পিরোজপুরে পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিনের পারিবারিক বিরোধ নতুন করে চরম আকার ধারণ করেছে। অভিযোগ উঠেছে, জাল ও অরেজিস্ট্রিকৃত বণ্টননামা দেখিয়ে জোরপূর্বক সম্পত্তি দখল এবং স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করছে ভুক্তভোগীর আপন ভাই। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মোঃ মজিবর রহমান শেখ প্রশাসন ও গণমাধ্যমের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পিরোজপুর সদর উপজেলার পাড়েরহাট সড়কের শেখপাড়া এলাকার বাসিন্দা মোঃ মজিবর রহমান শেখের মা ১৯৭৪ সালে এবং বাবা ১৯৮১ সালে মৃত্যুবরণ করেন। এরপর থেকে তিনি তাঁর ৫ ভাই ও ৫ বোনকে নিয়ে একই ভিটায় বসবাস করে আসছেন। দশ ভাইবোনের মধ্যে সবচেয়ে ছোট হওয়ায় পারিবারিকভাবে সবসময় তিনি বঞ্চনার শিকার হন বলে দাবি করেছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, তাঁর মেঝ ভাই আব্দুল মোতালেব ও চতুর্থ ভাই মোঃ মনিরুল ইসলাম শেখ পরিবার ও জমিজমার দেখাশোনার দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে কৌশলে মূল্যবান জমির রেকর্ড নিজেদের নামে করে নেন। অন্যদিকে তাঁর নামে অমূল্য নালা, ডোবা ও খণ্ড জমি দেখিয়ে অংশ দেওয়া হয়।
মোঃ মজিবর রহমান শেখ বলেন, ২০০৮ সালে তিনি বিবাহ করার পর থেকে তাঁর প্রাপ্য পৈতৃক সম্পত্তি দাবি করেন। সেই সময় থেকে ভাইরা তাঁর বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করে। এমনকি ফুফুর একটি জমি তিনি তাঁর স্ত্রীর নামে ক্রয় করার পর থেকে তাঁকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া, জাল কাগজপত্র তৈরি, প্রশাসনিক হয়রানি—এমনকি সমাজে অপমান করার মতো ঘটনা ঘটানো হয়।
তিনি আরও জানান, এ পর্যন্ত ৭-৮ বার স্থানীয়ভাবে আত্মীয়-স্বজন ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সালিশ বৈঠক হলেও কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি।
সম্প্রতি তাঁর চতুর্থ ভাই মোঃ মনিরুল ইসলাম শেখ জোরপূর্বক তাঁর অংশীদার সম্পত্তির ভেতরে প্রাচীর ও বসতবাড়ি নির্মাণ শুরু করেছে। ভুক্তভোগীর দাবি, প্রকৃত কাগজপত্র উপস্থাপন না করে এভাবে জবরদখল করে নির্মাণ কাজ চলতে থাকলে তিনি স্থায়ীভাবে তাঁর ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন।
ভুক্তভোগী মোঃ মজিবর রহমান শেখ এ বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তিনি বলেন, আমার ভাইরা দীর্ঘদিন ধরে আমাকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করছে। এখন আবার জোর করে বাড়িঘর তুলছে। আমি চাই সঠিক কাগজপত্র যাচাই করে আমার ন্যায্য সম্পত্তি আমাকে বুঝিয়ে দেওয়া হোক।