাম, কেন? তখন ইয়াসিন বলে উঠল, ‘ভাইয়ের সাথে কথা বলবেন না, সে খুনি। সে অনেক খুন করেছে, ১০০টার উপরে।’ আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘তুমি কয়টা খুন করেছো?’ সে উত্তর দিল, ‘১০০টার মতো হবে।’ এরপর সে বলল, ‘এই খুনটা তো আমি করতে পারি না। আমাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ইন্সট্রাকশন দেন কিভাবে খুনটা করব।’”
বিএনপি নেতা ডা. শাহাদাত হোসেন ডিবিসি নিউজের একটি টকশোতে নিজের কারাবাস, তৎকালীন পরিস্থিতি এবং ওসি প্রদীপের সঙ্গে জেলে অবস্থানকালের অভিজ্ঞতা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, “মেহেদীর কথা নিশ্চয় মনে আছে। ওই যে ডিসি মেহেদী, পুলিশ উপকমিশনার। তখন সে চিটাগং ছিল। সে পুরা আমার হসপিটালটা ঘেরাও করে আমাকে বিকাল পাঁচটা নাগাদ রোগী দেখা অবস্থায় ধরে নিয়ে গেল। এরপর আমি প্রায় চার থেকে পাঁচ মাস জেলে ছিলাম। ঈদুল ফিতর তখন জেলেই কাটাতে হয়।”
ডা. শাহাদাত জানান, “জেলে আমাকে রাজনীতিবিদ হিসেবে নয়, একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে ডিভিশন দেওয়া হয়। আমি ছিলাম তিন কক্ষবিশিষ্ট একটি রুমের একটিতে। অন্য রুমে ছিল খ্যাতিমান কেডিএস গ্রুপের মালিক খলিল সাহেবের ছেলে ইয়াসিন, এবং আরেক রুমে ছিল ওসি প্রদীপ।”
সূত্রে জানা যায়, বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতা ও সাবেক মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন সম্প্রতি ডিবিসি নিউজের একটি টকশোতে অংশ নিয়ে নিজের কারাবাস, তৎকালীন রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং জেলে থাকা অবস্থায় ওসি প্রদীপ কুমার দাশের সঙ্গে তার অভিজ্ঞতা নিয়ে একাধিক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন।
ডা. শাহাদাত জানান, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের তৎকালীন উপকমিশনার ডিসি মেহেদী তার ব্যক্তিগত হাসপাতালে ঢুকে রোগী দেখা অবস্থায় তাকে গ্রেপ্তার করেন। তিনি বলেন,
“তখন বিকাল পাঁচটা। আমি চেম্বারে রোগী দেখছিলাম। হঠাৎ ডিসি মেহেদীর নেতৃত্বে পুরো হাসপাতাল ঘিরে ফেলে পুলিশ। সেখান থেকেই আমাকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর প্রায় চার থেকে পাঁচ মাস জেল হেফাজতে ছিলাম। ঈদুল ফিতরও সেবার জেলেই কাটাতে হয়।”
তিনি আরও বলেন, “জেলে আমাকে রাজনীতিক নয়, একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে ডিভিশন দেওয়া হয়। আমি ছিলাম একটি তিন কক্ষবিশিষ্ট কক্ষে। অন্য দুটি কক্ষে ছিলেন কেডিএস গ্রুপের মালিক খলিল সাহেবের ছেলে ইয়াসিন এবং বহুল আলোচিত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।”
শাহাদাত জানান, জেলে ওসি প্রদীপ ছিলেন নিঃসঙ্গ। তিনি বলেন, “প্রদীপের সাথে কেউ কথা বলতো না। একদিন সে নিজেই আমার কাছে এসে কাঁদতে কাঁদতে বললো, ‘শাহাদাত ভাই, আমার সাথে কেউ কথা বলে না। একটু কথা বলেন।’”
তিনি তখন জানতে চান, কেন এমন অবস্থা? উত্তরে ইয়াসিন বলে ওঠে, “ভাই, তার সঙ্গে কথা বলবেন না। সে খুনি। সে ১০০টার উপরে খুন করেছে।” এ কথা শুনে ডা. শাহাদাত জানতে চান, “তুমি কয়টা খুন করেছো?”প্রদীপের জবাব ছিল, “১০০টার মতো হবে।”
প্রদীপ আরও দাবি করেন,“এই খুনগুলো আমি নিজের ইচ্ছায় করিনি। আমাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল নির্দেশনা দিতেন—কোন খুন কিভাবে করব।”
ডা. শাহাদাত বলেন,“এটা আমার ১৬ বছরের রাজনৈতিক জীবনের খুব সামান্য অংশ মাত্র। যা আমি আজ বললাম, তা হয়তো বহু মানুষের কাছে অজানা ছিল।”
তথ্যসূত্র: ডিবিসি নিউজ টকশো, সরাসরি বক্তব্য অনুযায়ী।
Leave a Reply