সোহেল রানা,রাজশাহী,প্রতিনিধি:
রাজশাহীর সরকারি খাদ্যগুদামে বিপুল পরিমাণ পচা চাল মজুত ও বিতরণের অভিযোগে সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। গত ২৬ আগস্ট দুর্গাপুর উপজেলা খাদ্যগুদামে অভিযান চালিয়ে ৮০ মেট্রিক টন পচা চাল জব্দ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবরিনা শারমিন। এ ঘটনায় গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামকে বদলি করা হলেও মূল হোতারা এখনো অচিহ্নিত থেকে গেছেন। উপকারভোগীদের অভিযোগ, সরকার যে চাল দুস্থ ও স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য বরাদ্দ দিয়েছে, তা খাওয়ার অনুপযোগী ও দুর্গন্ধযুক্ত। তালিকাভুক্ত উপকারভোগীরা প্রশ্ন তুলেছেন এমন নিম্নমানের চাল সরকারি গুদামে ঢুকল কীভাবে? অনেকেই বলছেন, প্রশাসনের নীরবতা এবং খাদ্য বিভাগের গড়িমসিই এ দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। রাজশাহীর পাশাপাশি নওগাঁ, জয়পুরহাট ও কুড়িগ্রামেও একই ধরনের ঘটনার প্রমাণ মিলেছে। তবে রাজশাহীতেই প্রথমবার বিপুল পরিমাণ চাল জব্দ হওয়ায় বিষয়টি ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, খাদ্য বিভাগের একশ্রেণির কর্মকর্তা ও সরবরাহ সিন্ডিকেটের যোগসাজশে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তদন্ত কমিটি গঠন হলেও এখনো মূল হোতারা আড়ালে থেকে গেছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে খাদ্য বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সরকারি সংগ্রহ অভিযানের সময় স্থানীয়ভাবে নিম্নমানের চাল সংগ্রহ করে তা গুদামে ঢুকানো হয়েছে। কিন্তু এ চাল কীভাবে যাচাই-বাছাই ছাড়াই মজুত হলো, সে প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। এদিকে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, অসহায় মানুষের মাঝে খাওয়ার অনুপযোগী চাল বিতরণ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। তবে উপকারভোগীদের দাবি, শুধু চাল জব্দ করলেই চলবে না এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।