বিশেষ প্রতিনিধি
গাইবান্ধায় দুর্বৃত্ত দুষ্কৃতি কান্ডে সাংবাদিকের নাম ভাঙ্গিয়ে অপকাণ্ডে রাজত্ব। ভদ্র ছদ্মবেশী নানা পরিচয়ের আড়ালে না-না অনিয়ম অভিযোগের পাহাড়। রাজনৈতিক অপক্ষমতা ও প্রশাসনের ছত্রছায়ায় চোর থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী আতিক বাবুর দৌরাত্ম্য। ঘটনা অনুসন্ধানে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। যার অপকাণ্ডে নানাভাবে হয়রানি ভোগান্তি ক্ষয়ক্ষতির শিকার অনেকেই। ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর জানমালের অপূরণীয় ক্ষতিতে গুঞ্জন সমালোচনায় প্রকাশ পেয়েছে স্থানীয় এলাকা ও সাধারণ গণমানুষের মুখে মুখে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জনমনে। প্রকাশিত হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া সহ গণমাধ্যমে।
গাইবান্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বহুল আলোচিত হিরু মদারুর পুত্র, একইসাথে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এমারুল ইসলাম সাবিনের ভাতিজা—আতিক বাবু। এক সময়ের চোর, এখন নিজেকে সাংবাদিক পরিচয়ে রূপান্তরিত করে গাইবান্ধা জেলায় সন্ত্রাস ও ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রতীক হয়ে উঠেছে সে। নিজেকে ‘গণ উত্তরণ’ নামক একটি পত্রিকার সম্পাদক পরিচয় দিয়ে বছরের পর বছর ধরে সে অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে, অথচ বাস্তবে সেই পত্রিকার মালিকপক্ষ বহু আগেই জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ওই প্রকাশনা বাতিলের আবেদন করেছে, যা গৃহীত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
তবে প্রশ্ন থেকে যায়, বাতিল হওয়া ডিক্লারেশনের পরও কীভাবে আতিক বাবু এখনো ‘গণ উত্তরণ’ ব্যানারে অনলাইন নিউজ প্রচার করতে পারে? কেন এই ভুয়া পরিচয়ে চলমান অপতৎপরতার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে না?
আতিক বাবুর বিরুদ্ধে রয়েছে এক ডজনেরও বেশি মামলা—যার মধ্যে খুন, ধর্ষণ, প্রতারণা, চাঁদাবাজি, অর্থ আত্মসাত ও অস্ত্র মামলার মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। সে একাধিকবার সাজাপ্রাপ্তও হয়েছে এবং জেলও খেটেছে। কিন্তু বিস্ময়ের ব্যাপার হলো, বর্তমানে সে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে।
এ ধরনের দৃষ্টান্ত শুধু গাইবান্ধার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকেই প্রশ্নবিদ্ধ করছে না, বরং প্রশাসনের নির্লিপ্ততা ও দলীয় প্রভাবশালী পরিবারের সদস্যদের ব্যবহৃত ‘সাংবাদিক তকমা’র আড়ালে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার চিত্রকেও নগ্নভাবে উন্মোচন করছে।
সচেতন মহলের দাবী—ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করে সংবাদমাধ্যমের নামে অপতৎপরতায় লিপ্ত, সাজাপ্রাপ্ত আসামি আতিক বাবুর বিরুদ্ধে অবিলম্বে প্রশাসনিক ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় গাইবান্ধার সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা—উভয়ই চরমভাবে হুমকির মুখে পড়বে।
Leave a Reply