সোহেল রানা,রাজশাহী,প্রতিনিধি:
রাজশাহীর সপুরা এলাকায় গভীর রাতে বাষায় ঢুকে ধারালো অস্ত্র মুখে জিম্মি করে এক ব্যাক্তির বাসায় দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার দিনগত রাত পৌনে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
রাতে ওই বাসায় ঘটনায় ছিলেন মোছা. মুর্শেদা খাতুন ও ভাতিজা আমানুল্লাহ আমান ছিলেন। মুর্শেদা খাতুন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার এবং আমানুল্লাহ সাংবাদিক।
ভুক্তভোগি পরিবার জানায়, রাত ২টা ৫৫ মিনিটের দিকে আমানের ঘুম ভাঙলে তিনি রুমে একজন লোককে দেখতে পান এবং চোর বলে চিৎকার দেন। এ সময় দুর্বৃত্তরা তাদের অন্ত্রের মুখে জিম্মি করে এবং ডাইনিং থাকা চাবি ব্যবহার করে বাইরে থেকে তালা দিয়ে তাদের অবরুদ্ধ করে। এরপর নিচে নেমে তারা পালিয়ে যায়।
দুর্বৃত্তরা বাসা থেকে একটি ল্যাপটপ, দুটি ব্যাগ, নগদ টাকা এবং দুটি ব্যাংকের চেকবইসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে যায়। ড্রয়িং রুমের টেবিলে একটি ধারালো বটি (হাসুয়া) ফেলে যায়, যা দেখে পরিবার আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তারা অবরুদ্ধ অবস্থায় ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ এসে বাইরে থেকে গেট খুলে তাদের উদ্ধার করে।
মুর্শেদা খাতুন বলেন, “এটা সাধারণ চুরি নয়; দুর্বৃত্তরা ডাকাতি স্টাইলে ঘটনাটি ঘটিয়েছে। রান্নাঘরের ভেন্টিলেটর ভেঙে ভেতরে ঢুকে এবং তার কাছে ধারালো অস্ত্র ছিল। আমাদের ঘুম ভাঙলে আক্রমণ করার প্রস্তুতিও ছিল। দ্রুত পুলিশ না এলে বড় ধরনের জানমালের ক্ষতি হতে পারত। হয়তো আমাকে ও আমার নাতিকে মেরেই ফেলত।”
ঘটনার পর শুক্রবার রাতে আরএমপির বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি মামলা করা হয়। থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধারে এবং দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।