ইমন মিয়া, স্টাফ রিপোর্টার:
বাংলাদেশের মাটিতে প্রতিদিন জন্ম নিচ্ছে অসংখ্য স্বপ্ন, আর সেই স্বপ্নের স্রোতে ভেসে চলা এক তরুণ যোদ্ধার নাম সাগর খান। এই প্রতিভাবান ফুটবলার শুধু নিজের নয়, পুরো জাতির স্বপ্ন বুকে ধারণ করে দৌড়াচ্ছেন সবুজ ঘাসের মাঠে।
শৈশব থেকেই ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা তাকে গড়ে তুলেছে এক অনন্য যোদ্ধায়। মাঠে নামলেই যেন তিনি অন্য এক মানুষ দুর্দান্ত ট্যাকল, নিখুঁত বল পাসিং আর অসাধারণ কাভারিং দিয়ে বারবার প্রমাণ করেছেন তিনি কেবল একজন খেলোয়াড় নন, তিনি আগামী দিনের ভরসা। ডিফেন্স পজিশনেই তার আসল শক্তি, যেখানে প্রতিপক্ষের আক্রমণ ভেঙ্গে দিয়ে নতুন করে আক্রমণ সাজিয়ে তুলতে পারেন মুহূর্তেই।
এছাড়াও দলের প্রয়োজনে আরও একাধিক পজিশনে খেলতে পারে তার মধ্যে অন্যতম ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার পজিশনটি।
তিনি গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলায় মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্মগ্রহণ করেন। কিন্তু তার ফুটবলের যাত্রাটা শুরু হয় ঢাকার একটি ফুটবল একাডেমি থেকে। উত্তর বারিধারা ফুটবল একাডেমীর কোচ স্বপন ইসলামের হাত ধরে। তিনি ঢাকা বিভাগের হয়ে অনূর্ধ্ব ১৭ দলের হয়ে খেলেন। তারপর তিনি ঢাকা সিনিয়র ডিভিশনে মাঠ মাতান।এরপর সেই সুবাদে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন লিগ ২০২৪-২৫ সিজনেও দলে ছিলেন। দলের হয়ে ফুটবল পায়ে দেখিয়েছেন অনেক নৈপুণ্য। এছাড়াও বিভিন্ন লোকাল টুর্নামেন্টে নিয়মিত খেলে মাঠ মাতাচ্ছেন এই তরুণ।
তবে তার স্বপ্ন লোকালের সীমানা ছাড়িয়ে আরও বড়। সাগর খানের চোখে একদিন লাল-সবুজ জার্সি পরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার জেদ। কিন্তু সেই স্বপ্নপূরণের জন্য প্রয়োজন সঠিক দিকনির্দেশনা, প্রয়োজন পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা আর মজবুত এক প্ল্যাটফর্ম।
যদি সাগর সঠিক গাইডলাইন আর উপযুক্ত সুযোগ পান, তবে তিনি শুধু গাইবান্ধা জেলা নয়, সমগ্র দেশকে গর্বিত করবেন। তার প্রতিটি দৌড়, প্রতিটি ঘাম, প্রতিটি লড়াই যেন সাক্ষী হয়ে থাকছে বাংলাদেশের ফুটবলের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের।
একজন ফুটবলারের এ লড়াই শুধু নিজের নয় এ লড়াই এক মায়ের প্রার্থনা, এক গ্রামের আশীর্বাদ, আর কোটি ক্রীড়া প্রেমীর চোখের জল ভেজা স্বপ্ন।
তিনি যেমন ফুটবল মাঠের যোদ্ধা। বাস্তব জীবনেও তিনি একজন বড় যোদ্ধা। তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করে তার পরিবারকে চালায় এবং তার ফুটবল খেলা চালিয়ে যায়। তার কাছ থেকে জানা গেছে তিনি রাতের বেলায় কাজ করে এবং দিনে ফুটবল খেলে। এভাবেই চলে যাচ্ছে স্বপ্নবাজ সাগরের ফুটবল যাত্রা।
Leave a Reply