মোহাম্মদ মাসুদ
চট্টগ্রাম নগরীর কর্তৃপক্ষের রক্ষণাবেক্ষণ অবহেলার কারণেই ভারী বর্ষণে ব্রিজ ভেঙে যান চলাচল বন্ধ। দুই নাম্বার গেইট থেকে অক্সিজেন সংযোগস্থলে ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের কিছু পরে মেইন রোডে খালের উপরে ধসে পড়ল ব্রিজ বৃষ্টির পানির তোড়ে ধসে পড়ল ব্রিজ। ভারী বর্ষণে ভেঙে গেল ব্রিজ। যান চলাচল বন্ধ।
৭জুলাই,(বৃহস্পতিবার) অক্সিজেন এলাকায় শীতল ঝর্ণা খালের ওপর থাকা সেতুটি ধসে পড়ে। ধসে পড়ার আগে ভোর থেকে সামান্য একটু গর্ত হয় পরে টানা ভারি বর্ষণে খালের স্রোতে বৃষ্টির মধ্যে ধসে পড়ে। দুই নম্বর গেইট থেকে অক্সিজেনমুখী বায়েজিদ বোস্তামি স্টার শিব সংলগ্ন রোডে সড়ক ধসে যান চলাচল বন্ধ হয়।
প্রথমে স্থানীয় লোকজন সামান্য ফাটল গর্ত দেখে বন্ধ করে দেয়। ফলে সড়কের একপাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে অন্য পাশ দিয়ে গাড়ি চলছে। উভয়মুখী গাড়ি একই লেন দিয়ে চলাচল করায় সৃষ্টি হয়েছে যানজট।
এদিন সকাল ৬টার দিকে সেতুটি ভেঙে পড়ে। শীতল ঝর্ণা খাল দিয়ে তখন তীব্র স্রোতে পানি নামছিল। পানির তোড়ে সেতুটি ভেঙে যায়।
চট্টগ্রামের রাউজান ও হাটহাজারী উপজেলা, অক্সিজেন মোড় হয়ে পার্বত্য জেলা রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িমুখী যানবাহন চলে বায়েজিদ বোস্তামি সড়ক দিয়ে। সড়কটির দুই পাশে বেশ কিছু শিল্প কারখানা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ রিফাতুল করিম চৌধুরী বলেন, “এটি বহু বছরের পুরনো ইটের তৈরি সেতু। ১৯৮০ সালের দিকে করা হয়েছিল। পানির চাপে সেতুটি ভেঙে গেছে। এখন রাস্তার ওই অংশ বন্ধ রাখা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে সিটি মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, “এটা ২০ ফুটের একটি ব্রিজ। এটা করতে হবে ৬০ ফুট। কিন্তু যে বাজেট দরকার, তা আমাদের নেই। এখানে প্রায় ৯ কোটি টাকা খরচ হবে। এখন নিজস্ব তহবিল থেকে করতে হবে।”
তিনি বলেন, চলমান জলাবদ্ধতা প্রকল্পের অধীনে শীতল ঝর্ণা খাল খনন করা হয়েছে। তাতে জলাবদ্ধতা কমেছে। কিন্তু নিচ থেকে মাটি ওঠানোর কারণে ব্রিজের নিচের মাটি সরে গেছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে নগরীতে বৃষ্টি শুরু হয়। ভোর থেকে টানা বর্ষণে নগরীর মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, চকবাজার, চান্দগাঁও আবাসিক, আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকা, হালিশহর বসুন্ধরা আবাসিক, নন্দীরহাটসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
Leave a Reply