নড়াইল প্রতিনিধিঃ
নড়াইল সদর উপজেলার আর বি এফ এম ভবানিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এস এম জিয়াউল হক তারই বিদ্যালয়ে শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগে মোটা অংকের অর্থ ও স্বাক্ষর জ্বাল করে অবৈধ ভাবে এম পি ও ভুক্ত করানো মর্মে অভিযোগ করে আছেন নিরাপত্তাহীনতায়।
অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য তাকে প্রান নাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন । এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি সিকদার তোফায়েল আহমেদ সহ পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, নড়াইল আর্মি ক্যাম্প ও নড়াইল সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে তিনি জানান।
অভিযোগ কারী এস এম জিয়াউল হকের লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, তিনি আর বি এফ এম ভবানিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক, তিনি ভবানিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ সংক্রান্ত একটি দুর্নীতি তদন্তের জন্য উপ পরিচালক, খুলনা মাধ্যমিকের বরাবর আবেদন করেন।
যার প্রেক্ষিতে উপ পরিচালক,খুলনা নড়াইলের মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমের উপর তদন্তের দায়িত্ব দেন।
তারপর থেকে সাবেক সভাপতি সিকদার তোফায়েল আহমেদ ও তার লোকজন তাকে অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য নানা রকম হুমকি ধামকি ও চাপ প্রয়োগ করে আসছিল।
গত ০৯ ই জুলাই আনুমানিক দুপুর ১ টার দিকে তাকে ফোন করে ডেকে এনে নড়াইল ডিও অফিসের সামনের রাস্তার উপর আজিজুর রহমান সহকারী শিক্ষক আর বি এফ এম ভবানিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়,মোঃ মাসুম,পিতা- অজ্ঞাত, মোঃ কামরুল শরিফ, পিং – আরিফ শরিফ, সাং আউড়িয়া গালি গালাজ ও হুমকি দিয়ে অভিযোগ পত্র প্রত্যাহারের কপিতে স্বাক্ষর করার জন্য চাপ দেয়। তিনি কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে আত্মরক্ষা করেন। এখন তিনি অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কারনে প্রানভয়ে স্কুলে যেতে পারছেন না।
এমতাবস্থায় দোষীদের বিচার ও তার জীবনের নিরাপত্তার একান্ত প্রয়োজন বলে তিনি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে প্রধান অভিযুক্ত বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি সিকদার তোফায়েল আহমেদ জানান, আমি এগার মাস বিদ্যালয়ে যাইনি, আমি এই বিষয়ে কিছু জানি না।
উল্লেখ্য সিকদার তোফায়েল আহমেদ নড়াইল সদর পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ৪ ই আগষ্ট নড়াইলে ছাত্র জনতার উপর হামলার ঘটনায় নাশকতা মামলার আসামি।
Leave a Reply