আব্দুল মজিদ মল্লিক
নওগাঁয় জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০২২ তালিকায় বিতর্কিত কর্মকর্তার নাম সুপারিশের অভিযোগ উঠেছে সদর উপজেলা যাচাই-বাছাই কমিটির বিরুদ্ধে। বিতর্কিত ওই কর্মকর্তা আবদুল আমিন সদরের সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদাবাজিসহ তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এরপরই তার নাম সুপারিশ করায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। নাম প্রকাশ পাওয়ার পর যাচাই-বাছাই কমিটি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। যোগ্যজনই যেন পুরস্কার পান সে দাবি করেছেন জেলার সুধীজনরা। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রতি বছর প্রায় ২০ ক্যাটাগরিতে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক দেয়া হয়। একটি নীতিমালার আলোকে প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষক, বিদ্যালয়, ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিশেষ অবদান রাখায় সম্মানিত করা হয়।
২০১৩ সালে পদক নীতিমালা হওয়ার পর ২০১৭, ২০১৯ ও ২০২১ সালে সংশোধন করা হয়। দেশের প্রতি জেলায় শ্রেষ্ঠ নির্বাচিতদের প্রতি বছর শিক্ষা পদক দিয়ে আসছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার মহাদেবপুর উপজেলার উত্তরগ্রাম ইউনিয়নের আব্দুল আমিন ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে নওগাঁ সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন। তার আগেও তিনি বিভিন্ন উপজেলায় একই পদে কর্মরত ছিলেন। সদর উপজেলায় যোগ দেয়ার পর থেকেই তিনি নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন। বিভিন্ন বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজের বরাদ্দ খাত থেকে উৎকোচ নিচ্ছিলেন বলেও অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।
গত ২৪ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন সদর উপজেলার মঙ্গলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আরিফুর রহমান। তাৎক্ষণিক অভিযোগ ক্ষতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠনও করেন জেলা প্রশাসক।
আব্দুল মজিদ মল্লিক
Leave a Reply