নিউজ ডেস্ক :
পাবনার সাঁথিয়ায় প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন সমতাকরণে উৎকোচ না দেওয়ায় এবং সার্ভিস বুক অফিসের বাইরে কেন জানতে চাইলে হিসাব সহকারি ও এক শিক্ষক কর্তৃক মারধরে আহত হয়েছেন আরেক শিক্ষক। এ ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৩ জুন, সোমবার বিকেলে সাঁথিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, অত্র অফিসের হিসাব সহকারি মোঃ আরিফুল ইসলাম ও সোনাতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মোঃ জসিম উদ্দিন যোগ সাজসে দীর্ঘ দিন ধরে বেতন সমতাকরণের কাজ করে শিক্ষক প্রতি ৩ হাজার ৫শত টাকা উৎকোচ নিয়ে আসছিল।
গত ২২ জুন বেতন সমতাকরণের জন্য জসিম উদ্দিন মোবাইলে নাড়িয়াগদাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোছাঃ মাসুমা শারমিন কে অফিসে দেখা করতে বলেন। সোমবার অফিসে আসলে অফিস সহকারী তাকে সাঁথিয়া প্রেস ক্লাবের পাশে জসিম উদ্দিনের ব্যাক্তিগত অফিসে দেখা করতে বলেন। সেখানে গেলে ২০-২৫ টি সার্ভিস বুকের মধ্যে হতে ফাইলটি বের করে পাঁচ আঙ্গুলের ছাপ নেন এবং ৩ হাজার ৫শত টাকা উৎকোচ দাবি করেন। টাকা না দিয়ে বিষয়টি পূর্বের কর্মস্থল তেঁথুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আরশেদ আলীকে জানান। ২৩ জুন, সোমবার বিকেলে আরশেদ আলী, পুন্ডুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম ও বোয়াইলমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ হুমায়ন কবিরকে সঙ্গে নিয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এর কাছে বিষয়টি অবগতির জন্য যান। তাকে না পেয়ে হিসাব সহকারির কাছে সার্ভিস বুক অফিসের বাইরে কেন এবং ফাইল প্রতি কেন ৩৫০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে কেন জানতে চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে হিসাব সহকারি ও জসিম উদ্দিন মিলে হুমায়ন কবিরকে কিল ঘুষি মারতে থাকে।
সে সময় উপস্থিত থাকা শিক্ষক মোঃ আরশেদ আলী ও মোঃ রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরা তাদের শান্ত করেছি। এ ব্যাপারে হিসাব সহকারী আরিফুল ইসলাম ও জসিম উদ্দিনের নিকট জানতে চাইলে শিক্ষকদের সার্ভিস বুক অফিসের বাইরে নেওয়ার কথা স্বীকার করলেও উৎকোচ ও মারপিটের কথা অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হেলাল উদ্দিন জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply