পিরোজপুর প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় সিকদার ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও মেডিকেল সার্ভিসের মালিকানা নিয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে।
প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও স্বত্বাধিকারী মরহুম আসাদুর রহমান রনি সিকদারের মৃত্যুর পর তার নাবালিকা দুই কন্যা সন্তান ও স্ত্রীকে বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র চলছে বলে জানা যায়। এরকম একটি পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রনি সিকদার জীবিত অবস্থায় এলাকায় চিকিৎসা সেবায় বিশেষ ভূমিকা রাখতেন। তিনি শুধু ব্যবসায়ীই নন, ছিলেন সবার বিপদে এগিয়ে আসা একজন সৎ মানবিক ও সমাজবান্ধব মানুষ। তার অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এলেও পরবর্তীতে তার নিজ হাতে গড়া প্রতিষ্ঠানের মালিকানা নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, রনি সিকদারের সৎভাই রমি সিকদার এবং বাবা মঞ্জুর রহমান সিকদার বর্তমানে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকানা নিজেদের নামে নেয়ার প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি লাইসেন্সসহ বিভিন্ন কাগজপত্র নামান্তরের চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও শোনা যায়। এতে রনির স্ত্রী ও নাবালিকা দুই কন্যা সন্তান বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় সচেতন মহল বলছে, আইন ও ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী রনির মৃত্যুর পর সর্বপ্রথম মালিকানার দাবিদার হচ্ছেন তার দুই কন্যা ও স্ত্রী। কিন্তু পরিবারে চাপ ও ভয়ের কারণে রনির স্ত্রী প্রকাশ্যে আপত্তি জানাতে পারছেন না।
তারা আরও জানান, সদিচ্ছা থাকলে প্রতিষ্ঠানটি পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা পরিচালনা করতে পারলেও মালিকানা রনির স্ত্রী বা সন্তানের নামে বহাল রাখা যেতো। এতে ভবিষ্যতে বাচ্চাদের জন্যও সহায়ক হতো।
মঠবাড়িয়ার ব্যবসায়ী মহল এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, যদি জোরপূর্বক নাম পরিবর্তন করা হয় তবে তা শুধু আইনের নয়, ধর্মীয় বিধানও লঙ্ঘন হবে। তারা সংশ্লিষ্ট পরিবারকে আহ্বান জানিয়েছেন, নাবালিকা ওয়ারিশদের প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া পর্যন্ত মালিকানা যে নামে আছে ঐ নামে বহাল রাখতে। স্থানীয়রা এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের নজরদারি কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে রনি সিকদারের বাবা মঞ্জুর রহমান সিকদার এই প্রতিবেদককে বলেন ওই প্রতিষ্ঠানের পুরো টাকা আমি আমার ছেলেকে দিয়ে করে দিয়েছি ওই প্রতিষ্ঠান পরবর্তীতে আমি আরও অর্থ বিনিয়োগ করেছি, অবশ্যই এর ওয়ারিশ আমার নাতিরা সময় সুযোগ হলে তাদের নামি করে দেব।
কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ার সহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তির মুখ থেকে শোনা যায়, এই ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি রনি শিকদার
তিল, তিল করে গড়ে তুলেছে এবং তিনি নিজ হাতে গড়েছেন এবং একজন পার্টনার নিয়েছেন যে পার্টনার অদ্যবধি পর্যন্ত তার টাকা ফেরত পায় নাই , এবং তার পাওনা টাকা নিয়ে তার মৃত্যুর পর তার বাবা সলচাতুরি আশ্রয় নিচ্ছে, কথিত আছে এই মঞ্জু শিকদার মঠবাড়িয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র থাকা অবস্থায় মসজিদে জায়গা দখল করে ডিসিআর কেটে নিজে দোকান নির্মাণ করেন, জনগণের জন্য বরাদ্দকৃত পাবলিক টয়লেট তার গৃহে স্থাপন করেন, অন্য রাস্তার কাজ কেটে এনে তার বাড়ির সামনের রাস্তা প্রশস্ত করেন, শোনা যায় তার শ্যালকের একটি দোকান ঘরবাড়ি মন্দিরের পাশে সেটি ও তিনি দখল করেন। স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায় রনি শিকদারের মৃত্যুর পরে তার
ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ল্যাবে কোন নিয়মিত ডাক্তার বসে না এবং কম্পাউন্ডার দিয়ে তিনি বিভিন্ন পরীক্ষা ও টেস্ট করান।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে রনি সিকদারের সৎভাই রমি সিকদার বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া একটা পোস্ট হয়েছে এ ব্যাপারে আমরা কিছুই জানি না আমার ভাবি এবং ভাইয়ের মেয়েরা আমাদের সাথেই আছে।
এ ব্যাপারে রনি শিকদারের স্ত্রীর তানিয়া রহমান নিপার সাথে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি তা রিসিভ করেননি।