1. emon@frilix.com : Emon Hasan : Emon Hasan
  2. editormrahman80@gmail.com : Mizanur Rahman : Mizanur Rahman
  3. info@www.janatarkatha24.com : admin :
  4. wpapitest@config.com : wpapitest :
বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ০১:৩৯ অপরাহ্ন

শেরপুরের ঝিনাইগাতী তে বিষপানে পুত্র বধুকে হত্যার চেষ্টা

রিপোটারের নাম
  • প্রকাশিত : শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ২৭ বার পড়া হয়েছে

 

মোঃ জুলহাস উদ্দিন হিরো শেরপুর প্রতিনিধি,

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে পুত্র বধুকে বিষ পান করিয়ে হত্যার চেষ্টা। ঘটনাটি ঘটে গত ১৭ জানুয়ারী( মঙ্গলবার) সকালে ঝিনাইগাতী উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়নের ভবানী খিলা গ্রামের মোঃ রুবেল মিয়ার স্ত্রীকে বিষ পান করিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। রুবেল ভবানি খিলা গ্রামের নাসিম ( লাজু) মিয়ার ছেলে।
যানা যায়, ঘটনার পর- পর-ই, ঘাতক রুবেল কে সরিয়ে রাখেন ঘাতকের ( মা) কাজলি বেগম।

ভিকটিম বলেন, মঙ্গলবার সকালে তার শশুরও শাশুড়ী এবং তার স্বামী তারা সবাই একসঙ্গে খাবার খায় এবং শাশুড়ী তার জন্য প্লেটে খাবারের সঙ্গে কীটনাশক মিশিয়ে রাখে। পরে সেই কীটনাশক মেশানো ভাত কয়েকবার মুখে দেওয়ার পর-পরই তার বমি – বমি ভাব হয় এবং মাথা ঘুরতে থাকে এমতবস্থায় সে তার স্বামীকে কাছে ডাকে এবং তার খাবারের দিকে হাতে ঈশারা করে বুঝানোর চেষ্টা করে।

পরে লোকজন যানা যানি হলে, ঘটনা ধামাচাপা দিতে, লাজু তার ছোট ভাই মনু মিয়া ও রুবেল -তার (স্ত্রী) জাকিয়া কে শ্রীবরদী হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। কিন্তু পরক্ষণেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভিকটিমকে নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে গোপনে পালিয়ে যায় এবং বাড়িতে নিয়ে পূনরায় তার উপর নির্যাতন শুরু করে।
ঘটনার ৪/৫ দিন পর ভিকটিম কিছুটা সুস্থ হলে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।

এমতবস্থায় ভিকটিম ( জাকিয়া) আইনের আশ্রয় নিতে ঝিনাইগাতী থানায় গেলে তার কোনও অভিযোগ নেয়নি। এ বিষয়ে ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মনিরুল আলম ভূইয়ার সাথে কথা হলে তিনি বলেন ঘটনাটি ঘটেছে এক সপ্তাহ আগে, তাই তিনি জাকিয়ার অভিযোগ নেয়নি।

পরবর্তীতে, জাকিয়া সত্য ও ন্যায় বিচারের দাবি করে, বিজ্ঞ বিচারক, নারীও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল,শেরপুরে একটি মামলা দায়ের করে। ( নারীও শিশু পিঃ নং ৬/২০২৩) জাতীয় আইডি নং ৭৮১৬৮৯৭০১৬। এতে ছয়জন অভিযুক্তদের নামের তালিকা দেয় ( বাদী জাকিয়া) কিন্তু, সেই তালিকায় দেয়া ২ নং অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম বাদ দিয়ে বাকি ১/৩/৪/৫/৬ নং অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম উল্লেখ্য করে এডভোকেট সেই মামলা দায়ের করে।
বাদীকে জিজ্ঞেস না করে, ২ নং অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম কেন? বাদ দেওয়া হলো?

এবিষয়ে, এডভোকেট এ-র সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এসব নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় কোনো মহিলাকে অভিযুক্ত করে আসামি করা যাবে না( বিচারক তা গ্রহন করেন না) এ-ই ব’লে তিনি ফোন রেখে দেয়।

বাদীপক্ষ বলেন, নারীও শিশু নির্যাতন মামলায় যদি কোনো মহিলাকে অভিযুক্ত করে আসামি করা – না -যায়, তবে – বাকি (৫) জনকে কিভাবে? আসামি করা যেতে পারে, তাহলে (৪ নং) আসামি ( মহিলা) হেনা বেগম, তাকে কি করে? আসামি করা হলো? বিষয় টা যেন রহস্য জনক। এমতাবস্থায় ( বাদী) জাকিয়া, প্রশাসনের সু দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ন্যায় বিচারের দাবি করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
Copyright © 2024 Frilix Group
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD