
রাসেল ইসলাম, লালমনিরহাটঃ
লালমনিরহাট কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি’র) দুই নারী শিক্ষার্থীকে ইফটিজিং, হয়রানি ও অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক জায়দুল হকের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী দিলারা আক্তার দুলি ও হাসিনা খাতুন পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
প্রথম অভিযোগে মোছাঃ দিলারা আক্তার দুলি জানান, ASSET প্রকল্পের আওতায় “MPS” ট্রেডের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে এক মাস নিয়মিত ক্লাস করার পরেও ট্রেড ইনচার্জ শিক্ষক জায়দুল হক হঠাৎ তার ভর্তি বাতিল করে দেয়। ভর্তি বাতিল করার কারণ জানতে চাইলে তিনি দুলিকে আলাদা ভাবে সময় কাটানোর প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে ট্রেড থেকে বাতিল করে অন্যজনকে ভর্তি করান। দুলি আরো বলেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড চলতে থাকলে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হবে।
দ্বিতীয় অভিযোগে হাসিনা খাতুন উল্লেখ করেন, গত ২৭ অক্টোবর ASSET প্রকল্পের পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার পর ফলাফল দেখার উদ্দেশ্যে ২৯অক্টোবর টিটিসি ক্যাম্পাসে গেলে সিনিয়র শিক্ষক জায়দুল হক তাকে ডেকে নেন। পরে তিনি জানান, পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হলেও শারীরিক সম্পর্কে রাজি হলে ভর্তি করে দেওয়া হবে। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে ভবিষ্যতে টিটিসিতে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেন তিনি।
ওই দুই নারী শিক্ষার্থী লিখিত অভিযোগে দাবি করেন, ওই শিক্ষকের কাছ থেকে একাধিক ছাত্রী এ ধরনের প্রস্তাব বা হয়রানির শিকার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে প্রতিষ্ঠানের সুনাম ও নিরাপত্তা মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়বে। এর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঐ প্রতিষ্ঠানের এক নারী শিক্ষার্থী ও অভিযুক্ত শিক্ষককের একটি অডিও রেকর্ড ভাইরাল হয়েছে।
অভিযুক্ত শিক্ষক জায়দুল হক জানান, আমাকে ফাঁসানোর জন্য কে বা কারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। অডিও রেকর্ড টি বানোয়াট মিথ্যা আমার না।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি’র) অধ্যক্ষ প্রকৌশলী আইনুল হক বলেন, কয়েকজন শিক্ষার্থী একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী দুই নারী শিক্ষার্থী প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়ে সুষ্ঠু তদন্ত এবং নারী শিক্ষার্থীদের সুরক্ষায় জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
Leave a Reply