মোছা:তাসলিমা আক্তার,
বেরোবি প্রতিনিধি:

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি)শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে পালিত হয় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৩।

এই উপলক্ষে রাত ১২টা এক মিনিটে মাননীয় উপাচার্য শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। সূর্যদয়ের সাথে সাথে প্রশাসনিক ভবনের দক্ষিণ গেইটে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ।সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল থেকে শোক র্যার্লি শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়।সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে শহীদ মিনারে উপাচার্য সহ সর্বস্তরের শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন এবং বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের সময় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হাসিবুর রশীদ ও উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সরিফা সালোয়া ডিনা।এসময় আর ও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মজিব উদ্দিন আহমদ , রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরী, লোকপ্রশাসনবিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৩ পালন কমিটির সদস্য সচিব মোঃ আসাদুজ্জামান মন্ডল আসাদ প্রমুখ।

বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও নীল দলের সভাপতি ডঃ নিতাই কুমার ঘোষ বলেন, ভাষা দিবসে ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই।যারা আমাদের এই মাতৃভাষা রক্ষায় জীবন দিয়েছিল সকল শহীদদের আমার অন্তরে অন্তস্থল থেকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। একটা কথা আমার শুনতে পাই, বাংলা ভাষা চর্চা দিন দিন কমে যাচ্ছে এবং আমাদের দেশের অন্যান্য ভাষা বিশেষ করে ইংরেজি ভাষা চর্চা বেশি হচ্ছে। আমি মনে করি এই কথা যথার্থ নয়। ইংরেজি ভাষা হলো আন্তর্জাতিক স্বীকৃত ভাষা। যেখানে মানুষের গবেষণার কাজে বিশেষ বিদেশে পড়াশোনার কাজে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। বাংলা ভাষার গুরুত্ব কিন্তু কমে যায়নি বরং বাংলা ভাষার চর্চা স্কুল, কলেজ থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়ে থাকে।বাংলা ভাষা আমাদের আবেগ অনুভূতি ও ভালোবাসার ভাষা।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মনিরুল ইসলাম মুকুল বলেন, পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠীর বিভিন্ন ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে বাংলার দামাল ছেলেরা ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রাজপথে নেমেছিলেন। মাতৃভাষা প্রতিষ্ঠার জন্য নিজের জীবন ও যৌবন উৎসর্গ করেছেন সালাম,বরকত, জব্বার রফিক সহ নাম না জানা আরও অনেকে। বাঙালি জাতিকে মাতৃভাষা প্রতিষ্ঠার জন্য রক্ত দিতে হয়েছে। যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। বাংলা ভাষায় রচিত হতে থাকে গান, গল্প, কবিতা, উপন্যাস। তবে বাংলা ভাষার অপব্যবহার বেড়েই চলেছে। ভাষার ইতিহাস বলে, কোনো ভাষাই দীর্ঘ স্থায়ী নয়। সময়ের বিবর্তনে এক সময় হারিয়ে যায় ভাষা। একমাত্র বাংলা ভাষার ব্যবহার ও চর্চার মধ্যে দিয়েই বাংলা ভাষাকে আমরা বাঁচিয়ে রাখতে পারি। আমরা বাঁচিয়ে রাখতে পারি আমাদের এই গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়কে।