সুমন ইসলাম,
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি :
ঠাকুরগাঁও শহরে জমি নিয়ে বিরোধের ঘটনায় প্রতিবেশি পাঁচজনকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনা ঘটেছে ।
গেল বুধবার (১৬ জুলাই) সকালে শহরের গোয়ালপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- গোয়ালপাড়া এলাকার মৃত দবিরুল ইসলামের ছেলে আফজাল হোসেন, তার দুই ছেলে রুবেল ইসলাম, মিন্টু ইসলাম, ভাই মানিক ও দুলু।
ভুক্তভোগী আফজাল হোসেন বলেন, পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত ২৫ শতক জমিতে গেল বুধবার আমি গেলে প্রতিপক্ষ ফজির উদ্দিন ওরফে রাবুসহ তার লোকজন আমার ওপর লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এসময় তারা লাঠিসোটা দিয়ে পেটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এসময় আমাকে বাঁচাতে আমার দুই ছেলে রুবেল ইসলাম, মিন্টু ইসলাম, ভাই মানিক ও দুলু এগিয়ে আসে। এসময় ফজির উদ্দিন তার লোকজন নিয়ে এদেরকে পিটিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয় লোকজন আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁওয়ের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা সেবা নেয়।
আফজাল হোসেন বলেন, ফজির উদ্দিন তার লোকজন নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে এবং মারপিট করে আহত করে। অথচ এখন উল্টো তারাই আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়ার পায়তারা করছে। তারা বলছে- আমরা নাকি তাদের বাড়িতে হামলা করে লুটপাট করছি। আমি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাই- আপনারা এসে ঘটনার সঠিক তদন্ত করুন, তাহলে প্রকৃত সত্য উন্মোচন হবে।
এদিকে আফজাল হোসেনের পুত্রবধু রুনা বলেন, ফজির উদ্দিন তার লোকজন নিয়ে আমার শ্বশুর, স্বামী, দেবর ও চাচা শ্বশুরদের মারপিট করে আহত করে। এখন মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে সমাজে আমাদের হেয় করার অপচেষ্টা করে যাচ্ছে। আমরা চাই সঠিক ঘটনা উঠে আসুক।
এঘটনার মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী আফজাল হোসেন।
অভিযুক্ত ফজির উদ্দিনের স্ত্রী শাহানাজ বেগম সাবানার ভাই রাজু বলেন, আমার বোন শাহানাজ ও তার স্বামী যে জমিটি দাবি করছে সেটি তারা পাবে না। এই জমিটি পৈত্রিক সূত্রে মালিক আফজাল হোসেন। আর সেদিন আমার বোনের বাড়িতে লুটপাটের কোন ঘটনা ঘটেনি। উভয় পক্ষ রাস্তায় বাকবিতন্ডায় জড়ায় এবং ধাক্কাধাক্কি হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ফজির উদ্দিন বলেন, আমি আমার শ্বশুর বাড়িতে থাকি। আর ঐ জমিটি আমার বউয়ের। তারা আমাদের জমি তাদের দাবি করে। এ নিয়ে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে তারা আমাদের মারপিট করে এবং লুটপাট করে।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি সারোয়ার আলম খান বলেন, এখন অবধি কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।