নড়াইল প্রতিনিধিঃ
নড়াইলের তুলারামপুর ইউনিয়নের মেধাবী শিক্ষার্থী পুস্পিতা দাস ভাঙ্গুরা ডিগ্রী কলেজ,যশোহর বোর্ডের অধীনে এইচ এস সি পরিক্ষা দিয়ে
মানবিক বিভাগ থেকে পেয়েছেন জিপিএ ফাইভ।
পুষ্পিতা তুলারামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এস এস সি পরীক্ষায়ও পেয়েছিলেন জিপিএ ফাইভ।
তার এই অভূতপূর্ব সাফল্যে খুশি তার পরিবার পরিজন সহ নড়াইল বাসী।
পুষ্পিতা দাস তুলারামপুর ইউনিয়নের জনক কুমার দাস ও রত্না দাসের এক মাত্র সন্তান।
তার পিতা জনক কুমার দাস বাংলাদেশ গ্রাম্য ডাক্তার কল্যাণ সমিতির নড়াইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও তার মা একজন গৃহিণী।
পুষ্পিতা দাসের পিতা জনক কুমার দাস জানান, মেয়ের ধারাবাহিক সাফল্যে তাঁরা আনন্দিত,এবং এই ভালো ফলাফলের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে তাঁরা বদ্ধ পরিকর।
মেয়ে লেখাপড়া শেষ করে কি হতে চায় জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুষ্পিতার ইচ্ছে ব্যরিষ্টার হবে।
পুষ্পিতা দাসের ধারাবাহিক সাফল্যের বিষয়ে তুলারাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইন্দ্রজিত কুমার মন্ডল বলেন পুষ্পিতা দাস আমাদের স্কুল থেকে এস এস সি পরিক্ষা দিয়ে জিপিএ ফাইভ পেয়েছিল,সে খুবই মেধাবী, লেখা পড়ার পাশাপাশি সে খুব ভালো গানও করতো। এইচ এস সি পরিক্ষায় সে ভালো করবে এটা আমাদের বিশ্বাস ছিল, সে ভালো ফলাফল করেছে।তাঁর এই ভালো ফলাফলের ধারাবাহিকতা বজায় থাকুক। আমি তাঁর সার্বিক মঙ্গল কামনা করি।
পুষ্পিতা দাস বলেন আমি লেখাপড়া শেষ করে ব্যরিষ্টার হতে চাই,আপনার সবাই আমাকে আশীর্বাদ করবেন।
উল্লেখ্য ১৬ ই অক্টোবর বৃহস্পতিবার এইচএসসি পরিক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
এইচএসসি পরীক্ষায় যশোর বোর্ডের পাচঁ হাজার ৯৯৫ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন। এ বছর বোর্ডের ৫০ দশমিক ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছেন। গতবছর অর্থাৎ ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের এইচএসসি পরীক্ষায় যশোর বোর্ডের ৯ হাজার ৭৪৯ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন। সে বছর বোর্ডের ৬৪ দশমিক ২৯ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছিলেন। যশোর বোর্ডে পাসের হার কমেছে ১৪ দশমিক ০৯। জিপিএ-৫ কমেছে তিন হাজার ৭৫৪ জন।
Leave a Reply