নিউজ ডেস্ক :
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এস. এম. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেছেন, “গত ১৩ জুন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে বৈঠকে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। দেশের ৩০ শতাংশ নতুন ভোটারসহ অধিকাংশ মানুষ এখন নির্বাচনমুখী। ষড়যন্ত্র করে নির্বাচন পেছানো যাবে না।”
সোমবার (৭ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর উত্তরখান থানার মাজার এলাকায় বিএনপির উদ্যোগে ৩১ দফা রাষ্ট্র সংস্কার প্রস্তাবনা সম্বলিত লিফলেট বিতরণ শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এস. এম. জাহাঙ্গীর বলেন, “জুলাই ও আগস্ট শোকের মাস—এই মাস আমাদের ত্যাগ, রক্ত ও গণতন্ত্রের বিজয়ের প্রতীক। বহু নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের আত্মত্যাগের মাধ্যমেই এ দেশের জনগণ ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তি পেয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “উত্তরখান থেকেও বহু নেতাকর্মী আহত ও নিহত হয়েছেন। সেই রক্তের ঋণ কখনো ভুলে যাওয়া যাবে না। খুনি হাসিনা যেমন বাংলাদেশে টিকতে পারেনি, উত্তরখানেও তার পেটোয়া বাহিনী বা অনুসারীরা টিকবে না। যারা ‘নব্য বিএনপি’ নাম নিয়ে অন্যায়, চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব করে, তারা বিএনপির কেউ নয়। বিএনপি করতে হলে নীতি-আদর্শের রাজনীতি করতে হবে। আওয়ামী লীগের মতো দুর্নীতির পথ অনুসরণ করলে চলবে না।”
তিনি বলেন, “ভালো কাজের মাধ্যমে সমাজে আলোচিত ও বরণীয় হওয়াই বিএনপির লক্ষ্য। এই শিক্ষা আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান দিয়েছেন। শহীদ জিয়াউর রহমানের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণতন্ত্রের প্রতিফলন আমরা শিগগিরই জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিয়ে দেখাবো।”
বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, “গত ১৭ বছর ধরে আমরা ভোট ও গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছি। ছাত্র-জনতা জীবন দিয়েছে। কিন্তু কিছু কুচক্রী মহল, যারা নির্বাচনে জয়ী হতে অক্ষম, তারা নির্বাচন নিয়ে তালবাহানা করছে। হাসিনা সরকার তিনটি ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছে। জনগণকে ভোটকেন্দ্রে যেতে দেয়নি, কারণ তারা জানে জনগণের সমর্থন তাদের নেই।”
সংস্কার প্রস্তাবনা প্রসঙ্গে এস. এম. জাহাঙ্গীর বলেন, “১৩ জুলাই ২০২৩ সালে বিএনপি সর্বপ্রথম ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবনা দিয়েছে। এখন অনেকেই সংস্কারের কথা বলছে। অথচ আমরা তখন থেকেই নারীর অধিকার, শ্রমজীবী ও কৃষকের অধিকার, ভোটারদের নিরাপত্তা—সব কিছু এই প্রস্তাবনায় যুক্ত করেছি। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম একটি রাজনৈতিক দল এত বিস্তারিত সংস্কার পরিকল্পনা জনগণের সামনে তুলে ধরেছে।”
তিনি বলেন, “বিএনপি জনগণের দল, আন্দোলনের দল। আমরা শিগগিরই জনগণের ভোটাধিকার আদায়ে বিজয়ী হবো।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য আহসান হাবীব, উত্তরখান থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জাহাঙ্গীর বেপারী, মো. নুরুজ্জামান, নাসিমুল ইসলাম, থানা বিএনপির সদস্য জুয়েল, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রুহুল আমিন বেপারী, যুবনেতা শেখ আবদুল্লাহ রাসেল, ছাত্রদল নেতা আসাদুল কবীর, সাবেক কাউন্সিলর কাজল রেখা, খিলক্ষেত থানার মহিলা দলের সেক্রেটারি পদপ্রার্থী মেঘলা, তুরাগ থানা বিএনপির মো. আলমাস ও উত্তরা পশ্চিম থানার খোকন প্রমুখ।
Leave a Reply