লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে আপন বড় ও নিজ সালাকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে রতন মাঝী (৫০) এর বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবার ( ১৫ নভেম্বর ) রাত ৮ টার দিকে উপজেলার ০৮ নং দক্ষিণ চরবংশী ইউপির চরকাছিয়া গ্রামের বাদশা সিকদার বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- ওই গ্রামের মৃত নূর মোহাম্মদের ছেলে আবদুল সত্তার মাঝী (৬০), মৃত আবুল কাশেমের ছেলে মোঃজালাল উদ্দিন (৪০)।
আহতদের আবদুল সত্তার অভিযুক্ত রতনের আপন বড় ভাই ও মোঃ জালাল উদ্দিন অভিযুক্ত রতনের আপন সালা বলে জানা যায়। এ দিকে রতন মাঝীর ১ম স্ত্রী রাজিয়াবেগম জানিয়েছেন, আমার স্বামী রতন মাঝী ২য় বিয়ের পর থেকে আমার এবং আমার সন্তানের কোন খোঁজ খবর রাখে না। এ বিষয়ে আমার বাসুর রতন মাঝীর আপন বড় ভাই আব্দুল সত্তার মাঝী আমার স্বামীকে অনেক বার বলে যাতে আমার উপর কোন জুলুম বা অন্যায় না করে।এবং কয়েক মাস আগে আমার ছেলেদের নামে মামলা করে। ঐ মামলায় আমার ছেলে জেলে ছিল। আমার স্বামীর কারনে আমার এক মাত্র মেয়েকে বিবাহ দিতে পারি।যেখান থেকে বিবাহের জন্য আসে আমার স্বামী না করে দেয়।
কিন্তু আমার স্বামী আমার বাসুরের কথা না শুনে উল্টো উনার উপর ক্ষেপে গিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করার চেষ্টা চালায় ও সেখানে ঘটনা স্থলে আমার আপন ভাইকে দেখে আমার স্বামী আমার ভাইয়ের নাকে কোপ দিয়ে আঘাত করে। নাকে নয়টি সিলি দেওয়া হয়া।
আহত আব্দুল সত্তার মাঝী বলেন, ঘটনার দিন রাতে আমি এবং গিয়াসউদ্দিন চৌকিদার বাড়ি যাওয়ার সময় বাদশা সিকদার বাড়ির সামনে আসলে আমি বাইকে থাকায় অবস্থা আমার আপন ছোট ভাই রতন মাঝী আমাকে পিছন থেকে আমার গায়ে ধারাল। দা দিয়ে আঘাত করে তখন আমি মটর সাইকেল থেকে পড়ে যাই, আমার পায়ের তিনটা আঙ্গুলে কোপ লাগে ফলে এলাকায়বাসী আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তার সাথে আমার কোন শত্রুরতাও ছিল না, কিন্তু হটাৎ কেনো এমন করলো তা জানা নেই। উল্টো আমাকে ও স্থানীয় গ্রাম পুলিশ গিয়াস উদ্দিন সহ-আরো ৪ জনকে আসামি করে মিথ্যা মামলাও করেছে।
আহত জালাল উদ্দিন বলেন, ঘটনার দিন আমি মারামারি সময় ঘটনাস্থলে গেলে আমার আপন দুলাভাই রতন মাঝী আমাকে নাকে আঘাত করে পরে স্থানীয়রা আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু আহত করার পরও আমাকে উল্টো আসামী করে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে।
স্হানীয় গ্রামপুলিশ গিয়াসউদ্দিন বলেন আমি আমার ডিউটি শেষে সত্তার মাঝির সাথে বাড়ি আসার সময় রতন মাঝি হঠাৎ করে সত্তার মাঝির উপর আক্রমণ করে। আমি সহ স্হানীয় লোক জন উভয় পক্ষকে মানিয়ে দয়। আমি ঐ খানে থাকার কারনে আমাকে ৩নং আসামি করে মামলা দেয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রতন মাঝীর ফোন নাম্বারে অনেকবার ফোন দিলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এবং তার প্রথম স্ত্রী রাজিয়া বলেন, রতন মাঝী তার ২য় স্ত্রীকে নিয়ে সিলেটে আত্যগোপনে চলে গেছে বলে জানান। এই মামলার মুল স্বাক্ষীর সাথে কথা বললে তিনি জানান এই মামলা সম্পর্কে আমি কিছু জানিনা। রতন মাঝি একজন মামলা বাজ । এ বিষয়ে রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শিপন বড়ুয়া বলেন, ঘটনাটি পারিবারিক ভুক্তভোগীরা এখনো কোন অভিযোগ দেয়নি, অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply