নিউজ ডেস্ক :
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বক্তব্য দেওয়ার সময় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে বলেছেন, ‘এর আগেও পঞ্চগড়ে এনসিপির প্রোগ্রাম চলাকালে বিদ্যুৎ গেছে। নেসকোর যে মালিক তাকে এবং তার বাপকে জবাব দিতে হবে, প্রোগ্রাম চলাকালে, এটা হয় কেন? এক দিন হইতো, দুই দিন হইতো কিচ্ছু বলতাম না, তিন দিনের তিন দিনই এটা হইছে। যারা এটা করছে, তারা হচ্ছে রাজনৈতিক *****। এই রাজনৈতিক দেউলিয়াদের আমরা দেখে নিব তাদের কলিজা কত বড় হইছে। কলিজা ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলে রাখব।’
চাঁদাবাজিসহ সব অপকর্মের বিরুদ্ধে সারজিস আলমের নেতৃত্বে পঞ্চগড় শহর থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত গতকাল শনিবার লংমার্চ হয়।
সেই লংমার্চের সমাপ্তি বক্তব্য দেন রাত সাড়ে নয়টার দিকে। পঞ্চগড় জেলা শহরের শেরেবাংলা পার্কসংলগ্ন জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে এই আয়োজনে বক্তব্য দেওয়ার সময় সারজিস আলম এসব কথা বলেন।
গতকাল দুপুরে পঞ্চগড় শহর থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত লংমার্চে তিনি নেতৃত্ব দেন। মিছিলটি শুরু হয় ঐতিহাসিক চিনিকল মাঠ থেকে এবং এতে বেশ কয়েকটি পিকআপ ও প্রায় পাঁচ শতাধিক মোটরসাইকেলের অংশগ্রহণ ছিল। সেখানে মিছিলকারীরা চাঁদাবাজি, দুর্নীতি ও অন্যান্য অপকর্মের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নেয়।
সারজিস আরও বলেন, ‘পঞ্চগড়ে কোনো প্রতিষ্ঠান যদি রাজনৈতিক পক্ষপাতমূলক আচরণ করে, সেক্ষেত্রে সেই প্রতিষ্ঠান আমরা এখানে থাকতে দেবো না, এটাই আমার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা। যারা চাঁদাবাজ, দখলদার, সিন্ডিকেট, মাদক ব্যবসায়ী ও দুর্নীতিবাজ, তাদের বিরুদ্ধে আমরা যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন নিরন্তর সংগ্রাম চালাবো; তাদের আর শান্তির ঘুম থাকবে না।’
তিনি উল্লেখ করেন, যখনই কেউ স্থানীয় প্রশাসন বা কর্পোরেট শক্তি দিয়ে নিপীড়ন করবে বা সমাজে অনৈতিক কার্যকলাপ চালাবে, তখনই জনগণ প্রতিবাদ করবে এবং এ ধরনের ক্ষমতার অপব্যবহার সহ্য করা হবে না। সারজিস দাবি করেন, তিনি ও তার কর্মীরা পঞ্চগড়ের মানুষের কল্যাণে জোরদারভাবে কাজ করে যেতে চান।
সমাবেশ ও লংমার্চ কালীন পরিবহন ও জনসমাগম নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় প্রশাসন উপস্থিত ছিল। সভায় অংশ নেওয়া নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি শেষ করেছেন এবং জেলা পরিষদ এলাকার উপরিভাগ দিয়ে কর্মসূচি সমাপ্ত হয়।
Leave a Reply