শাকিল আহমেদ,নড়াইলঃ
নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভার (৪,৫,৬) নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর খালেদা জামানের উপর হামলা ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ পাওয়া গেছে।পুলিশ সুপার নড়াইলের বরাবর লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন বলে জানান ভুক্তভোগী কাউন্সিলর খালেদা জামান।
ভূক্তভোগী কাউন্সিলর খালেদা জামান জানান,গত ২৩ ই ডিসেম্বর লোহাগড়া মদিনা পাড়ার বাসিন্দা হুরাই শেখ, শফিকুল শেখ , সুমন শেখ ও লোহাগড়া উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন ইতির নির্দেশনায় মদিনা পাড়ার বাসিন্দা মৃত বাসু শেখের নাবালিকা মেয়ে শামিমা পারভীনের বিয়ে দেওয়ার চেস্টা করছে জান্তে পেরে আমি একজন নির্বাচীত জনপ্রতিনিধি হিসেবে বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকদের জানাই।
অভিযুক্ত
লোহাগড়া মদিনা পাড়ার বাসিন্দা হুরাই শেখ, শফিকুল শেখ , সুমন শেখ
বিষয়টি বুঝতে পেরে গত ২৫ ই ডিসেম্বার সকাল ৯ টার দিকে আমার বসত বাড়িতে ঢুকে আমাকে গালিগালাজ ও এলোপাথাড়ি ভাবে মারধর করে।আমি বাধা দিতে গেলে শফিকুল শেখ আমার গলা চেপে ধরে হত্যা চেস্টা করে এবং শরীরের স্পর্শ কাতর স্থানে হাত দিয়ে আমার শ্লীলতাহানী করে।আমার শোর চিৎকারে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে অভিযুক্তরা আমাকে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এই ঘটনায় পরেরদিন ২৬ ই ডিসেম্বর আমি লোহাগড়া থানায় লোহাগড়া মদিনা পাড়ার বাসিন্দা হুরাই শেখ, শফিকুল শেখ ও সুমন শেখকে আসামী শ্রেনীভুক্ত করে একটি অভিযোগ দায়ের করি এবং থানায় অভিযোগ দেওয়ার কারনে ঐদিনই সকাল ১১ টার দিকে আসামীদের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় আসামীরা আবার আমাকে মারধর করে।
আসামীরা মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কাজের সাথে জড়িত।এর পূর্বেও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং আসামীরা একাধিক বাল্য বিয়ে দিয়েছে।
আমি আসামীদের ভয়ে লোহাগড়া থেকে নড়াইলে এসে আশ্রয় নিয়েছি।আমি আসামীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
Leave a Reply