1. emon@frilix.com : Emon Hasan : Emon Hasan
  2. editormrahman80@gmail.com : Mizanur Rahman : Mizanur Rahman
  3. info@www.janatarkatha24.com : admin :
  4. wpapitest@config.com : wpapitest :
মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৫:০৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
তানোরে ফার্মেসির আড়ালে মাদক ব্যবসা, র‌্যাবের অভিযানে ৫ জন গ্রেপ্তার সাংবাদিক শাহনেওয়াজ এর আরোগ্য কামনায় দোয়া মাহফিল কারবালা মাহফিল ও ওরসে শাহ আহছানুজ্জামান হাশেমী (রহঃ) অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে ঐতিহ্যবাহী উল্টো রথযাত্রা উৎসবে “আর্য কল্যাণ ফাউন্ডেশনের” ভক্তসেবা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের পিরোজপুর পৌর শাখার কমিটি গঠন জুম্মার নামাজের সময় মটরসাইকেল চুরি জনতার হাতে মেম্বার পুত্র আটক পাটগ্রাম থানায় হামলা ও আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় বিএনপির কোন ধরনের সংশ্লিষ্টতা নেই বলে দাবী করে ব‍্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধানের সংবাদ সম্মেলন সাঁথিয়ায় বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩ আহত ১০ দীর্ঘ এক যুগ পর বেরোবিতে ৩০০ কর্মচারী পেলেন পদোন্নতি গণপূর্ত প্রকৌশলী জহির রায়হানের দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের অভিযান
শিরোনাম:
তানোরে ফার্মেসির আড়ালে মাদক ব্যবসা, র‌্যাবের অভিযানে ৫ জন গ্রেপ্তার সাংবাদিক শাহনেওয়াজ এর আরোগ্য কামনায় দোয়া মাহফিল কারবালা মাহফিল ও ওরসে শাহ আহছানুজ্জামান হাশেমী (রহঃ) অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে ঐতিহ্যবাহী উল্টো রথযাত্রা উৎসবে “আর্য কল্যাণ ফাউন্ডেশনের” ভক্তসেবা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের পিরোজপুর পৌর শাখার কমিটি গঠন জুম্মার নামাজের সময় মটরসাইকেল চুরি জনতার হাতে মেম্বার পুত্র আটক পাটগ্রাম থানায় হামলা ও আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় বিএনপির কোন ধরনের সংশ্লিষ্টতা নেই বলে দাবী করে ব‍্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধানের সংবাদ সম্মেলন সাঁথিয়ায় বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩ আহত ১০ দীর্ঘ এক যুগ পর বেরোবিতে ৩০০ কর্মচারী পেলেন পদোন্নতি গণপূর্ত প্রকৌশলী জহির রায়হানের দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের অভিযান

তানোরে বিলুপ্তপ্রায় বসন্তের স্মারক শিমুল গাছ

রিপোটারের নাম
  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ৪ মার্চ, ২০২৫
  • ৬৪ বার পড়া হয়েছে

 

সোহেল রানা,রাজশাহী,প্রতিনিধি:

 

রাজশাহীর তানোরে কালের বিবর্তনে বিলুপ্ত প্রায় বসন্তের স্মারক শিমুল গাছ। জানা গেছে, ঋতুরাজ বসন্ত এলেই প্রকৃতি প্রেমীদেরকে আকৃষ্ট করে থাকে শিমুল ফুল যার প্রেমে বিমুগ্ধ হয়ে নানা কবিতা লিখে প্রাণের আস্বাদন মিটাতো কবিতা প্রেমিরা। কবির কল্পনা জগতকেও আলোড়িত করতো শিমুল গাছের সৌন্দর্য। শীতের পরেই ঋতুরাজ বসন্ত আগমনের সঙ্গে সঙ্গেই প্রকৃতিতে লেগেছে তারই ছোঁয়া। প্রতিটি গাছেই আসতে শুরু করেছে নতুন পাতা। প্রকৃতিতে দক্ষিণা বাতাসে আম্রমুকুলের মৌ মৌ ঘ্রাণে মুগ্ধ চারিদিক। কোকিলের সুমিষ্ট কুহুতালে ফাগুনের উত্তাল বাসন্তী হাওয়া দিচ্ছে দোলা। গাছে গাছে জেগে উঠেছে সবুজ পাতা। মুকুল আর শিমুল ফুল দেখে বোঝা যায় শীত বিদায় নিয়ে এসেছে ফাগুন।ঋতুরাজ বসন্তের আগমনে আবহমান গ্রামবাংলার প্রকৃতিকে রাঙিয়ে ফুটেছে নয়নাভিরাম শিমুল ফুল। আগুন ঝরা ফাগুনে চোখ বাঁধানো গাঢ় লাল রঙের অপরূপ সাজে সজ্জিত শিমুল গাছ এখন বিলুপ্ত প্রায়। বিগত এক-দেড় দশক আগেও উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের অধিকাংশ বাড়ির আনাচে কানাচে আর রাস্তার ধারে প্রচুর শিমুল গাছ দেখা যেতো। জানা যায়, প্রাকৃতিক ভাবে তুলা আহরণের অন্যতম অবলম্বন শিমুল গাছ। এ গাছের সব অংশেরই রয়েছে ভেষজগুণ। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা এখনো নান্য রোগের চিকিৎসায় এ গাছের বিভিন্ন অংশ ব্যবহার করে। শিমুল গাছের বৈজ্ঞানিক নাম “ন্যেমনাজ সাইনা লিন’। এটি নোমব্যকাসিয়াক পরিবারের উদ্ভিদ। বীজ ও কান্ডের মাধ্যমে এর বংশবিস্তার হয়। রোপণের ১০ বছরের মধ্যে শিমুল গাছে ফুল ফোটে। ৯০ থেকে ১০০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। সেই তুলনায় বেশ মোটাও হয়, নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করে শিমুল গাছ। এগাছ প্রায় দেড়শ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে। শীতের শেষেপাতা ঝরে পড়ে। বসন্তের শুরুতেই গাছে ফুল ফোটে। আর এ ফুল থেকেই হয় ফল।

চৈত্র মাসের শেষের দিকে ফল পুষ্ট হয়। বৈশাখ মাসের দিকে ফলগুলো পেকে শুকিয়ে গিয়ে বাতাসে এমনিতেই ফল ফেটে প্রাকৃতিকভাবে তুলার সঙ্গে উড়ে উড়ে দূর-দূরান্তে ছড়িয়ে পড়া বীজ থেকেই এর জন্ম হয়। অন্যান্য গাছের মত এ গাছ কেউ শখ করে রোপণ করে না। নেওয়া হয়না কোন যত্ন অযত্ন আর অবহেলায় প্রাকৃতিকভাবেই গাছ বেড়ে ওঠে। এ গাছের প্রায় সব অংশই কাজে লাগে। এর ছাল, পাতা ও ফুল গবাদিপশুর খুব প্রিয় খাদ্য। বালিশ, লেপ ও তোষক তৈরিতে শিমুল তুলার জুড়ি নেই। অথচ বর্তমানে মানুষ এ গাছকে তুচ্ছ মনে করে কারণে অকারণে কেটে ফেলছে।

অতীতে ব্যাপকহারে নির্মাণ কাজ, টুথপিকসহ নানা ধরনের প্যাকিং বাক্স তৈরি ও ইটভাটার জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হলেও সেই তুলনায় রোপণ করা হয়নি। ফলে শিমুল গাছ প্রায় বিলুপ্তির পথে। শিমুল গাছ উজাড় হওয়ার ফলে

পরিবেশের উপরে পড়েছে নেতিবাচক প্রভাব। এ গাছ অনেক উঁচু হওয়ায় কাক, কোকিল, চিল, বকসহ বিভিন্ন ধরনের পাখি বাসা বেঁধে বসবাস করত। এ গাছ উজাড় হওয়ার ফলে এসব পাখিরা আবাসস্থল হারিয়ে পড়েছে অস্তিত্ব সংকটে। গাছ না থাকায় আবাসস্থলের অভাবে ধীরে ধীরে এসব পাখিরাও হারিয়ে যাচ্ছে।

চৈতপুর গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি আমিনুল ইসলাম বলেন, একটি বড় ধরনের গাছ থেকে তুলা বিক্রি করে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। আগের তুলনায় এখন শিমুলের তুলার দাম অনেক বেড়ে গেছে। এর পরও এই গাছ নিধন হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তিনি বলেন, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান বা বন বিভাগের উদ্যোগে রাস্তার ধার বা পতিত জমিতে শিমুল গাছ রোপণের আহবান জানান তিনি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
Copyright © 2024 Frilix Group
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD