 
																
								
                                    
									
                                 
							
							 
                    
গত ৬ জুলাই ২০২৫ “বাংলা অ্যাফেয়ার্স” নামক একটি অনলাইন পোর্টালে “পিরোজপুর পৌরসভা দুর্নীতির রাজত্ব, উন্নয়ন নেই বছরজুড়ে” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন পিরোজপুর পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ জামাল হোসেন এবং পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ বনি আমিন।
দুই কর্মকর্তা সংবাদটিকে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করেছেন এবং জানিয়েছেন, এই সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে তাদের ব্যক্তিগত ও পেশাগত সুনাম নষ্ট করার হীন চেষ্টা করা হয়েছে।
▶️ প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ জামাল হোসেনের বক্তব্য:
তিনি লিখিত প্রতিবাদপত্রে বলেন,
“আমি দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে স্থানীয় সরকার বিভাগের নিয়ম অনুযায়ী এখানে চাকরি করছি। বদলি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে, আমি কোনো ব্যক্তিগত তদবির বা প্রভাব খাটাইনি।”
তিনি আরও জানান,
“প্লান পাসের ক্ষেত্রে আমি শুধু ফাইল প্রসেস করে কর্তৃপক্ষের কাছে উপস্থাপন করি। সেখানে কোনো কমিশন গ্রহণ বা দাবি করার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।”
তিনি অভিযোগ করেন, প্রতিবেদক ঢাকায় বসে মাঠ পর্যায়ের কোনো তথ্য যাচাই না করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই সংবাদ প্রকাশ করেছেন। প্রয়োজনে এ ধরনের তথ্যচিত্রবিহীন সংবাদ প্রচারের বিরুদ্ধে তিনি আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন ।
▶️ পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ বনি আমিনের বক্তব্য:
তিনি বলেন,
“আমি ২৮ দীর্ঘ ২৮ বছর যাবত চাকরি করছি। পিরোজপুর পৌরসভায় ১৩ বছর ধরে আছি, এখানে এখন পর্যন্ত আমার বদলির কোনও লিখিত আদেশ হয়নি। বদলি ঠেকানোর জন্য ক্ষমতা বা অর্থের ব্যবহার—এটি সরাসরি চরিত্রহননের অপপ্রয়াস।”
তিনি জানান, তার সম্পদ আয়ের তথ্য আয়কর রিটার্নে উল্লেখিত এবং বৈধ উৎস থেকেই অর্জিত। বরিশালে তার নামে জমি থাকলেও সেখানে কোনো ভবন নির্মাণ হয়নি।
তিনি বলেন,
“আমি চেক বা ভাউচার ইস্যুর দায়িত্বে নেই, অতএব বেতন বহির্ভূত আয়ের প্রশ্নই আসে না। সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও মনগড়া, যা আমার সুনাম ক্ষুণ্ন করতে পারে।”
এ ধরনের অসত্য তথ্য ছড়ানোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনে আইনি পদক্ষেপ
নেওয়া হবে।
দুই কর্মকর্তা একযোগে বলেন,
“সাংবাদিকতার ন্যূনতম পেশাগত শিষ্টাচার অনুসরণ না করে যেভাবে এই সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়।”
তারা আরও জানান, “বাংলা এফেয়ার্স” পোর্টালটি সরকারি তালিকাভুক্ত অনলাইন নয় বলেও তাদের ধারণা। এর মাধ্যমে একজন সরকারি চাকুরীজীবি হিসেবে তাদের পেশাগত ভাবমূর্তি নষ্ট করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে।
তারা বাংলা অ্যাফেয়ার্স পোর্টালের প্রতি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন—তথ্য যাচাই ছাড়া এমন সংবাদ পরিবেশনা সাংবাদিকতার চরম অপব্যবহার।
তারা সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক ও পোর্টালের বিরুদ্ধে প্রমান ছাড়া এহেন সম্মানহানিকর নিউজ প্রচারের জন্য প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতির কথাও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট দুই কর্মকর্তা।
পিরোজপুর
Leave a Reply