
সোহেল রানা,রাজশাহী,প্রতিনিধি:
রাজশাহী মহানগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে এস এস টাওয়ার নামের এই ভবনটি অনুমোদন ছাড়া ১২ তলা পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়। এ নিয়ে মামলা সংক্রান্ত জটিলতায় ১০ বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে ভবনটি। এছাড়াও ভবনকে ঝুকিপূর্ণের তালিকাতেও রাখা হয়েছে।
এ ছাড়াও রাজশাহীর মাস্টারপাড়া এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে দুটি ভবন। একটি ভবনের ওপর আরেকটি ভবন হেলে পড়ায় আতঙ্কে রয়েছে আশপাশের বাসিন্দারা। এসব তথ্য জানিয়েছে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ)।
আরডিএর তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহী নগরীতে বর্তমানে বহুতল ভবনের সংখ্যা প্রায় তিন শতাধিক। ২০০৮ সালে পরিচালিত সর্বশেষ জরিপে শহরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের সংখ্যা ছিল ৫৮টি। প্লান পাস, নকশা অনুমোদন, সিটি কর্পোরেশনের উচ্চতা সংক্রান্ত অনাপত্তিপত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়াই অনেক ভবন মালিক নিয়ম বহির্ভূতভাবে নির্মাণ কাজ চালিয়ে গেছেন। বেশিরভাগ মালিকই এসব কাগজপত্র দেখাতে পারেননি, এমনকি অনেকে কথা বলতেও রাজি হননি। অনুমোদন ছাড়া ভবন নির্মাণের অভিযোগে ২৬১ জন ভবন মালিককে শোকজ নোটিশ দেয়া হয়েছে এবং মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সম্প্রতি ভূমিকম্পের ঘটনায় নগরবাসীর আতঙ্ক আরও বেড়ে গেছে। তারা বলছেন, নিয়ম-নীতি মানা ছাড়া গড়ে ওঠা বহুতল ভবনগুলো দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
এ বিষয়ে রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক দিদারুল আলম বলেন, ‘বহুতল ভবন নির্মাণে ছাড়পত্র এবং অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা রাখার বিধান থাকলেও অধিকাংশ ভবন মালিক ও ডেভেলপাররা তা মানছেন না।’
আরডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল তারিক বলেন, ‘নিয়ম বহির্ভূতভাবে যারা ভবন নির্মাণ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। অনেক ভবনের বর্ধিত অংশ ভেঙে ফেলা হচ্ছে।’
আরডিএ কর্তৃপক্ষ জানায়, অনুমোদন ছাড়া ভবন নির্মাণের অভিযোগে ২৬১ জন ভবন মালিককে শোকজ নোটিশ দেয়া হয়েছে এবং মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এর মধ্যে বেশ কয়েকটি ভবন ভেঙে ফেলার নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।
Leave a Reply