নড়াইল প্রতিনিধি
নড়াইল সদর উপজেলার শেখহাটি ইউনিয়নের তপনভাগ গ্রামের ইব্রাহিম মোল্যা নামে এক ব্যাক্তিকে ডি বি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়েছে মর্মে অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার ও স্থানীয় এলাকাবাসীরা।
৩ ই সেপ্টেম্বর বুধবার সকাল ১১ টায় শেখহাটি বাজার তিন রাস্তার মোরে এই সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অপহরণের স্বীকার ইব্রাহিম মোল্যার স্ত্রী ইরানী খাতুন (২৭)।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে জানান,
২ রা সেপ্টেম্বর সোমবার রাত অনুমান সাড়ে তিনটার দিকে অজ্ঞাত পরিচয় ৭/৮ জন লোক ডি বি পুলিশ পরিচয়ে আমার বসত ঘরের দরজা ধাক্কা দিয়ে দরজা খুলতে বলে,এ সময় আমার স্বামী মোঃ ইব্রাহিম মোল্যা দরজা খুলে দেন। দরজা খোলার পর অজ্ঞাত লোকগুলো মামলার প্রয়োজনে ডি বি অফিসে যেতে হবে বলে আমার স্বামীকে নিয়ে বেরিয়ে যায়। ঘটনার আকর্ষীকতায় সে সময় সেখানে আমার প্রতিবেশী রমজান মোল্যা( ৫০)পিতা- মৃত মনছোফ মোল্যা, রুহুল আমিন(৩০), পিতা – আব্দুর রহমান, পারুল বেগম (৪০), স্বামী – রমজান মোল্যা সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন,
এরপর ২ ই সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকাল অনুমান ৯ টার সময় আমি নড়াইল ডি বি অফিসে আমার স্বামীর খোঁজ করতে আসলে ডি বি পুলিশ আমার স্বামীকে তুলে আনেনি বলে জানায়।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে আমার শশুরকে তপনভাগ জলমহাল ইজারা নেওয়াকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীরা হত্যা করে এবং সেই ঘটনায়
আমার স্বামী বাদী হয়ে নড়াইল সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। যার নড়াইল সদর থানার মামলা নং ৬৫ তাং ৩০/১১/২০১৭ ইং জি আর ৬৫৬/২০১৭(N) হতে উদ্ভুত এম. সি ১৯১/২১।
উক্ত মামলার আসামীরা হচ্ছে একই গ্রামের ইউসুফ, রাজু, আক্তার, মুক্তার,রসুল,দাউদ অদুদ, মন্নাফ সহ আরো অনেকে।
উক্ত মামলার আসামীদের সাথে আরো একাধিক মামলা চলমান এবং আমার স্বামীর সাথে বিরোধ বিদ্যমান রয়েছে।
আমার বদ্ধমুল ধারণা আমার শশুরের হত্যা মামলার আসামীরাই মিথ্যা ডি বি পুলিশ পরিচয়ে আমার স্বামীকে তুলে নিয়ে গেছে এবং তাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে খুন জখম করতে পারে।
আমি পুলিশ প্রশাসনের কাছে দ্রুত এদের গ্রেফতারের দাবী জানাই এবং আমার স্বামীকে ফেরত চাই।
এ বিষয়ে অপহরণের স্বীকার ইব্রাহিম মোল্যার ছোট ভাই রুহুল আমিন( ২৫)জানান, জলমহল নিয়ে যে মামলা চলছে সেই মামলার আসামীরাই আমার ভাইকে অপহরণ করছে,আমি আমার ভাইকে ফেরত চাই, এবং যারা এই ঘটনার সাথে জড়িত তাদের শাস্তির দাবী জানাই।
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের বাড়ি গিয়ে কোন পুরুষ মানুষকে খুঁজে পাওয়া যায়নি, বাড়িতে উপস্থিত নারীরা কথা বলতে রাজী হননি।
এ বিষয়ে নড়াইল সদর থানার ওসি সাজেদুল ইসলাম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে,প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply